• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

‎আধুনিকতার যুগেও টিকে আছে ঐতিহ্যবাহী সেকালের পথ সেলুন

   ২০ জুলাই ২০২৫, ০৪:১০ পি.এম.
পথ সেলুন

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি 

‎প্রযুক্তির ছোঁয়ায় যখন সবকিছুই আধুনিকতার মোড়কে ঢেকে যাচ্ছে, তখনো কিছু পেশা রয়েছে যা এখনও অতীতের ঐতিহ্য ধরে রাখছে। এমনই একটি পেশা হলো পথ সেলুন বা খোলা আকাশের নিচে বসে চুল-দাড়ি কাটার কাজ। আধুনিক সেলুন, হেয়ার স্টাইলিং সেন্টারের ভিড়ে হারিয়ে গেলেও গ্রামবাংলার আনাচে-কানাচে এখনো দেখা মেলে এসব ঐতিহ্যের।

‎‎সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের বাজার সংলগ্ন একটি গাছতলায় দেখা যায় এক চেনা দৃশ্য— একটি লাল প্লাস্টিকের টুলে বসে এক ব্যক্তি চুল কাটাচ্ছেন, পাশে রয়েছে পুরনো কিছু সাইকেল, আর আশেপাশে ভিড় করে দাঁড়িয়ে রয়েছেন কয়েকজন গ্রামবাসী। চুল কাটাচ্ছেন উত্তম কুমার শীল, যিনি ৪১ বছর ধরে এই পথ সেলুন পরিচালনা করছেন।

‎‎উত্তম কুমার শীল জানান, এই কাজটাই আমার জীবনের অবলম্বন। ছোটবেলা থেকেই বাবার হাত ধরে শিখেছিলাম। এখনো চেষ্টা করি সৎভাবে কাজ করে চলতে।
‎‎একসময় হাট-বাজার বা গ্রামের মোড়ে মোড়ে নাপিতরা পিঁড়ি বা মাটিতে বসিয়ে চুল-দাড়ি কাটতেন। সময়ের সাথে সাথে পাকা দোকান, একাধিক আধুনিক সরঞ্জাম আর প্রসাধন সামগ্রীর আগমনে অনেকেই পেশা পরিবর্তন করেছেন। তবে উত্তম কুমার শীলের মতো কিছু মানুষ আজও আঁকড়ে ধরে আছেন এ পেশা।

‎স্থানীয় এক গ্রামবাসী বলেন, এখনো আমরা মাঝে মাঝে এখানে চুল-দাড়ি কাটাতে আসি। সস্তা, সহজ, আর ঘরের কাছেই পাওয়া যায়।

‎সরকারি বা স্থানীয় কোনো সহায়তা না থাকলেও, নিজের সামান্য উপকরণ নিয়ে প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গ্রাহকদের সেবা দিয়ে চলেছেন উত্তম কুমার শীল।

‎এমন দৃশ্য কেবল চুল কাটার নয়, বরং একটি সময়ের সাক্ষ্য বহন করে। যেখানে অর্থের পেছনে ছোটার চেয়ে বেশি ছিল পেশার প্রতি শ্রদ্ধা, সম্মান এবং মানুষকে সেবা দেওয়ার আনন্দ।

ভিওডি বাংলা/ এমএইচ

 

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা হারালে ১/১১ সৃষ্টি হতে পারে: খায়রুল কবির
রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা হারালে ১/১১ সৃষ্টি হতে পারে: খায়রুল কবির
ভাঙ্গুড়ায় ধানের শীষের প্রার্থীর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
ভাঙ্গুড়ায় ধানের শীষের প্রার্থীর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
‘আজ থেকে আ'লীগের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নাই’ বললেন টুঙ্গিপাড়ার দুই নেতা
‘আজ থেকে আ'লীগের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নাই’ বললেন টুঙ্গিপাড়ার দুই নেতা