কেন্দুয়ায় নিখোঁজের ছয় দিন পর কৃষি শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার


কেন্দুয়া (নেত্রকোণা) প্রতিনিধি
নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার সান্দিকোনা ইউনিয়নের টিপ্রা গ্রামে নিখোঁজ হওয়ার ছয় দিন পর হাওর থেকে কেনু মিয়া (৫৪) নামের এক কৃষি শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে বাড়ির পেছনের হাওরে স্থানীয়দের নজরে আসার পর পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে।
নিহত কেনু মিয়া টিপ্রা গ্রামের মৃত আব্দুর রাশিদের ছেলে। তিনি পেশায় একজন কৃষি শ্রমিক ছিলেন এবং স্থানীয়ভাবে একজন পরিশ্রমী ও শান্ত স্বভাবের মানুষ হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ জুলাই (বুধবার) বিকালবেলা কেনু মিয়া বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি। পরিবারের পক্ষ থেকে সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনো খোঁজ মেলেনি। অবশেষে ২১ জুলাই সোমবার দুপুরে বাড়ির পেছনের হাওরে কাজ করতে যাওয়া কিছু মানুষ মরদেহটি ভাসমান অবস্থায় দেখতে পান এবং তৎক্ষণাৎ স্থানীয় প্রশাসনকে খবর দেন।
এ বিষয়ে কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, “আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করি এবং প্রাথমিকভাবে নিহতের পরিচয় শনাক্ত করি। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।”
নিহতের চাচা আমজাত হোসেন বাচ্চু মিয়া জানান, “কেনু মিয়া আমার ভাতিজা। নিখোঁজ হওয়ার পর আমরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেছি। কেউ কিছু বলতে পারেনি। অবশেষে আজ হাওরে তার মরদেহ ভেসে থাকতে দেখে আমরা পুলিশকে খবর দিই।”
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, কেনু মিয়া তার বন্ধকী জমিতে কাজ করতে গিয়ে কোনো দুর্ঘটনার শিকার হয়ে মৃত্যুবরণ করতে পারেন। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া না পর্যন্ত মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
ঘটনাটি ঘিরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। অনেকেই মনে করছেন, অসুস্থতা বা আকস্মিক কোনো দুর্ঘটনার কারণেই এই মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। স্থানীয় বাসিন্দারা কেনু মিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উদঘাটনের দাবি জানিয়েছেন।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ