কল রেকর্ড করার জন্যই ফোন করেছিলেন নীলা, দাবি তুষারের


ভিওডি ডেস্ক রিপোর্টঃ
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নেতা সারোয়ার তুষারের সঙ্গে এক নারীর কথোপকথন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ওই অডিওতে নারী কণ্ঠটি নিজের বলে দাবি করেছেন অভিনেত্রী নীলা ইসরাফিল।
বৃহস্পতিবার(১৯ জুন) সামাজিক মাধ্যমে দীর্ঘ এক পোস্টে এ কথা স্বীকার করেন তিনি। এরপর বৃহস্পতিবার রাতে নিজের ফেসবুক আইডিতে একটি দীর্ঘ পোস্ট দিয়েছেন সারোয়ার তুষার।
তুষার দীর্ঘ এক পোস্টের অংশে লেখেন, ‘এনসিপি আত্মপ্রকাশ করে রমজানের ঠিক আগের দিন। এরপর পুরো রমজান মাসে এনসিপির কোনো সাংগঠনিক কার্যক্রম ছিল না। কে কোথায় কাজ করবে না করবে সে ব্যাপারেও কোনো সিদ্ধান্ত তখনো আসেনি। ফলে আমার জানার কথা নয় “ক” এনসিপির কোথায় কাজ করতে চান। বা আদৌ চান কি না। ওই সময়ে আমি এনসিপির ২১৭ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটির সবাইকেই ঠিকমতো চিনে উঠে পারি নাই। এ কথা বলার মানে হলো, রমজানের আগে, এমনকি রমজান মাসে তার সাথে আমার যতটুকুই যোগাযোগ হয়েছে, তা সাংগঠনিক দায়রা বা আওতার মধ্যে ঘটে নাই। ফলে তার সাথে আমার সাংগঠনিক সম্পর্ক দেখিয়ে ক্ষমতার যে হায়ারার্কি প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করা হচ্ছে, তা অমূলক।
কল রেকর্ডের বিষয়ে বলেন, ‘এবার আসি ফাঁসকৃত ভাইরাল অডিও সম্পর্কে। প্রথম অডিওতে, ওই বিশেষ শব্দটি আপনারা তার মুখেই শুনেছেন। আমি শুধু ব্যাখ্যা দিয়েছি মাত্র। না, না, ওই এক মুহূর্তে কথা দিয়ে আমাকে জাজ করো না, প্লিজ — এরকম ছিল আমার বক্তব্য। আসলে তিনিই খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে শব্দটির কাছে আমাকে নিয়ে যাচ্ছিলেন।
কেন? সন্দেহ করার যথেষ্ট অবকাশ থাকে যে, তিনি যেহেতু কল রেকর্ড করার উদ্দেশ্যেই কলটি করেছেন, কাজেই কথাবার্তাকে একটা সুনির্দিষ্ট দিকে তিনিই নিয়ে গেছেন। এবং এটা ঘটেছে সম্পূর্ণ আমার অগোচরে। অর্থাৎ, আমি কথা বলেছি উইথ গুড ফেইথ; অন্যদিকে, তিনি কথা বলেছেন, কল রেকর্ড করে তা অন্যের হাতে তুলে দেওয়ার মতলবে।’
নীলা কোনো পর্যায়ের নেত্রী নন উল্লেখ করে লেখেন, ‘কয়েকটা ব্যাপার পরিস্কার থাকা জরুরি : “ক” এনসিপির কোনো পর্যায়েরই কোনো নেত্রী বা কর্মী নন। তার সাথে আমার কোনো ধরনের সাংগঠনিক ক্ষমতা-সম্পর্ক বিরাজ করে না। তাকে দূরে রাখেন... মহানগর বা সেলের কাউকে আমি এ ধরনের কোনো নির্দেশনা দেই নাই। আসলে সেই এখতিয়ারই আমার নাই। তার এই দাবির সত্যতা কী? কে তাকে বলেছে আমি এমন নির্দেশনা দিয়েছি?’
ভিওডি বাংলা/এম