জজ মিয়ার ২ গোডাউন পুড়ে ছাই


রাজধানীর গুলিস্তানের সুন্দরবন স্কয়ার সুপার মার্কেটের নিচতলা থেকে শুরু করে পঞ্চম তলা পর্যন্ত রয়েছে মোবাইল এক্সেসরিজের গোডাউন। শনিবার (২ আগস্ট) সকাল ৯টার দিকে ব্যবসায়ীরা গোডাউন খুলতে শুরু করেন। ঠিক এক ঘণ্টা পর, সকাল ১০টার দিকে মার্কেটের পঞ্চম তলায় হঠাৎ আগুন লাগে। মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে আগুন, সৃষ্টি হয় আতঙ্কের।
আগুনের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসে জানানো হলে ১০টা ৩ মিনিটে প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পরে আরও ১১টি ইউনিট যোগ দেয়। প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায়, বেলা ১১টা ১২ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
আরও পড়ুন: গুলিস্তানে সুন্দরবন মার্কেটের আগুন নিয়ন্ত্রণে
তবে এত দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসার পরও ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রেহাই পাননি অনেক ব্যবসায়ী। পঞ্চম তলায় থাকা ব্যবসায়ী জজ মিয়ার দু’টি গোডাউন পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে যায়। ওই দুই গোডাউনে ছিল আইফোনসহ মূল্যবান মোবাইল এক্সেসরিজ।
দুপুর ১২টা ৪৭ মিনিটে আগুন লাগা ভবন থেকে কাঁদতে কাঁদতে বের হন জজ মিয়া। অসুস্থ হয়ে পড়ায় দু’জন সহকর্মী তাকে ধরে নিচে নামিয়ে আনেন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, “আমার গোডাউনে ছিল সব আইফোনের মালামাল। সব শেষ। এক কোটি টাকার ওপরে মালামাল ছিল। কিছুই রইল না।”
পঞ্চম তলায় ব্যবসা করেন শাহ পরান নামের আরেক ব্যবসায়ী। তিনি জানান, তার গোডাউনের পাশেই ছিল জজ মিয়ার দু’টি গোডাউন। আগুনে সেই দু’টি গোডাউন সম্পূর্ণভাবে পুড়ে গেছে বলে নিশ্চিত করেন তিনি।
চতুর্থ তলায় তিনটি গোডাউনের মালিক আব্দুল মান্নান বলেন, ‘আগুন লাগার খবর পেয়ে ছুটে আসি। ভাগ্যক্রমে আগুন আমার গোডাউন পর্যন্ত আসেনি। ফায়ার সার্ভিস খুব দ্রুত কাজ করেছে, না হলে পুরো মার্কেট পুড়ে ছাই হয়ে যেত।’
এদিকে, ভিশন এক্সেসরিজ নামের একটি গোডাউনে কর্মরত জীবন কুমার বলেন, ‘দোকান খুলে জিনিসপত্র পরিষ্কার করছিলাম। হঠাৎ দেখি চারদিক ধোঁয়ায় ভরে গেছে। ভয় পেয়ে দ্রুত নিচে নেমে আসি।’
ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম বলেন, ‘সকাল ১০টায় আগুন লাগার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। এরপর একে একে ১২টি ইউনিট কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়ায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো গেছে।’
সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেটের আগুনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি না হলেও জজ মিয়াসহ কয়েকজন ব্যবসায়ীর জন্য এটি এক বিপর্যয় হয়ে এসেছে। তদন্ত সাপেক্ষে আগুন লাগার প্রকৃত কারণ নিশ্চিত করবে ফায়ার সার্ভিস।’
ভিওডি বাংলা/জা