• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১
টপ নিউজ
ছনুয়া ইউনিয়নে নিজ উদ্যোগে রাস্তাঘাট মেরামত কিশোরগঞ্জে দূর্গামন্ডপ পরিদর্শন করলেন সাবেক এমপি বিলকিস ইসলাম পুলপাড় রায়ের বাজার মন্দির পরিদর্শনে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম মালদ্বীপে রফিকুল আলম মজনুকে সংবর্ধনা শারদীয় দুর্গাপূঁজা উপলক্ষে ঢাকেশ্বরী মন্দির পূঁজা মন্ডপ পরিদর্শনে বিএনপি চীফ প্রসিকিউটর বনাম শেখ হাসিনার মামলার ৫৪তম সাক্ষ্যগ্রহণ আজ মেধা কাজে লাগালে বিশ্বে স্বনামধন্য হওয়া যায় - আবদুস সালাম হোয়াটসঅ্যাপের নতুন চমক ‘শিডিউল কল’ ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরের পূজা প্রস্তুতি পরিদর্শন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের দায়িত্ব রাষ্ট্র নেবে: আমিনুল হক

নেত্রকোণায় ৪০০ বছরের পুরোনো সালিশখানা

   ৯ জুলাই ২০২৫, ০২:১২ পি.এম.
৪০০ বছরের পুরোনো সালিশখানা। ছবি :সংগৃহীত

নেত্রকোণা জেলার আটপাড়া উপজেলার শুনই গ্রামে অবস্থিত প্রায় ৪০০ বছরের পুরোনো এক সালিশখানা আজ সময়ের অবহেলায় বিলুপ্তির পথে। একসময় ন্যায়বিচারের কেন্দ্রস্থল হিসেবে পরিচিত এই স্থাপনাটি এখন ধ্বংসপ্রায়। স্থানীয়রা চান, এই ঐতিহাসিক স্থাপনাটি সংরক্ষণ করে পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হোক।

স্থানীয়রা জানান, মুঘল আমলের সেনানায়ক ঈসা খাঁর বংশধর আছালত খাঁ সিংহের বাংলা এলাকা থেকে এসে শুনই গ্রামে বসতি গড়েন প্রায় ৪০০ বছর আগে। তিনি শুধু শুনই নয়, আশপাশের কয়েকটি গ্রামের শাসনভারও পালন করতেন। সে সময় থানার অস্তিত্ব না থাকায় আছালত খাঁ জনগণের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে এই সালিশখানা নির্মাণ করেন। তিন কক্ষবিশিষ্ট এই স্থাপনায় সপ্তাহে একদিন বিচারসভা বসত। অপরাধ প্রমাণিত হলে তাৎক্ষণিক দণ্ড কার্যকর করা হতো এখানেই। তখনকার মানুষের কাছে এটি ছিল ন্যায়বিচারের একমাত্র ঠিকানা।

কিন্তু সময়ের পালাবদলে সালিশখানার কদর কমেছে। আধুনিক থানা-পুলিশ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় এর প্রয়োজনীয়তাও কমে যায়। বর্তমানে স্থাপনাটি জরাজীর্ণ, দেওয়াল ভেঙে পড়ছে, ইতিহাসের সাক্ষী ইটগুলো জীর্ণ-শীর্ণ অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে।

বর্তমানে আছালত খাঁর অষ্টম বংশধরেরা শুনই গ্রামে বসবাস করছেন। তার নবম বংশধর ও বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস উইং এবং মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, ‘আমি ছোটবেলা থেকেই সালিশখানার প্রতি আবেগী ছিলাম। সুযোগ পেলে এটিকে সংরক্ষণের উদ্যোগ নেব বলে মনে মনে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম। এখন গণমাধ্যমের মাধ্যমে ইতিহাসটি তুলে ধরা হচ্ছে, এজন্য স্থানীয় সাংবাদিকদের কৃতজ্ঞতা জানাই। আমি সরকারের কাছে আবেদন জানাবো, এটি যেন ঐতিহাসিক স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়।’

স্থানীয় তরুণ আল আকরাম মুন্না বলেন, আমরা চাই সরকার এটিকে সংরক্ষণ করুক। পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠলে বাইরের মানুষ আসবে, আমাদের ইতিহাস জানবে। আমরা গর্ব করতে পারবো।

আটপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রুয়েল সাংমা বলেন, আমরা স্থানটির ইতিহাস ও গুরুত্ব যাচাই করে প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরে পাঠাবো। তাদের সুপারিশের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ভিওডি বাংলা/ এমএইচ

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
সাতক্ষীরা শিক্ষকদের ৫ দফা দাবি বাস্তবায়নের সংবাদ সম্মেলন
সাতক্ষীরা শিক্ষকদের ৫ দফা দাবি বাস্তবায়নের সংবাদ সম্মেলন
কিশোরগঞ্জে বিশ্ব শিক্ষক দিবসে শিক্ষকবৃন্দের ৫দফা দাবি
কিশোরগঞ্জে বিশ্ব শিক্ষক দিবসে শিক্ষকবৃন্দের ৫দফা দাবি
গুইমারায় আগুনে ১৯ টি দোকান পুড়ে ছাই
গুইমারায় আগুনে ১৯ টি দোকান পুড়ে ছাই