ডাকসু নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই: অভিযোগ ছাত্রদলের

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হয়নি বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ঢাবি শাখা।
সোমবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন।
এ সময় শিপন বলেন, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে একদল শিক্ষার্থী ডাকসু নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে। সেজন্য মব উসকে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া এখনো পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে পারেনি।
ঢাবি ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রশাসনকে বার বার আহ্বান জানিয়েছিলাম— একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও আনন্দমুখর পরিবেশে ডাকসু নির্বাচনের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, মব পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের। এগুলো না করা হলে নির্বাচন অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক হবে না।
আগামী ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের সময় সোমবার (১৮ আগস্ট) বিকেল ৪টায় শেষ হয়েছে।
মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের শেষ দিনে ছাত্রশিবিরসহ অধিকাংশ ছাত্রসংগঠন মনোনয়ন সংগ্রহ করে প্যানেল ঘোষণা দিলেও ছাত্রদল এখনও প্যানেল ঘোষণা দেয়নি। ফলে ছাত্রদলের প্যানেল কিংবা কে কোন পদে প্রার্থী হচ্ছেন সে সিদ্ধান্তের কথা জানাতে পারেননি ছাত্রসংগঠনটির নেতারা।
এদিকে, আজ দুপুর ৩টার দিকে নেতাকর্মী নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন ঢাবি শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবিদুল ইসলাম আবিদ।
মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের পর তিনি বলেন, এখনও ছাত্রদলের প্যানেল চূড়ান্ত হয়নি। দলীয় নির্দেশনা অনুযায়ী সবাইকে নিজেদের মতো করে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে।
ছাত্রদলের আরও দুইজন নেতা ভিপি পদে মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন বলে জানা গেছে। তারা হলেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম জিসান ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বি এম কাউসার।
আর সাধারণ সম্পাদক পদে কবি জসীমউদ্দিন হল শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক তানভীর বারী হামীম ফরম নিয়েছেন। এজিএস বা সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে ফরম নিয়েছেন বিজয় একাত্তর হল ছাত্রদলের আহ্বায়ক তানভীর আল হাদী মায়েদ।
ভিওডি বাংলা/ এমপি