• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১
টপ নিউজ
ছনুয়া ইউনিয়নে নিজ উদ্যোগে রাস্তাঘাট মেরামত কিশোরগঞ্জে দূর্গামন্ডপ পরিদর্শন করলেন সাবেক এমপি বিলকিস ইসলাম পুলপাড় রায়ের বাজার মন্দির পরিদর্শনে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম মালদ্বীপে রফিকুল আলম মজনুকে সংবর্ধনা শারদীয় দুর্গাপূঁজা উপলক্ষে ঢাকেশ্বরী মন্দির পূঁজা মন্ডপ পরিদর্শনে বিএনপি চীফ প্রসিকিউটর বনাম শেখ হাসিনার মামলার ৫৪তম সাক্ষ্যগ্রহণ আজ মেধা কাজে লাগালে বিশ্বে স্বনামধন্য হওয়া যায় - আবদুস সালাম হোয়াটসঅ্যাপের নতুন চমক ‘শিডিউল কল’ ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরের পূজা প্রস্তুতি পরিদর্শন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের দায়িত্ব রাষ্ট্র নেবে: আমিনুল হক

সুন্দরগঞ্জে নদীভাঙনে বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি ও ঘরবাড়ি

গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি    ২৮ জুলাই ২০২৫, ১২:৩৮ এ.এম.

সুন্দরগঞ্জে তিস্তা নদীর তীরে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে শ্রীপুর ইউনিয়নের শ্রীপুর এলাকার ফসলি জমি, ফলের বাগান, সড়কসহ অর্ধশতাধিক বসতভিটা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া ওই এলাকার কবরস্থানসহ কয়েকটি গ্রামের আরও বাড়িঘর বিলীনের পথে। ভাঙনের স্থান থেকে মাত্র ১০০ মিটার দূরে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ।

ক্ষতিগ্রস্ত ও স্থানীয় লোকজন জানান, গাইবান্ধা সদর ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী শ্রীপুর একটি জনবসতিপূর্ণ এলাকা। এসব এলাকা থেকে কয়েক বছর আগেও অন্তত তিন কিলোমিটার দূরে ছিল তিস্তা নদী। তখন এসব জমিতে ধান, গম, আলু ও ভুট্টাসহ নানান ফসল চাষ করতেন কৃষকরা। কিন্তু আজ সেসব জমি নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে।

আরও পড়ুন : পিতার সম্পত্তির লোভে বড় বোনকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ

শ্রীপুর ইউনিয়নের বাবুর বাজার থেকে উত্তরের পুটিমারি পর্যন্ত ভাঙছে। প্রায় চার কিলোমিটার এলাকাজুড়ে এই ভাঙন। গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে অন্তত তিনশ বিঘা ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়েছে। যেসব জমি বিলীন হয়েছে সেগুলো পাট, কচু ও আমন ধানের বীজতলা ছিল। ঝুঁকিতে রয়েছে পাঁচটি গ্রাম। এগুলো হচ্ছে- দত্তরখামারপাড়া, দক্ষিণ শ্রীপুর, বাবুর বাজার,পুটিমারি। ভাঙনের কারণে এরই মধ্যে নদী তীরবর্তী দুটি গ্রামীণ রাস্তা বিলীন হয়ে গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, নদীতে প্রচুর ঢেউ। তীরের মানুষ ঘরবাড়ি ভেঙে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিচ্ছে। গাছগুলোও কেটে নিয়ে যাচ্ছে অনেকে। কেউ কেউ জমিতে থাকা ফসল সংগ্রহ করছেন।

বাবুরবাজার গ্রামের আব্দুল জলিল বলেন, নদীর পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে তীব্র ভাঙন শুরু হয়। আশপাশে শতাধিক বাড়ি ও বেশ কিছু গাছের বাগান ছিল। হঠাৎ বাড়িঘরের সঙ্গে নদীভাঙনে গাছপালাও বিলীন হয়ে গেছে। ৩৬ শতক জমি ছিল আমার। প্রায় ২২ শতাংশ জমি বিলীন হয়েছে। ভাঙনে শিকার হয়ে অন্য এলাকায় এসেছি।

একই গ্রামের ইয়াসউদ্দিন (৪৪) বলেন, তার একটি সাত শতাংশ জমিতে কচুর আবাদ ছিল। সেটি সম্পন্ন বিলীন হয়ে গেছে। হঠাৎ তিস্তার ভাঙনের শিকার হয়ে পরিবারগুলো আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিচ্ছে। নিঃস্ব হচ্ছে অনেক পরিবার।

দত্তরভিটাখামার পাড়ার লেবু মণ্ডলের প্রায় ৫ বিঘা জমি ভেঙে গেছে। বাকি চারটা জমি ভাঙছে। এগুলো সমতল ভূমি, চর নয়।

ভিওডি বাংলা/ইমন মিয়া/এম 

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
রাজশাহীতে সবুজ নগরী’র ঐতিহ্য হুমকির মুখে
রাজশাহীতে সবুজ নগরী’র ঐতিহ্য হুমকির মুখে
অটোরিকশা ও হকারে স্থবির ফেনী শহর
অটোরিকশা ও হকারে স্থবির ফেনী শহর
সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের ৫ সদস্যের আহবায়ক কমিটি গঠন
সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের ৫ সদস্যের আহবায়ক কমিটি গঠন