বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ, উপকূলজুড়ে বৃষ্টি-ঝড়ো হাওয়া


বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে নোয়াখালীর উপকূলীয় উপজেলাগুলোতে বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া বইছে। এতে সাধারণ মানুষের জনজীবনে দুর্ভোগ নেমে এসেছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) ভোর থেকে হাতিয়া, সুবর্ণচর, কোম্পানীগঞ্জ, কবিরহাট ও সদর উপজেলায় আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। সকাল থেকে শুরু হয় বৃষ্টি, যা জনজীবনে ভোগান্তি বাড়িয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে শক্তিশালী হতে পারে। এর প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় দমকা ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এজন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এ সময় মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে গভীর সাগরে না গিয়ে উপকূলের কাছাকাছি সাবধানে চলাচলের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ঝড়ো হাওয়ার কারণে দ্বীপাঞ্চলে দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি বাড়ার পাশাপাশি খেটে খাওয়া মানুষ কাজের জন্য বাইরে যেতে পারছেন না। হাতিয়ার মেঘনা নদীর ভাঙনপ্রবণ এলাকায় জোয়ারের পানির সঙ্গে বাতাসের দমকা আঘাত আতঙ্ক তৈরি করেছে।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, আগামী এক থেকে দুই দিন এ বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া অব্যাহত থাকতে পারে। লঘুচাপ আরও ঘনীভূত হলে এটি নিম্নচাপ বা গভীর নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে, যা উপকূলীয় অঞ্চলে প্রভাব ফেলবে।
হাতিয়ার মৎস্য ব্যবসায়ী মো. আকবর হোসেন বলেন, “সাগর উত্তাল থাকায় ট্রলারগুলো ঘাটে আটকে আছে। বাজারেও ক্রেতা নেই, সবাই ঘরে বসেই দিন কাটাচ্ছেন।”
স্থানীয় বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম বলেন, “বৃষ্টি ও ঝড়ো আবহাওয়ার কারণে সাধারণ মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। বাজারে ক্রেতাশূন্য অবস্থা।”
জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, “সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। গভীর সাগরে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি আছে।”
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আলাউদ্দিন জানান, “বর্তমানে উপকূলজুড়ে ঝোড়ো বাতাস ও থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। আমরা সতর্কতা জারি করেছি এবং জেলেদের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।”
ভিওডি বাংলা/জা