কুমারখালীতে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকার প্রতিবাদে মানববন্ধন


কুষ্টিয়া কুমারখালীর নন্দলালপুর ইউনিয়নের বাঁশআড়া মাঠে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় হাজার হাজার বিঘা ফসলী জমি পানির নিচে তলিয়ে আছে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থার দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকা বাসী।
মঙ্গলবার (১২ আগষ্ট) সকাল ৮টায় উপজেলার কুষ্টিয়া -রাজবাড়ী মহাসড়কের মাঝে সৈয়দ মাসুদ রুমী সেতুর পূর্ব পাশে বাঁশআড়া মোড়ে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বাঁশআড়া, কাশিমপুর, হাসাবপুর, নন্দলালপুর, সৌঁপুকুড়িয়ার মাঠে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় পানিতে তলিয়ে গেছে প্রায় ৫ হাজার বিঘা ফসলী জমি। এতে লাখ লাখ টাকার ক্ষতি হচ্ছে কৃষকদের। এছাড়াও পানিতে তলিয়া গেছে বসত বাড়ীসহ রান্নাঘড় প্রর্যন্ত। পূর্বে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা থাকলেও প্রায় একযুগ ধরে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে এখানে।
বিশেষকরে কয়েকটি স্থানে খালটি ভরাট করে বসত বাড়ি গড়ার কারনে আরো বেশি বিপাকে পড়েছে প্রায় ৫ টি ২০হাজার মানুষ।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয় প্রভাবশারী মহল। তারা অপরিকল্পিতভাবে পুকুর খনন, যেখানে সেখানে যে যার মতো বাড়ি-ঘর নির্মাণ আর এলাকার বিভিন্ন ব্রিজ ও কালভার্টের মুখ বন্ধ করে দেওয়ার পর থেকে এলাকার শতশত একর কৃষি জমি জলাবদ্ধতার মধ্যে পড়ে সৃষ্টি হচ্ছে ফসলের ব্যাপক ক্ষতিসাধন।
মানববন্ধনে উপস্থিত সবাই দাবি করেন, দ্রুত খালটি দখল মুক্ত ক রা হোক এবং পানি নিষ্কাশনের জন্য যা যা করনীয় সেই পদক্ষেপ দ্রুত নিতে হবে।
এবিষয়ে জেলা প্রশাসক এবং কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করা হলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
এসময় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা কৃষক দলের আহবায়ক সাইদুল ইসলাম, বিএপি নেতা আব্দুর রাজ্জাক, উপ জেলা জামায়াতের অফিস সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শরীফ, জামায়াত নেতা আজিজুল হক।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রাইসুল ইসলাম বলেন, পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকা ও জলাবদ্ধতা দৃষ্টি হয়েছে। আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা ও সরকারি কালভার্ট বন্ধ করার বিষয়টি পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ ও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ