বগুড়ায় মুজিব মঞ্চের স্থানে নির্মিত হচ্ছে ‘জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ’


বগুড়া প্রতিনিধি
বগুড়ার সাতমাথায় প্রধান ডাকঘরের সামনে ‘মুজিব মঞ্চ’ ভেঙে নির্মাণ করা হচ্ছে ‘জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ’। আগামী ৫ আগস্ট শহীদদের স্মরণে এই স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন করবে জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।
জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে বৈরি আবহাওয়ার মধ্যেও স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। বগুড়া গণপূর্ত বিভাগ জানিয়েছে, নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ১৩ লাখ ৩৩ হাজার টাকা।
২০২৩ সালে এই স্থানেই জেলা পরিষদের অর্থায়নে ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছিল মুজিব মঞ্চ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি ম্যুরাল। শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময় ওই মঞ্চটি দখল করে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ এবং পরে ‘জাস্টিস ফর জুলাই’ নামে সংগঠনটি একে ‘মুক্ত মঞ্চ’ ঘোষণা করে। একইসঙ্গে ম্যুরালের ওপর জুলাই আন্দোলনে শহীদ ১৯ জনের নামফলক স্থাপন করা হয়।
গণপূর্ত বিভাগ জানায়, সারাদেশে একযোগে ৬৪ জেলায় এই স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ হচ্ছে। নারায়ণগঞ্জে ইতোমধ্যেই একটি উদ্বোধন করা হয়েছে। বগুড়ায় গত ৬ জুলাই নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে।
স্মৃতিস্তম্ভের নকশা অনুযায়ী, ১ ফুট উঁচু কংক্রিটের বৃত্তাকার প্ল্যাটফর্ম (ব্যাস ১৮ ফুট) এর ওপর ১৮ ফুট লম্বা এবং ৬ ফুট ব্যাসের একটি স্টিলের স্তম্ভ নির্মাণ করা হবে। স্তম্ভটির ভেতরে আলোকসজ্জার ব্যবস্থা থাকবে, যা খোদাই করা লেখাগুলোকে আলোকিত করবে। এতে ১.৫ ফুট চওড়া একটি বেদি থাকবে।
গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ড. ফারজানা আক্তার জানান, আগামী ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে।
জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজ বলেন, –জুলাই শহীদদের স্মরণে বগুড়ায় স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের কাজ চলছে। ৫ আগস্ট সকালে এখানে আনুষ্ঠানিক শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে।
এদিকে শহরে আর কোনো মুক্ত মঞ্চ না থাকায় প্রশ্ন উঠেছে বিকল্প স্থান নিয়ে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, –শহরবাসীই ঠিক করবে কোথায় নতুন মুক্ত মঞ্চ হবে।
ভিওডি বাংলা/ডিআর