• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

মমতাজের ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

   ১৩ মে ২০২৫, ০৩:৪৬ পি.এম.
ছবি: সংগৃহীত

আদালত প্রতিবেদক

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কেন্দ্রিক রাজধানীর মিরপুর মডেল থানার হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৩ মে) দুপুর ২টা ১৭ মিনিটে মমতাজকে আদালতে আনা হয়। এসময় তাকে সিএমএম আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। শুনানির সময় তাকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুয়েল রানার আদালতে তোলা হয়।

এদিন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম তাকে সাত দিনের রিমান্ডে চেয়ে আবেদন করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। আসামি পক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড নামঞ্জুর ও জামিন চেয়ে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, মামলার ঘটনাটি সরেজমিনে পরিদর্শনপূর্বক গোপনে ও প্রকাশ্যে প্রাথমিক তদন্তে উক্ত আসামির মামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। এই আসামি মামলার এজাহারনামীয় ৪৯ নং অসামি। তিনি মানিকগঞ্জ-২ আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য এবং সিঙ্গাইর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বলে জানা যায়। এই আসামি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সমাবেশ/আন্দোলনে ছাত্র-জনতাকে নিপীড়নে ক্যাডার বাহিনীকে উৎসাহিত করতো। মামলার এজাহারনামীয় ও অজ্ঞাতপরিচয় পলাতক আসামিদের নির্দেশে, প্ররোচনায় এবং মদতে আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের ক্যাডাররাসহ মমতাজের ক্যাডাররা বেপরোয়াভাবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সমাবেশ/আন্দোলনে আক্রমণ করে নির্বিচারে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে এবং তাদের ছোড়া গুলিতে মো. সাগর গুলিবিদ্ধ হলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানা যায়। মামলার মূল রহস্য উদঘাটনসহ অত্র মামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত পলাতক আসামিদের অবস্থান নির্ণয় করতে তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।

এর আগে মঙ্গলবার রাত পৌনে ১২টায় রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মামলার সূত্রে জানা গেছে, গত ১৯ জুলাই মিরপুর-১০ নং গোলচত্বর এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেন মো. সাগর। ওইদিন বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আসামিরা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা ও গুলিবর্ষণ করেন। এসময় ভুক্তভোগী সাগরের বুকে গুলি লেগে পেছন দিকে বের হয়ে যায়। তার মা মোসা. বিউটি আক্তার তাকে খুঁজতে থাকেন। এক পর্যায়ে ওইদিন দিবাগত রাত ৩টায় মিরপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তার লাশের সন্ধান পান তিনি। পরে সন্তানের লাশ গ্রহণ করে গ্রামের বাড়িতে দাফন সম্পন্ন করেন।

এ ঘটনায় গত ২৭ নভেম্বর নিহতের মা মোসা. বিউটি আক্তার বাদী হয়ে মিরপুর মডেল থানায় মামলা করেন। এতে শেখ হাসিনাসহ ২৪৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়া মামলায় ২৫০-৪০০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়। এ মামলার মমতাজ বেগম ৪৯ নং এজাহারনামীয় আসামি।

ভিওডি বাংলা/ডিআর

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
খায়রুল হকের ফাঁসির দাবিতে উত্তাল হাইকোর্ট
খায়রুল হকের ফাঁসির দাবিতে উত্তাল হাইকোর্ট
সারজিসের বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার মানহানি মামলা
সারজিসের বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার মানহানি মামলা
শমী কায়সারকে জামিন দিলেন হাইকোর্ট
শমী কায়সারকে জামিন দিলেন হাইকোর্ট