• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

জামায়াতের সমাবেশকে ঘিরে ১৩ হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

   ১৯ জুলাই ২০২৫, ১২:১০ পি.এম.
ছবি: সংগৃহীত

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশকে কেন্দ্র করে এরই মধ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ঢাকা মহানগর (ডিএমপি) পুলিশ। অতিরিক্ত চার হাজার পুলিশ সদস্যসহ প্রায় ১২ হাজারের বেশি পুলিশ সদস্য নিরাপত্তায় যুক্ত রয়েছেন। ইউনিফর্ম পরা পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা নজরদারি করছেন ডিবির সদস্যরা। ১২ হাজার পুলিশ ছাড়াও আরও কয়েক হাজার র‍্যাব সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ছাড়াও জামায়াতের ছয় হাজার স্বেচ্ছাসেবক রয়েছেন ছড়িয়ে ছিটিয়ে।

দলটির পক্ষ থেকে আশা করছে, জাতীয় সমাবেশে ১০ লাখেরও বেশি মানুষের সমাগম ঘটবে সোহরাওয়ার্দীতে।

ডিএমপি বলছে, সমাবেশকে কেন্দ্র করে নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল যেন কোনো বিশৃঙ্খলা করতে না পারে সেজন্য সজাগ রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে পুলিশ। কন্ট্রোল রুম থেকে নিয়মিত সিসি ক্যামেরায় মনিটরিং চলছে। সব মিলিয়ে নিরাপত্তার কোনো ঘাটতি রাখা হয়নি।

রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম বলেন, রমনা বিভাগের পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্য ইউনিফর্ম ও সিভিল ড্রেসে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান কেন্দ্রিক সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে। এর বাইরে সারাদেশ থেকে যেসব গাড়ি আসবে সুনির্দিষ্ট করে পার্কিংয়ের জন্য ট্রাফিক পুলিশ কাজ করছে। রমনা এলাকায় যেন কোনো গাড়ি প্রবেশ না করে এজন্য সব জেলার জন্য রুট নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।

ঢাকার সবগুলো পয়েন্টে পুলিশ নজর দিচ্ছে দাবি করে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) এস এম নজরুল ইসলাম বলেন, জামায়াতের জাতীয় সমাবেশ ঘিরে ঢাকায় পর্যাপ্ত নিরাপদ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। কোথাও যেন কোনো বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি না হয় সেজন্য আমাদের দৃষ্টি রয়েছ।

সমাবেশকে কেন্দ্র করে আশপাশের থানা-ফাঁড়িতে আরও আট হাজার পুলিশ দেওয়া হয়েছে। সবমিলিয়ে ১২ হাজার পুলিশ মোতায়েন রয়েছে নগরবাসীর নিরাপত্তার জন্য। এছাড়া ডিএমপির আটটি ট্রাফিক বিভাগ সড়কে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছে। পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সদস্যরাও মোতায়েন রয়েছে।

এলিট ফোর্সটির লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক উইং কমান্ডার এম জেড এম ইন্তেখাব চৌধুরী বলেন, সমাবেশস্থলের চতুর্দিকে র‍্যাবের পেট্রোল ডেপ্লয় করা হয়েছে। সমাবেশকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তার স্বার্থে অতিরিক্ত চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। যে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সামাল দিতে র‍্যাব সমর্থ হবে। গুরুত্বপূর্ণ স্পটে পর্যাপ্ত সংখ্যক র‍্যাব সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। র‍্যাবের গোয়েন্দা কার্যক্রম আরও বেশ কিছুদিন আগে থেকেই শুরু করা হয়েছে। এছাড়া র‍্যাবের অতিরিক্ত জনবল কাজ করছে।

এদিকে সাত দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতের জাতীয় সমাবেশে মানুষের ঢল নেমেছে। সমাবেশ শুরুর অনেক আগেই আগেই দলটির নেতাকর্মী ও সমর্থকদের উপস্থিতিতে প্রায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে গেছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। এছাড়া সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বাইরে হাজার হাজার জামায়াতের নেতাকর্মী অবস্থান করছে।

দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে বাস, ট্রেন ও লঞ্চে করে আসা নেতাকর্মীরা রাজধানীতে এসে মিছিল সহকারে সমাবেশস্থলে প্রবেশ করছেন। নেতাকর্মীদের অনেকের হাতে তাদের দলীয় প্রতীক দাাঁড়িপাল্লা শোভা পাচ্ছে। দাঁড়িপাল্লা ও দলীয় মনোগ্রাম সম্বলিত টি-শার্ট,পাঞ্জাবি পরে এসেছে হাজার নেতাকর্মী। শনিবার (১৯ জুলাই) সকাল থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও এর আশপাশের এলাকা ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

জাতীয় সমাবেশ সফল করতে দায়িত্ব পালন করছে ২০ হাজারের মত সেচ্ছাসেবক। ভোর থেকে থেকে সমাবেশে আশেপাশের কয়েক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিভিন্ন স্পটে সেচ্ছাসেবকরা দায়িত্ব বুঝে নিয়েছে।

ভোর থেকে হাইকোর্ট এলাকা, মৎস্যভবন,শাহবাগ এলাকার বিভিন্ন স্পট ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। সেচ্ছাসেবকরা সবাই একই ধরণের ড্রেস পড়ে বিভিন্ন স্পটে অবস্থান নিয়েছে। তারা দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত নেতাকর্মীদের সহযোগিতা করছেন। কোন অঞ্চলের মানুষ কোন গেট দিয়ে প্রবেশ করবেন তা বুঝিয়ে দিচ্ছেন।

ভোর থেকে হাইকোর্ট এলাকা, মৎস্যভবন,শাহবাগ এলাকার বিভিন্ন স্পট ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। স্বেচ্ছাসেবকরা সবাই একই ধরনের ড্রেস পড়ে বিভিন্ন স্পটে অবস্থান নিয়েছে। তারা দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত নেতাকর্মীদের সহযোগিতা করছেন। কোনো অঞ্চলের মানুষ কোন গেট দিয়ে প্রবেশ করবেন তা বুঝিয়ে দিচ্ছেন।

সাত দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আজ জাতীয় সমাবেশ করছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে: অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতকরণ, সব গণহত্যার বিচার, প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার, ‘জুলাই সনদ’ ও ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন, জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবারের পুনর্বাসন, সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন ও এক কোটিরও বেশি প্রবাসী ভোটারদের ভোটাধিকার নিশ্চিতকরণ। 

বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এককভাবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় সমাবেশ করছে দলটি।

ভিওডি বাংলা/ এমইচপি

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
দুই শিশুকে চিকিৎসা সহায়তা ও অটোরিকশা দিলেন তারেক রহমান
দুই শিশুকে চিকিৎসা সহায়তা ও অটোরিকশা দিলেন তারেক রহমান
সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা হবে : গোলাম পরওয়ার
সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা হবে : গোলাম পরওয়ার
জিএম কাদেরের সাংগঠনিক কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার
জিএম কাদেরের সাংগঠনিক কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার