• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

ইবিতে মানবাধিকার লঙ্ঘন সংশ্লিষ্ট জাতিসংঘ প্রতিবেদন উপস্থাপন বিষয়ে সেমিনার

ইবি প্রতিনিধি    ৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:৩৭ পি.এম.
ছবি: ভিওডি বাংলা

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত বিভিন্ন ঘটনার প্রেক্ষিতে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নিপীড়নের বাস্তবচিত্র তুলে ধরতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) "Dissemination of The UN Human-Rights Office Fact-Finding Report" শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

শনিবার (৮ নভেম্বর) "মানবাধিকার কমিশন বাংলাদেশ" এবং সোচ্চার "স্টুডেন্ট'স নেটওয়ার্ক" বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যৌথ আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের সেমিনার কক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 

সেমিনারে সোচ্চার স্টুডেন্ট'স আবদুল্লাহ আল রাহাতের সভাপতিত্বে ও মুমতাহিনা রিনি'র সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো: ওবায়দুল ইসলাম, হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান ও সভাপতি অধ্যাপক ড. আব্দুস সবুর, আল কুরআন এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি নাছির উদ্দিন মিঝি ও অধ্যাপক ড. এবিএম জাকির হোসেন, আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. তোজাম্মেল হোসেন, সহকারী প্রক্টর ও সোচ্চারের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো: ফখরুল ইসলাম, ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান।  

সেমিনারে আলোচক হিসেবে ছিলেন, জাতিসংঘের গর্ভনেন্স বিশেষজ্ঞ ও সিনিয়র মানবাধিকার কর্মকর্তা মো: জাহিদ হোসাইন এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার শাইখ মাহদি, সোচ্চার প্রজেক্ট ম্যানেজার ও কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক সুমাইয়া তামান্না, সহকারী পরিচালক সুমাইয়া তাসনিম। 
  
বাংলাদেশের মানবাধিকার প্রতিবেদনে জাতিসংঘের প্রতিনিধিদল ৫টি বিষয়ে সুপারিশ জমা দেয় তা হলো- জবাবদিহিতা ও বিচার বিভাগ নিশ্চিত করা, পুলিশ ও নিরাপত্তা বিভাগের অসামরিকীকরণ, নাগরিক পরিসর বৃদ্ধি, রাজনৈতিক ব্যবস্থার স্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক সুশাসন নিশ্চিত করা। যার ভিত্তিতে বাংলাদেশের চলমান সরকার মানবাধিকার নিশ্চিত করতে পারবে বলে মনে করছে জাতিসংঘ। 

অনুষ্ঠানে জাতিসংঘের সিনিয়র মানবাধিকার কর্মকর্তা জাহিদ হোসাইন জুলাই-অভ্যুত্থানের উপর জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন, যার মাধ্যমে জুলাই-আগস্ট ২০২৪ সালের ঘটনাবলির মানবাধিকার সংশ্লিষ্ট বাস্তবতা, তথ্য, বিশ্লেষণ ও সুপারিশ তুলে ধরা হয়।

জাহিদ হোসাইন বলেন, জাতিসংঘ সারাবিশ্বে শান্তি, নিরাপত্তা এবং মানবাধিকার নিয়ে কাজের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের গত জুলাই গণঅভ্যুত্থানে মানবাধিকার লঙ্ঘন হওয়া ঘটনাগুলো লিপিবদ্ধ করেছে। এর ভিত্তিতে তৈরি করা প্রতিবেদনও জমা দিয়েছে। এটি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের একটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। 

সেমিনারে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মো. নসরুল্লাহ বলেন, 'হিউম্যান রাইটস্ হাই-কমিশনের পক্ষ থেকে যে রিপোর্টি উত্থাপন করা হয়েছে তা একটি অথেনটিক রিপোর্ট। সোচ্চারের সহযোগিতায় জাতিসংঘ এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আসায় তাদের ধন্যবাদ জানায়। জুলাই অভ্যুত্থানে যারা আহত ও শহীদ হয়েছে তাদের প্রতি যে তোমরা যে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছ এটি দীর্ঘ স্থায়ী হওয়া উচিত, কারণ এর দ্বারাই নির্মিত হবে  আগামী দিনের রাজনীতি ও এদেশের পরিবর্তনের পথ।'

উল্লেখ্য, এসময় রেজিট্রেশনকৃত শিক্ষার্থীদেরকে জাতিসংঘ ও মানবাধিকার বিষয়ক কয়েকটি বই , একটি টি-শার্ট এবং নাস্তার ব্যবস্থা করা হয়।


ভিওডি বাংলা/ এমএইচ

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
জুলাই বিপ্লববিরোধী অভিযোগে ইবির আরও ৯ শিক্ষক বরখাস্ত
জুলাই বিপ্লববিরোধী অভিযোগে ইবির আরও ৯ শিক্ষক বরখাস্ত
ইবিতে বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা
ইবিতে বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা
বিজয় দিবস উপলক্ষে ঢাবিতে বিজয় র‌্যালি আজ
বিজয় দিবস উপলক্ষে ঢাবিতে বিজয় র‌্যালি আজ