বিএনপির দুই নেতাকে শোকজ, ছয় কমিটি স্থগিত

দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সাংগঠনিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে রাজশাহীতে বিএনপির দুই নেতাকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে স্থগিত করা হয়েছে ছয় ইউনিয়নের নবঘোষিত কমিটি।সোমবার (৬ অক্টোবর) জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. আবু সাইদ চাঁদ স্বাক্ষরিত পৃথক দুটি চিঠিতে বিষয়টি জানানো হয়। শোকজ করা দুই নেতা হলেন: দুর্গাপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কামরুজ্জামান আয়নাল ও সদস্য সচিব অধ্যাপক জোবায়েদ হোসেন।
প্রথম চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, গত ২৮ সেপ্টেম্বর দুর্গাপুর উপজেলার অধীন ছয়টি ইউনিয়ন বিএনপির আংশিক কমিটি স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে সমন্বয় না করে অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে দলের ভেতরে ও বাইরে বিভ্রান্তি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে কেন উপজেলা আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না সে বিষয়ে তিন দিনের মধ্যে লিখিত জবাব দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, দ্বিতীয় চিঠিতে জানানো হয়, রাজশাহী বিভাগের বিএনপি সমন্বয়ক ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালামের নির্দেশক্রমে দুর্গাপুর উপজেলার নওপাড়া, কিসমত গণকৈড়, পানানগর, দেলুয়াবাড়ী, ঝালুকা ও জয়নগর ইউনিয়ন বিএনপির আংশিক পূর্ণাঙ্গ কমিটি স্থগিত করা হয়েছে।
চিঠির অনুলিপি পাঠানো হয়েছে বিএনপির কেন্দ্রীয় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, রাজশাহী বিভাগের সমন্বয়ক আব্দুস সালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহিন শওকত, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিম ও এএইচএম ওবায়দুর রহমান চন্দনসহ দলের শীর্ষ নেতাদের কাছে।
এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. কামরুজ্জামান আয়নাল বলেন, ‘আমি চিঠি পেয়েছি। বিএনপির গঠনতন্ত্রে যদি এ ধরনের বিষয় থেকে থাকে, তাহলে নিয়ম অনুযায়ী জবাব দেব।’ সদস্য সচিব জোবায়েদ হোসেনের মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি রিসিভ করেননি, ফলে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাইদ চাঁদ বলেন, ‘হ্যাঁ, এটি সত্য। কমিটিগুলো স্থগিত করা হয়েছে এবং শোকজ দেওয়া হয়েছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্দেশনার আলোকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
ভিওডি বাংলা/ এমএইচপি