জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হলে শহীদদের স্বপ্নপূরণ হবে: তারেক রহমান


নিজস্ব প্রতিবেদক
হাজারো শহীদের কাঙ্ক্ষিত রাষ্ট্র গঠনের পূর্বশর্ত হলো—একটি জবাবদিহিমূলক গণতান্ত্রিক সরকার, যা জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত ও জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ। তাই দেশে এমন একটি নিরাপদ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনী ব্যবস্থা গড়ে তোলা জরুরি, যেখানে প্রতিটি ভোটার নির্ভয়ে, নিশ্চিন্তে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন। এ মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান, শোক ও বিজয়ের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অবদান ও শহীদদের স্মরণে আয়োজিত স্মরণসভায় তিনি এ কথা বলেন।
শনিবার (১৯ জুলাই) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এই সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হন তারেক রহমান।
তিনি বলেন, -জুলাইয়ের আন্দোলন শুরু হয়েছিল কোটা সংস্কারের দাবিতে। কিন্তু ১৬ জুলাইয়ের পর সেটি আর কেবল কোটা সংস্কারের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না। রংপুরে শহীদ আবু সাঈদ, চট্টগ্রামে ওয়াসিমসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছয়জন শহীদ হওয়ার পর থেকেই মাফিয়া সরকারের পতনের ঘণ্টা বেজে ওঠে।
তারেক রহমান অভিযোগ করেন, -সেই স্ফুলিঙ্গ ছড়িয়ে পড়ে দেশজুড়ে। সরকার তা দমন করতে শুরু করে নির্মমভাবে। গুলি চালিয়ে, হামলা করে, মামলা দিয়ে ছাত্র-জনতার কণ্ঠরোধ করতে চেয়েছে তারা।
তিনি আরও বলেন, -সরকারের এই নির্মম দমন-নিপীড়নের মাঝেও ১৮ জুলাই থেকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা দলমত নির্বিশেষে যেভাবে রাজপথে নেমে রক্ত দিয়েছে, সেদিন থেকেই আমার রাজনৈতিক উপলব্ধি স্পষ্ট হয়ে যায়—এই সরকারের পতন এখন কেবল সময়ের ব্যাপার।
তারেক রহমান বলেন, -এই উপলব্ধি থেকেই ছাত্র-জনতার আত্মদানকে রূপান্তরিত করা হয় ফ্যাসিস্ট পতনের এক দফা আন্দোলনে। বিএনপিসহ দেশের গণতান্ত্রিক দলগুলো সেই কৌশল অবলম্বন করে আন্দোলনকে এগিয়ে নেয়। তবে এই আন্দোলন যেন দেশে-বিদেশে কেবল একটি রাজনৈতিক দলের আন্দোলন হিসেবে চিহ্নিত না হয়, সেটি ছিল আমাদের কৌশলের অন্যতম লক্ষ্য।
ভিওডি বাংলা/ডিআর