নির্বাচনের ঘোষণা জাতিকে আশার আলো দেখিয়েছে : মিঠু


গণ-অভ্যুত্থানের পর নতুন বাংলাদেশের প্রত্যাশা নিয়ে কথা বলেছেন মাদারীপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক, সাবেক সাংবাদিক সম্পাদক বিশিষ্ট আইনজীবী মোঃ জামিনুর হোসেন মিঠু।
তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি- সুশৃঙ্খল ও সমৃদ্ধতায় আমাদের এই দেশ হবে এমন এক আইডল, যা দেখে পিছিয়ে পড়া অন্যদেশগুলো শিক্ষা নেবে। বাংলাদেশের দিকে অবাক বিস্ময়ে তাকাবে। আমাদের এই মাতৃভূমিতে একজন লোকও না খেয়ে থাকবে না। রাস্তায় ধূলোয় মলিন দিন কাটাবে না কোনো শিশু, কেউ কাউকে ধোঁকা দেবে না, দেশের টাকা বিদেশে পাচার করবে না। অন্যের ক্ষতি করবে না। অন্যের দুঃখে ব্যথিত হবে, পাশে দাঁড়াবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে। নারীদের জন্য চাই মায়ার চাদরে ঘেরা অকৃত্রিম প্রেমের বাংলাদেশ। যেখানে আর লজ্জিত ও লাঞ্ছিত হবে না একজন মা-বোন। বৃদ্ধ বাবা-মায়ের জন্য চাই বিশুদ্ধ মায়া ও শ্রদ্ধার বাংলাদেশ। যেখানে কউ আর নিজেদের বৃদ্ধ বাবা-মাকে বোঝা মনে করবে না।সর্বশেষ তারুণ্যনির্ভর বাংলাদেশ চাই। তরুণদের জন্য অপার সম্ভাবনাময়ী বাংলাদেশ। তরুণরাই যেন আমাদের টেনে নিয়ে যায় স্বপ্নের দেশে।’
বুধবার (০৬ আগস্ট) বিকালে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের বছরপূর্তি উপলক্ষে মাদারীপুর জেলা বিএনপি, কৃষকদল, মৎসবীজীদল ও মহিলা দলের আয়োজনে বিজয় মিছিল শেষে সমাবেশে তিনি এসব বলেন।
অ্যাডভোকেট মোঃ জামিনুর হোসেন মিঠু বলেন, রমজানের আগে নির্বাচনের ঘোষণা ‘হতাশ’ জাতিকে আশার আলো দেখিয়েছে।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি হচ্ছে নির্বাচন। নির্বাচন ছাড়া গণতন্ত্র হয় না, আবার গণতন্ত্র ছাড়া নির্বাচন প্রায় অর্থহীন বা আত্মাহীন দেহের মতো। তাই আমরা একটি মানবিক রাষ্ট্র গঠনের প্রত্যয় নিয়ে নির্বাচনি ট্রেনের যাত্রী হওয়ার জন্য সবাইকে আহ্বান জানাই। যারা নির্বাচনের বিপক্ষে অবস্থান নেবে জাতির কাছে তারা গণতন্ত্রের দুশমন হিসেবে চিহ্নিত হবেন।
অ্যাডভোকেট মোঃ জামিনুর হোসেন মিঠু বলেন, জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত সরকারের নৈতিক ভিত্তি শক্তিশালী থাকে। গত ১৭টি বছর এদেশের মানুষ ছিল ভোটাধিকারহীন। মানুষ এখন ভোট দিতে চায়। তাদের অধিকার ফিরে পেতে চায়।
তিনি বলেন, চব্বিশের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে শ্বাসরুদ্ধকর পরিবেশ থেকে মুক্তি পেয়েছে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ। বিগত ১৬ বছর শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনে সোনার বাংলাকে পরিণত করা হয়েছিল মৃত্যু উপত্যকায়। দেশের মানুষ ছিল অধিকার হারা। দেশে গণতন্ত্র ছিল না। মানবাধিকার ছিল না। আইনের শাসন ছিল না। ভোটাধিকার ছিল না। বাক-স্বাধীনতা ছিল না। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ছিল না। ‘ন্যায়বিচারের ব্যাংক’ হয়ে পড়েছিল দেউলিয়া। মানবতার কোষাগার শূন্য হয়ে পড়েছিল। ছিল না স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও মাদারীপুর -৩ সংসদীয় আসনের বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী এমপি প্রার্থী খন্দকার মাশুকুর রহমান মাশুক এর দিক নির্দেশনায়এবং অ্যাডভোকেট মোঃ জামিনুর হোসেন মিঠু এর নেতৃত্বে বিজয় মিছিল ও সমাবেশে জেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব মোঃ অহীদুজ্জান খান অহীদ, যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ আবুল বাশার মাতুব্বর, জেলা জাসাদ এর সভাপতি এহসানুল হক নিলু, জেলা মহিলা দলের সভাপতি মোসাঃ লাইজু আক্তার, জেলা মৎসবীজী দলের সভাপতি মোঃ আবু সায়েম বেপারী, সহ-সভাপতি ও ঘটমাঝি ইউনিয়নের সাবেক সদস্য মোঃ সরোবর হোসেন খান, মাদারীপুর সদর উপজেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব এস এম সম্রাট রোমান প্রমুখ নেতাকর্মী ও অসংখ্য সমর্থক উপস্থিত ছিলেন।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ