• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

তারেক রহমান-ই পারবেন বাংলাদেশের হারিয়ে যাওয়া ভবিষ্যৎ ফেরাতে

ভিওডি বাংলা ডেস্ক    ১১ আগস্ট ২০২৫, ০৯:২৫ পি.এম.
ছবি: সংগৃহীত

ইসহাক আসিফ

তারেক রহমানই পারবেন। তার দ্বারাই বাংলাদেশের পরিবর্তন সম্ভব। দেশের ১৮ কোটি মানুষ তাকিয়ে আছে তার (তারেক রহমান) অপেক্ষায়। ফ্যাসিস্ট সরকারের রোষানলে হামলা-মামলা ও খুন-গুমের শিকার দলের নেতাকর্মীসহ সাধারণ ছাত্র-জনতাকে ঐক্যবদ্ধ করে ২৪-এর গণঅভুত্থান ঘটাতে তার (তারেক রহমান) অন্যতম ভুমিকা ছিল।

বলছি বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কথা। যিনি বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং বাংলাদেশের নির্বাচিত তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জ্যেষ্ঠ পুত্র। এক এগারোর জরুরী সরকারের সময়Ñঅর্থাৎ তখন  ২০০৭ সাল। আর এই (২০০৭) সালের ৭ মার্চ বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক কালো অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হয়ে আছে। ২০০৭ সালের ৭ মার্চ  কথিত দুর্নীতির মামলায় আসামি হিসেবে তারেক রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তখন তিনি (তারেক রহমান) বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের মইনুল রোডের বাসা থেকে তারেক রহমান গ্রেপ্তার হওয়ার পর একের পর এক অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। সেই পাশবিক নির্যাতনের ভিডিও চিত্র এবং কিছু বিবরণ প্রকাশ্যে আসলেও পুরো চিত্র এখনো অনেকের কাছে অজানা রয়েছে। ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর তারেক রহমান জামিনে মুক্তি পান।

এরপর ১১ সেপ্টেম্বর চিকিৎসার জন্য তিনি সপরিবার লন্ডনে যান। তারেক রহমান দীর্ঘ ১৭ বছর একটানা লন্ডনে অবস্থান করছেন। সেখান (লন্ডন) থেকেই তিনি ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে নানাভাবে দুর্গম ( Inaccessible) আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন। ফ্যাসিস্ট সরকারের রোষানলে হামলা-মামলা ও খুন-গুমের শিকার দলের নেতাকর্মীসহ সাধারণ ছাত্র-জনতাকে ঐক্যবদ্ধ করে ২৪-এর গণঅভুত্থান ঘটাতে তার (তারেক রহমান) অন্যতম ভুমিকা ছিল। তারেক রহমান দেশে আসছেন।

শুধু কি তারেক রহমান আসছেন-এই প্রশ্ন সবার। অনেক আগে থেকেই বলাবলি হচ্ছিল ‘লিডার’ ( A leader is the one in the charge, the person who convinces other people to follow. A great leader inspires confidence in other people and moves them to action.) আসছেন। হ্যাঁ, এবার লিডার সত্যিই আসছেন। কবে আসছেন-এটিও এখন বেশ পরিষ্কার হয়ে গেছে। তারেক রহমানের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ও বিএনপির কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির এক অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন, উনি (তারেক রহমান) নভেম্বর অথবা ডিসেম্বরের দিকে দেশে ফিরবেন। এখন কথা হচ্ছে, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে যাচ্ছে।

রংপুরে এক মতবিনিময় সভায় এরইমধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন জানিয়েছেন, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসও তার ভাষণে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হওয়ার কথা জানিয়েছেন। আর এই বছরের ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার কথা জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। এখন পরিষ্কার যে তারেক রহমান নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরই দেশে আসছেন। এখন অনেকেই প্রশ্ন করেন। সেটি হলো লন্ডন থেকে তারেক রহমান আসছেন। এটা তো আমরা সবাই জানি। কিন্তু অজানা একটা কথা রয়ে যাচ্ছে। সেটি হলো লন্ডন থেকে বাংলাদেশের আগামীর রাষ্ট্রনায়ক (প্রধানমন্ত্রী) আসছেন।

আর এই রাষ্ট্রনায়ক-ই তারেক রহমান। সাম্প্রতিক চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) জাতীয় কাউন্সিলে বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও বলেন, তারেক রহমানই আমাদের ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী। ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার বিদায়ের পর বাংলাদেশে নানা সংকট ও প্রতিকূলতার তৈরী হয়েছে। তবে, এই সংকট ও প্রতিকূলতা ফ্যাসিস্টরাই তৈরী করে গেছে। আমরা মনে করি তারেক রহমানই পারবেন বাংলাদেশের হারিয়ে যাওয়া ভবিষ্যৎ ফিরে আনতে। তিনি পারবেন বাংলাদেশের চোখের পানি মোছাতে। তারেক রহমানই প্রথম রাজনীতিবিদ যিনি ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দাম্ভিকতা ও অহমিকার উপর সশব্দে কয়েকটি চপেটাঘাত করেছেন। ভারসাম্যহীন করেছেন ফ্যাসিস্টদের। তারেক রহমানের শিক্ষা আছে। সাহস আছে। কৌশল আছে। বিচক্ষণতা আছে। তিনি নানামুখী ঝড়-ঝঞ্ঝার মধ্য দিয়ে পথ চলতে-চলতে আগুনে পুড়ে পুড়ে এখন খাঁটি সোনায় পরিণত হয়েছেন। তার জনসম্পৃক্তি আছে। জনসংযোগ আছে। সর্বোপরি তিনি বাংলাদেশকে বর্হির্বিশ্বে এগিয়ে নিতে পারবেন।

তারেক রহমানের দেশে ফেরা আসন্ন। এই খবরে বিএনপির নেতাকর্মীরা উৎফুল্ল। তারা (নেতাকর্মীরা) অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছেন। প্রিয় নেতা (তারেক রহমান) দেশে আসছেন। এনিয়ে যেন তাদের অনুভূতির শেষ নেই।  বগুড়া থেকে ভিপি শহিদুল ইসলাম বাবলু তার অনুভূতির কথা তুলে ধরেন। তিনি জেলার শেরপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি। শহিদুল ইসলাম বাবলু বলেন, আমাদের প্রিয় নেতা তারেক রহমানই পারবেন। তার দ্বারাই বাংলাদেশের পরিবর্তন সম্ভব। দেশের ১৮ কোটি মানুষ তাকিয়ে আছে তার (তারেক রহমান) অপেক্ষায়। শহিদুল ইসলাম মনে করেন তারেক রহমান যেদিন আসবেন। সেদিন বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটই পরিবর্তন হয়ে যাবে। তিনি এ-ও মনে করেন আবাল-বৃদ্ধ, বনিতা ও তাওহিদি জনতাÑএরা সকলেই তারেক রহমানের নেতৃত্বের প্রতি অত্যান্ত শ্রদ্ধাশীল।

আমরা বলতে পারি বাংলাদেশের আগামীর পরিবর্তন হাওয়া তারেক রহমানের হাতে। আর তিনি কথার চেয়ে কাজে বিশ্বাসী। তারেক রহমান বিশ্বাস করেন ভবিষ্যতের চাবি উর্ধ্বতন ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক নেতাদের কাছে না। এটা খেটে খাওয়া মানুষের হাতে রয়েছে। তিনি সাধারণ মানুষের হাতে ক্ষমতা তুলে দিতে চান।

লেখক: সাংবাদিক ও প্রাবন্ধিক

ভিওডি বাংলা/ এমপি

[নিবন্ধ, সাক্ষাৎকার, প্রতিক্রিয়া প্রভৃতিতে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। ভিওডি বাংলা সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে নিবন্ধ ও সাক্ষাৎকারে প্রকাশিত মত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণ, তথ্য-উপাত্ত, রাজনৈতিক, আইনগতসহ যাবতীয় বিষয়ের দায়ভার লেখকের, ভিওডি বাংলা কর্তৃপক্ষের নয়]
                   


  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
সংস্কার ও বিচার ছাড়া নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হলে জুলাই গণঅভ্যুত্থান ব্যর্থ হবে
সংস্কার ও বিচার ছাড়া নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হলে জুলাই গণঅভ্যুত্থান ব্যর্থ হবে
দৌড়াও, থেমো না, আমি আছি — কথা রেখেছেন মাহেরীন
দৌড়াও, থেমো না, আমি আছি — কথা রেখেছেন মাহেরীন
লজ্জা পাচ্ছে, আবার নীরবে প্রতিরোধও করছে
লজ্জা পাচ্ছে, আবার নীরবে প্রতিরোধও করছে