• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

বাংলাদেশ হালাল অর্থনীতিতে সুযোগ নিতে চায়

নিজস্ব প্রতিবেদক    ৪ আগস্ট ২০২৫, ০৪:০৩ পি.এম.
নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন-ছবি সংগৃহীত

বিশ্বব্যাপী ৭ ট্রিলিয়ন ডলারের হালাল অর্থনীতিতে বাংলাদেশের প্রতিযোগিতামূলক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে সরকার নানামুখী উদ্যোগ নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এবং বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন।

রোববার (৩ আগস্ট) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘হালাল ইকোনমি ৩৬০ : ড্রাইভিং গ্লোবাল গ্রোথ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘বিশ্বের বেশিরভাগ হালাল পণ্য অমুসলিম দেশগুলো উৎপাদন করছে, যা মুসলিম-প্রধান দেশ হিসেবে আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যজনক। তবে এ অবস্থার মধ্যেই রয়েছে বিশাল সম্ভাবনা। সঠিক নীতিমালা ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশ আঞ্চলিক হালাল পণ্যের হাবে পরিণত হতে পারে।’

বিডা চেয়ারম্যান আরও জানান, হালাল শিল্পে বিনিয়োগ আকর্ষণ এবং অবকাঠামো উন্নয়নে সরকার ইতোমধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। তিনি সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব জোরদারের আহ্বান জানান, যা উদ্ভাবন এবং টেকসই উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে।

সেমিনারের শুরুতে বিএমসিসিআই সভাপতি সাব্বির এ খান বলেন, ‘হালাল অর্থনীতি বর্তমানে বৈশ্বিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগের গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি। বাংলাদেশ এই লাভজনক খাতে বিশাল অবদান রাখতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট নীতিমালা, সহজতর সনদপ্রাপ্তি এবং বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করা গেলে ২০৩০ সালের মধ্যে শুধু মালয়েশিয়াতেই বাংলাদেশ ৭–৮ বিলিয়ন ডলারের হালাল পণ্য রপ্তানি করতে পারবে।’

সেমিনারে জানানো হয়, ২০২৫ সালে বৈশ্বিক হালাল খাদ্যবাজারের আকার দাঁড়াবে প্রায় ৩.৩০ ট্রিলিয়ন ডলার, যা ২০৩৪ সালের মধ্যে ৯.৪৫ ট্রিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে। এ সময়কালে বার্ষিক গড় প্রবৃদ্ধির হার হবে ১২.৪২%।

সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার মোহাম্মদ শুহাদা ওসমান। তিনি বাংলাদেশ-মালয়েশিয়ার মধ্যে হালাল অর্থনীতিতে সহযোগিতা বাড়ানোর গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘আমাদের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করার মাধ্যমে উভয় দেশই উল্লেখযোগ্যভাবে উপকৃত হতে পারে।’

বর্তমানে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ মালয়েশিয়া থেকে প্রায় ২.৬ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করেছে, কিন্তু রপ্তানি করেছে মাত্র ২৯৩.৫১ মিলিয়ন ডলারের পণ্য।

বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিএমসিসিআই) আয়োজিত এই সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন শিল্পখাতের উদ্যোক্তা, নীতিনির্ধারক ও খাত সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা। সেমিনারে হালাল অর্থনীতির সম্ভাবনা এবং মালয়েশিয়ার সঙ্গে সহযোগিতার ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে মতবিনিময় করা হয়।

ভিওডি বাংলা/জা

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
নিত্যপণ্যের বাজারে আগুন, বেড়েছে ডিম-পেঁয়াজের দাম
নিত্যপণ্যের বাজারে আগুন, বেড়েছে ডিম-পেঁয়াজের দাম
বাজার সিন্ডিকেটমুক্ত হয়েছে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
বাজার সিন্ডিকেটমুক্ত হয়েছে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
বেড়েছে দেশের মূল্যস্ফীতি
বেড়েছে দেশের মূল্যস্ফীতি