কমেছে প্রায় ৮২ হাজার এইচএসসি পরীক্ষার্থী


নিজস্ব প্রতিবেদক
আসন্ন এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় গতবারের চেয়ে পরীক্ষার্থী কমেছে ৮১ হাজার ৮৮২ জন। আবার ভর্তির সময় নিবন্ধন করেও প্রায় সোয়া চার লাখ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে না। যা উদ্বেগজনক ও আশঙ্কার বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা।
এ অবস্থায় আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের প্রধান বলছেন, যথাযথভাবে জরিপ করেই পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে ভাবা হবে। আর কিছু শিক্ষার্থী কমে যাওয়ারে স্বাভাবিক বলেও মনে করেন তিনি।
২৬ জুন শুরু হচ্ছে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। প্রায় সাড়ে ১২ লাখ শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে এবারের পরীক্ষায়। পরিসংখ্যান বলছে, শেষ তিন বছরের মধ্যে এবারই এইচএসসি পরীক্ষার্থী সবচেয়ে কম।
তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা যায়, উচ্চমাধ্যমিকে ভর্তির পর রেজিস্ট্রেশন করেও প্রায় সোয়া চার লাখ শিক্ষার্থী এবার পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন না। শতাংশের হিসাবে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে এই হার বেশি। আর সংখ্যায় তা এইচএসসিতে বেশি। এই তথ্য নিয়মিত শিক্ষার্থীদের, অর্থাৎ যারা এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাস করে সরাসরি উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি হয়েছিলেন।
এর বাইরে কোনো কারণে গ্যাপ দেয়া বা ফেল করা অর্থাৎ অনিয়মিত প্রায় দুই লাখ পরীক্ষার্থীও এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন। নিয়মিত-অনিয়মিত মিলিয়ে এবার মোট পরীক্ষার্থী ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান খন্দোকার এহসানুল কবির জানান, দেশে সাধারণত ওপরের শ্রেণিতে উঠলে শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার বাড়ে।
কিন্তু নিবন্ধন করেও পরীক্ষায় অংশ না নেবার পাশাপাশি, গেলোবারের চেয়েও পরীক্ষার্থী কমার কারণ কি? দারিদ্রসহ বেশ কিছু বিষয় সামনে আনছেন শিক্ষাবিদদের কেউ কেউ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষক অধ্যাপক হাফিজুর রহমান ও গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী মনে করেন, শিক্ষার্থীদের প্রনোদনাসহ চাকরির নিশ্চয়তা পাবার মতো উদ্যোগ না নিলে ঝরে পড়া ঠেকানো কঠিন হবে।
ভিওডি বাংলা/ এমপি