অন্তর্বর্তী সরকারের নানা পদক্ষেপে ঐক্যের পরিবর্তে বিভাজন বাড়ছে : সাইফুল হক


বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের নানা পদক্ষেপ রাজনৈতিক দল ও জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করার পরিবর্তে বিভক্তি বিভাজন আরও বাড়িয়ে তুলছে। এই ধারা চলতে থাকলে গণ -অভ্যুত্থানের অর্জন বিসর্জনে পর্যবসিত হতে পারে। এটা দুঃখজনক যে, সরকার গণঅভ্যুত্থানের পরিবর্তনকামী জন আকাংখ্যা ধারন করতে পারেনি। নিজেদের শরিরী ভাষাতেও তারা গণ আকুতি আর জনপ্রত্যাশার প্রতিফলন দেখাতে পারেননি।
তিনি বলেন, গত একবছরে বৈষম্যের বিলোপে কোন উদ্যোগই নেয়া হয়নি।গেল এক বছরে অর্থনৈতিক ও সামাজিক বৈষম্য, দারিদ্র্য, বেকারত্ব, কর্মহীনতা, বিনিয়োগে ভাটা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। সামষ্টিক অর্থনীতিতে কিছুটা শৃংখলা ফিরেছে৷ কিন্তু অর্থনীতির দুর্বৃত্তায়নের গোটা ব্যবস্থা প্রায় অক্ষুণ্ণ রয়েছে।অর্থনৈতিক মাফিয়াদের সাথে সরকার ও তাদের প্রশ্রয়ে থাকা নানা অংশের একধরনের বোঝাপড়া তৈরী হয়েছে।
সাইফুল হক বলেন, এটা স্পষ্ট যে, রাজনৈতিক দল ও জনগণের সমর্থন ও সহযোগিতা সরকার প্রজ্ঞার অভাবে কাজে লাগাতে পারেনি।শুরুতেই আন্দোলনে থাকা ছাত্র তরুনদের প্রতি নিশর্ত আনুগত্য দেখাতে যেয়ে বাকিদের কাছ থেকে তারা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন, রাজনৈতিক দলগুলোকে অহেতুক প্রতিদ্বন্দ্বী বানিয়ে ফেলেছেন।
সাইফুল বলেন, রাজনৈতিক দল ও জনগণের উপর নির্ভর না করে সরকারের মধ্যে থাকা সরকারগুলো নানা গুরুত্বপূর্ণ সংবেদনশীল ইস্যুতে মব সন্ত্রাসের উপর নির্ভর করতে চেয়েছেন।এর ফলাফল হয়েছে এক আধা নৈরাজ্য।এই পরিস্থিতির সুযোগ গ্রহণ করছে রাজনৈতিক লুম্পেন ও অর্থনৈতিক দূর্বত্তরা।একারণে মানুষের জানমালের নিরাপত্তা আরও বিপদের মধ্যে নিক্ষিপ্ত হয়েছ। ক্রমে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে।সরকারের কার্যকারিতা বলে তেমন কিছু থাকছেনা।
সংবাদ সম্মেলনে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান,আনছার আলী দুলাল, মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক, বাবর চৌধুরীসহ মহানগর কমিটির নেতৃবৃন্দ।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ