• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১
টপ নিউজ
ছনুয়া ইউনিয়নে নিজ উদ্যোগে রাস্তাঘাট মেরামত কিশোরগঞ্জে দূর্গামন্ডপ পরিদর্শন করলেন সাবেক এমপি বিলকিস ইসলাম পুলপাড় রায়ের বাজার মন্দির পরিদর্শনে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম মালদ্বীপে রফিকুল আলম মজনুকে সংবর্ধনা শারদীয় দুর্গাপূঁজা উপলক্ষে ঢাকেশ্বরী মন্দির পূঁজা মন্ডপ পরিদর্শনে বিএনপি চীফ প্রসিকিউটর বনাম শেখ হাসিনার মামলার ৫৪তম সাক্ষ্যগ্রহণ আজ মেধা কাজে লাগালে বিশ্বে স্বনামধন্য হওয়া যায় - আবদুস সালাম হোয়াটসঅ্যাপের নতুন চমক ‘শিডিউল কল’ ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরের পূজা প্রস্তুতি পরিদর্শন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের দায়িত্ব রাষ্ট্র নেবে: আমিনুল হক

রাজশাহী চারঘাটে ৪০ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নেই প্রধান শিক্ষক

   ২১ জুলাই ২০২৫, ০৭:২৬ পি.এম.

মোঃ রমজান আলী রাজশাহী ব্যুরো 

রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার ৪০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। এছাড়া সাতটি স্কুলে প্রধান শিক্ষক পদ নিয়ে মামলা চলমান রয়েছে। এতে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর ব্যবস্থাপনা ও শিক্ষা দুটোই ব্যহত হচ্ছে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চারঘাট উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে ৭৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। ওইসব বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের অনুমোদিত পদ রয়েছে ৭৩ জন। অনুমোদিত পদের মধ্যে কর্মরত রয়েছেন ২৬ জন।

এর মধ্যে ৭টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদ নিয়ে মামলা চলমান রয়েছে। বাকি ৪০টি স্কুলে ভারপ্রাপ্ত ও অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রদান করে চলছে শিক্ষা কার্যক্রম।
উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে বর্তমানে প্রায় ১৮ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। এর বিপরীতে শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন প্রায় ৪৫৩ জন। তবে অনুমোদিত শিক্ষক থাকায় ওই পদে শূন্য রয়েছে ১০ জন।

বনকিশোর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিমুলিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়, ডাকরা প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাকঁড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়, বুদিরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পরানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জাগিরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ উপজেলার প্রায় ১০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রধান শিক্ষক না থাকায় একই সাথে সহকারী শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করতে হয় তাদের, তাতে পাঠদান ব্যাহত হয়।

নিয়মিত পাঠদানের পাশাপাশি বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাজ সামলাতে অনেক বেগ পেতে হয়। প্রধান শিক্ষক না থাকায় এমনিতেই একজন শিক্ষক কম হয় এরপর প্রশাসনিক কাজে উপজেলা শিক্ষা অফিস গেলে পরস্পর সমঝোতায় বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক দিয়ে নির্ধারিত পাঠদান সম্পন্ন করতে হয় বলে জানান ওই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকগণ।

এক্ষেত্রে প্রধান শিক্ষকের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন এমন শিক্ষকগণ ১৫০০/- টাকা ভাতা পেলেও বাড়তি দায়িত্ব পালন করছেন এমন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকগণের জন্য সরকারি অর্থনেতিক সুবিধা নেই বলেও জানান তারা।

এদিকে, একাধিক অভিভাবকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রধান শিক্ষকের পদ খালি থাকায় বিদ্যালয়গুলো অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে। ভারপ্রাপ্ত অনেক সময় সঠিক ও দ্রুত কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। তাছাড়া শিক্ষক সংকট থাকায় আামদের ছেলে মেয়েদের পাঠদান ব্যাহত হয় বলে জানান তারা।

এবিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান তালুকদার বলেন, বেশ কয়েক মাস ধরে প্রায় ৪০টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদ শুন্য রয়েছে। তবে উর্ধ্বোতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি অবগত করা হয়েছে। যতদ্রুত সম্ভব নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে এই সংকট কেটে যাবে বলে তিনি জানান।

ভিওডি বাংলা/ এমএইচ

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
সাতক্ষীরা শিক্ষকদের ৫ দফা দাবি বাস্তবায়নের সংবাদ সম্মেলন
সাতক্ষীরা শিক্ষকদের ৫ দফা দাবি বাস্তবায়নের সংবাদ সম্মেলন
কিশোরগঞ্জে বিশ্ব শিক্ষক দিবসে শিক্ষকবৃন্দের ৫দফা দাবি
কিশোরগঞ্জে বিশ্ব শিক্ষক দিবসে শিক্ষকবৃন্দের ৫দফা দাবি
গুইমারায় আগুনে ১৯ টি দোকান পুড়ে ছাই
গুইমারায় আগুনে ১৯ টি দোকান পুড়ে ছাই