• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

ট্রাম্পকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত করল কম্বোডিয়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক    ৪ আগস্ট ২০২৫, ০৫:০৯ পি.এম.
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প-ছবি সংগৃহীত

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর পর এবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ২০২৫ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছে কম্বোডিয়া। দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রী সান চানথোল সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ট্রাম্পের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার স্বীকৃতি হিসেবে কম্বোডিয়া সরকার তাঁকে চলতি বছরের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনীত করেছে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো-এবারই প্রথম কোনো স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র রাষ্ট্রীয়ভাবে ট্রাম্পকে এই পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দিল।

শুক্রবার রাজধানী নমপেনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সান চানথোল বলেন, ‌‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের আহ্বান ও তৎপরতার ফলেই থাইল্যান্ডের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘদিনের কূটনৈতিক অচলাবস্থা অবসানের পথ সুগম হয়েছে। মালয়েশিয়ার মধ্যস্থতায় যে সমঝোতা হয়েছে, তার পেছনে ট্রাম্পের সক্রিয় ভূমিকা ছিল। তিনি শান্তির নোবেলের জন্য যোগ্য একজন প্রার্থী।’

এছাড়া, চলতি বছরের জুন মাসে দক্ষিণ এশিয়ার দুই বৈরী দেশ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে জম্মু-কাশ্মিরের পেহেলগামে একটি সন্ত্রাসী হামলাকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত উত্তেজনা নিরসনে ট্রাম্পের মধ্যস্থতা ছিল উল্লেখযোগ্য। সংঘাত প্রশমনের পর পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং দেশে ফিরে তাঁকেও শান্তির নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দেন।

পরবর্তীতে জুলাই মাসে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুও ট্রাম্পকে নোবেলের জন্য মনোনীত করেন।

এ প্রসঙ্গে নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট থাকাকালে আব্রাহাম চুক্তি অনুসরণ, আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা হ্রাসসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শান্তি প্রতিষ্ঠায় নানা উদ্যোগে আমি নেতৃত্ব দিয়েছি। আমি জানি, এসব কাজের জন্য আমি নোবেল পুরস্কার পাবো না, তবে মানুষ যা ঘটছে তা দেখছে এবং বুঝছে। সেটাই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ।’

নোবেল পুরস্কারের মনোনয়ন প্রক্রিয়া

বিশ্বের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ এই পুরস্কার প্রদান করে নরওয়ের নোবেল কমিটি। পুরস্কারের মনোনয়ন ও প্রার্থী বাছাইয়ের পুরো প্রক্রিয়াটি হয়ে থাকে গোপনীয়ভাবে। বিভিন্ন দেশের আইনপ্রণেতা, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, সাবেক নোবেলজয়ী, রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান, জাতীয় পার্লামেন্ট সদস্য এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তারা মনোনয়নের অধিকার রাখেন। কোনো ব্যক্তি নিজের নাম মনোনয়ন দিতে পারেন না।

নোবেল কমিটি প্রাথমিক যাচাই-বাছাই শেষে উপযুক্ত মনোনয়নগুলো নরওয়ের পার্লামেন্টে পাঠায়। এরপর পাঁচ সদস্যের একটি বিশেষ কমিটি সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরি করে, যা পার্লামেন্টে উপস্থাপন করা হয়। গণভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত করা হয় বিজয়ীদের।

প্রতি বছর অক্টোবর মাসে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয় এবং ১০ ডিসেম্বর, নোবেল পুরস্কারের জনক আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুবার্ষিকীতে পুরস্কার প্রদান করা হয়।

ভিওডি বাংলা/জা

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
নির্বাচন প্রতিহতের ঘোষণা দিল আরাকান আর্মি
নির্বাচন প্রতিহতের ঘোষণা দিল আরাকান আর্মি
২০ লাখ লিটার তেলসহ বিদেশি ট্যাঙ্কার জব্দ করল ইরান
২০ লাখ লিটার তেলসহ বিদেশি ট্যাঙ্কার জব্দ করল ইরান
রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী আটক
রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী আটক