• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১
টপ নিউজ
ছনুয়া ইউনিয়নে নিজ উদ্যোগে রাস্তাঘাট মেরামত কিশোরগঞ্জে দূর্গামন্ডপ পরিদর্শন করলেন সাবেক এমপি বিলকিস ইসলাম পুলপাড় রায়ের বাজার মন্দির পরিদর্শনে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম মালদ্বীপে রফিকুল আলম মজনুকে সংবর্ধনা শারদীয় দুর্গাপূঁজা উপলক্ষে ঢাকেশ্বরী মন্দির পূঁজা মন্ডপ পরিদর্শনে বিএনপি চীফ প্রসিকিউটর বনাম শেখ হাসিনার মামলার ৫৪তম সাক্ষ্যগ্রহণ আজ মেধা কাজে লাগালে বিশ্বে স্বনামধন্য হওয়া যায় - আবদুস সালাম হোয়াটসঅ্যাপের নতুন চমক ‘শিডিউল কল’ ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরের পূজা প্রস্তুতি পরিদর্শন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের দায়িত্ব রাষ্ট্র নেবে: আমিনুল হক

পুলিশ হেফাজতে জনি হত্যা: হাইকোর্টের রায় আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক    ১০ আগস্ট ২০২৫, ০৫:০৪ পি.এম.
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর পল্লবীতে পুলিশি হেফাজতে নির্যাতনে গাড়িচালক ইশতিয়াক হোসেন জনি নিহতের ঘটনায় বিচারিক আদালতের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আসামিদের করা আপিলের রায় আজ রোববার (১০ আগস্ট) ঘোষণা করবে হাইকোর্ট।

বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করবেন।

এর আগে, গত ৭ আগস্ট আপিলের শুনানি শেষে আদালত রায়ের জন্য আজকের দিন নির্ধারণ করেন। সেদিন আসামিপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন সিনিয়র আইনজীবী এস এম শাহজাহান, সরওয়ার আহমেদ, মো. আবদুর রাজ্জাক ও নাজমুল করিম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বদিউজ্জামান তপাদার। বাদীপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী এস এম রেজাউল করিম।

২০১৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় পল্লবীর ১১ নম্বর সেকশনের বি ব্লকের ইরানি ক্যাম্পে এক গায়েহলুদের অনুষ্ঠানে পুলিশের সোর্স সুমন নারীদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন। এ নিয়ে ইশতিয়াক হোসেন জনি ও তার ভাই ইমতিয়াজের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে সুমনের ফোন পেয়ে পুলিশ এসে দুই ভাইকে ধরে থানায় নিয়ে যায় এবং নির্যাতন চালায়। পরে ইশতিয়াককে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনার ছয় মাস পর, একই বছরের ৭ আগস্ট ইমতিয়াজ হোসেন মামলা দায়ের করেন। এতে তৎকালীন পল্লবী থানার এসআই জাহিদুর রহমানসহ আটজনকে আসামি করা হয়। এ মামলাই ছিল ২০১৩ সালে প্রণীত “নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন”-এ প্রথম মামলা।

২০১৫ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হলে পাঁচজনকে অভিযুক্ত ও পাঁচজনকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়। পরবর্তী সময়ে তদন্তে নতুন করে এএসআই রাশেদুল ও কামরুজ্জামানকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

২০১৬ সালের ১৭ এপ্রিল ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। বিচার শেষে ২০২০ সালের ৯ সেপ্টেম্বর আদালত রায় দেন। তাতে: এসআই জাহিদুর রহমান, এএসআই রাশেদুল হাসান ও এএসআই কামরুজ্জামানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, এক লাখ টাকা করে জরিমানা এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে দুই লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

পুলিশের সোর্স সুমন ও রাসেলকে সাত বছর কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।

দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে এএসআই কামরুজ্জামান শুরু থেকেই পলাতক, আর সোর্স সুমন ইতোমধ্যে সাজা ভোগ করে মুক্তি পেয়েছেন।

হাইকোর্টে আপিল: বিচারিক রায়ের বিরুদ্ধে জাহিদুর, রাশেদুল ও রাসেল ২০২০ সালে হাইকোর্টে পৃথকভাবে আপিল করেন। ২০২১ সালে হাইকোর্ট আপিলগুলো শুনানির জন্য গ্রহণ করে। চলতি বছরের ৯ জুলাই থেকে একযোগে এসব আপিলের শুনানি শুরু হয় এবং শেষ হয় ৭ আগস্ট। এরপর ১০ আগস্ট রায় ঘোষণার দিন ধার্য করা হয়।

ভিওডি বাংলা/জা

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
পাসপোর্ট ফেরত পেলেন না মেঘনা আলম
পাসপোর্ট ফেরত পেলেন না মেঘনা আলম
৩০ আসামির বিরুদ্ধে অষ্টম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ
৩০ আসামির বিরুদ্ধে অষ্টম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ
সাবেক ডিসি সুলতানার জামিন চেম্বারেও বহাল
সাবেক ডিসি সুলতানার জামিন চেম্বারেও বহাল