• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১
টপ নিউজ
ছনুয়া ইউনিয়নে নিজ উদ্যোগে রাস্তাঘাট মেরামত কিশোরগঞ্জে দূর্গামন্ডপ পরিদর্শন করলেন সাবেক এমপি বিলকিস ইসলাম পুলপাড় রায়ের বাজার মন্দির পরিদর্শনে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম মালদ্বীপে রফিকুল আলম মজনুকে সংবর্ধনা শারদীয় দুর্গাপূঁজা উপলক্ষে ঢাকেশ্বরী মন্দির পূঁজা মন্ডপ পরিদর্শনে বিএনপি চীফ প্রসিকিউটর বনাম শেখ হাসিনার মামলার ৫৪তম সাক্ষ্যগ্রহণ আজ মেধা কাজে লাগালে বিশ্বে স্বনামধন্য হওয়া যায় - আবদুস সালাম হোয়াটসঅ্যাপের নতুন চমক ‘শিডিউল কল’ ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরের পূজা প্রস্তুতি পরিদর্শন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের দায়িত্ব রাষ্ট্র নেবে: আমিনুল হক

হাতুড়ি নিয়ে যুবলীগ নেতার ধাওয়া

পালিয়ে বাঁচলেন যুবদল নেতা

ধামরাই প্রতিনিধি    ৮ আগস্ট ২০২৫, ০২:৫৮ পি.এম.
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার ধামরাইয়ে আওয়ামী লীগের পক্ষে মিছিলের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন সাবেক ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতা মো. মিজানুর রহমান। বিষয়টি জানতে পেরে বাধা দিতে গেলে ধস্তাধস্তি হয় স্থানীয় যুবদল নেতা লিটন মাহমুদ মুরাদ সাথে। একপর্যায়ে তাকে পরবর্তীতে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন ওই যুবলীগ নেতা। পরদিন লিটনকে আসতে দেখে তাকে হাতুড়িসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া দেন মিজানুর তার ভাই ও ভাগনে। সেখান থেকে পালিয়ে একটি বসতবাড়িতে আশ্রয় নেন লিটন। এরপর স্থানীয়রা এসে লিটনকে উদ্ধার করে।

বৃহস্পতিবার (০৭ আগস্ট) তেলিগ্রাম এলাকায় গিয়ে কথা হয় এলাকাবাসীর সঙ্গে। ভুক্তভোগী লিটন মাহমুদ মুরাদ ধামরাই উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের তেলিগ্রাম এলাকার বাসিন্দা। তিনি বালিয়া ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সহদপ্তর ও প্রচার সম্পাদক।

পরবর্তীতে খবর পেয়ে পুলিশ এলে তাদের সামনেই লিটনকে হত্যার হুমকি দেন। বলেন, ওর হাত-পা ভেঙে তারপর জেলে যাব। সেখানে থাকা পুলিশ তাকে আটক করে পরবর্তীতে  (৫ আগস্ট) ধামরাইয়ের আফিকুল ইসলাম সাদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠায়।

অভিযুক্ত মিজানুর রহমান ধামরাই উপজেলার বালিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। পরবর্তীতে তিনি যুবলীগে যোগ দেন। ধামরাই উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক খায়রুল ইসলামের অনুসারী ছিলেন তিনি। বিষয়টি নিশ্চিত করেন যুবলীগের জ্যেষ্ঠ এক নেতাও। মিজানুরের ফেসবুক আইডিতেও আওয়ামী লীগের পক্ষে নানা পোস্ট দেখা যায়। 

লিটন মাহমুদ মুরাদের করা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২১ জুলাই তেলিগ্রামের ব্রিজের পাশে একটি স্থানে মিজানুর রহমানসহ আরও ৮-১০ জন বৈঠক করেন। তারা আওয়ামী লীগের পক্ষে একটি মিছিলের প্রস্তুতি নেন। বিষয়টি জানতে পেরে সেখান যান লিটনসহ আরও কয়েকজন। মিজানুরদের তানা বাধা দিতে গেলে একপর্যায়ে সেখানে তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। পরে আশপাশের লোকজন এসে তাদের থামিয়ে সেখান থেকে সরিয়ে দেয়।

পুলিশ জানায়, খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে যান। পরে তারা মিজানুরের আওয়ামী লীগের মিছিলের প্রস্তুতি নেওয়ার বিষয়টি জানতে পারেন ও লিটনকে হাতুড়িসহ ধাওয়া দেওয়ার বিষয়টিও জানতে পারেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে তাকে ধামরাই থানায় আফিকুল ইসলাম সাদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।

লিটনকে হাতুড়িসহ ধাওয়া দেওয়ার ঘটনাটির প্রত্যক্ষদর্শী তেলিগ্রাম স্ট্যান্ডের মুদি দোকানি আব্দুর রশিদ। তিনি বলেন, আমি দোকানে ছিলাম। হঠাৎ লিটনকে রাস্তায় আসতে দেখে হাতুড়ি হাতে নিয়ে তাকে মিজান তার ভাই ও ভাতিজা ধাওয়া দেয়। পুলিশ আসার পরও মিজানুর তাকে হুমকি ধামকি দিচ্ছিল।

লিটনকে আশ্রয় দেওয়া আক্কাস আলীর স্ত্রী পঞ্চাশোর্ধ জোসনা বেগম বলেন, লিটন দৌড়াইয়া আসছে, তারে মিজানুর, তার ভাই ও ভাগনে হাতুড়ি দিয়ে মারতে আসছে। আমরা লিটনকে দরজা বন্ধ করে বাঁচাই। পরে আশপাশের লোকজন এসে তাকে নিয়ে যায়।

এদিকে এ ঘটনায় এখনও আতঙ্কগ্রস্ত ভুক্তভোগী যুবদল নেতা লিটন মাহমুদ মুরাদ। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের মিছিল ঠেকানোর কারণে যুবলীগ নেতা আমাকে হত্যার চেষ্টা করে। আমাকে হাতুড়ি নিয়ে ধাওয়া দেয়। পালিয়ে আমি রক্ষা পাই। আমি এখনও হুমকির মধ্যে আছি। আমি যুবলীগ নেতা মিজানুরের শাস্তির দাবি জানাই। 

ধামরাই থানার উপপরিদর্শক (এস আই) মো. নিয়াজ মোর্শেদ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। গিয়ে দেখি মিজানুর লিটনকে হুমকি দিচ্ছেন। তাকে আটক করি। তারপর এলাকাবাসীর কাছে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারি, মিজানুর আওয়ামী লীগের পক্ষে মিছিলের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। সেটি নিয়ে যুবদল নেতা লিটনের সঙ্গে তার বিরোধ হয়। সেদিন রাতে লিটনের বাড়িতে আগুন দেয় মিজানুর। আর পর দিন লিটনকে হাতুড়িসহ ধাওয়া দেয় মিজানুর, তার ভাই ও ভাতিজা। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে যায়। পুলিশের উপস্থিতি দেখে মিজানুরের সঙ্গীরা পালিয়ে যায়। পরে মিজানুরকে আটক করা হয়। 

ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, মিজানুর রহমান একসময় ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছিল। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে সাবেক সংসদ সদস্য এম এ মালেকের অনুসারী থানা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক খায়রুল ইসলামের সাথে রাজনীতি করতো। গত ১৫ বছর ফ্যাসিস্টের যত অপকর্ম, সেগুলোর সঙ্গে জড়িত ছিল।


ভিওডি বাংলা/ এমএইচ

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
অটোরিকশা ও হকারে স্থবির ফেনী শহর
অটোরিকশা ও হকারে স্থবির ফেনী শহর
সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের ৫ সদস্যের আহবায়ক কমিটি গঠন
সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের ৫ সদস্যের আহবায়ক কমিটি গঠন
কুড়িগ্রামের কালজানি নদী দিয়ে ভেসে আসছে গাছের গুড়ি
কুড়িগ্রামের কালজানি নদী দিয়ে ভেসে আসছে গাছের গুড়ি