‘মণিরামপুরে আটক ব্যক্তিরা যুবদলের কর্মী নন’


যশোরের মণিরামপুরে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে খেলনা পিস্তল ও ধারালো চাকুসহ আটক চারজনকে যুবদলের কর্মী হিসেবে দাবি করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জেলা যুবদল।
শনিবার (২ আগস্ট) প্রেসক্লাব যশোরে এক সংবাদ সম্মেলনে জেলা যুবদলের পক্ষ থেকে এই দাবি প্রত্যাখ্যান করা হয়।
জেলা যুবদলের সদস্য সচিব আনছারুল হক রানা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গত ১ আগস্ট রাতে মণিরামপুর পৌরশহরের ‘রজনী নিবাস’ হোটেলের ৪০৮ নম্বর কক্ষ থেকে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে চারজনকে আটক করে পুলিশ। পরবর্তীতে বিভিন্ন গণমাধ্যমে তাদেরকে যুবদলের কর্মী হিসেবে পরিচয় দেওয়া হয়, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আটক ব্যক্তিরা যুবদলের সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত নয়। তিনি আরও বলেন, একটি মহল যুবদলকে হেয় করার উদ্দেশে ইচ্ছাকৃতভাবে এই মিথ্যাচার করেছে।
মণিরামপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট শহীদ ইকবাল হোসেন আটক ব্যক্তিদের যুবদলের সক্রিয় কর্মী হিসেবে নিশ্চিত করেছেন বলে গণমাধ্যমে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, সে বিষয়ে জেলা যুবদলের আহ্বায়ক এম তমাল আহমেদ বলেন, বিএনপির কোনো নেতা কীভাবে জানবেন যে তারা যুবদল করে কিনা। তিনি আরও বলেন, যদি আটক ব্যক্তিরা যুবদলের সঙ্গে জড়িত থাকত, তবে দলীয়ভাবে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হতো।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফুল কবির সুমন, যুগ্ম আহ্বায়ক কবির হোসেন বাবু, আমিনুর রহমান মধু, নাজমুল হোসেন বাবুল প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত ১ আগস্ট রাতে একটি খেলনা পিস্তল ও একটি সুইচ গিয়ার চাকুসহ পৌরসভার গাংড়া এলাকার আলম খান, দুর্গাপুরের টুটুল, কদমবাড়িয়া গ্রামের সাইফুল ইসলাম এবং খেদাপাড়ার আবু সিনহাকে আটক করে পুলিশ। পুলিশ বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে এবং শুক্রবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ