• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

মাইলস্টোনে যুদ্ধবিমান দুর্ঘটনা: কোচিং বন্ধের দাবি অভিভাবকদের

নিজস্ব প্রতিবেদক    ১২ আগস্ট ২০২৫, ০৪:৩৩ পি.এম.
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় নিহত ও আহত শিক্ষার্থীদের পরিবারের সদস্যরা আজ মানববন্ধন করেছেন। সকাল ১০টার দিকে দিয়াবাড়ি গোলচত্বরে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে অংশ নিয়ে তারা নয় দফা দাবি উত্থাপন করেন।

অভিভাবকদের দাবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-বিধ্বস্তের দিনের স্কুলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ প্রকাশ, কোচিং ব্যবসা বন্ধ, ক্ষতিপূরণ প্রদান  এবং সংশ্লিষ্টদের অপসারণ ও বিচার।

অভিভাবকদের নয় দফা দাবি: যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করতে হবে, মাইলস্টোনসহ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোচিং বাণিজ্য বন্ধ করতে হবে, সরকারের পক্ষ থেকে নিহত প্রতি শিক্ষার্থীর পরিবারকে ৫ কোটি টাকা ও আহতদের পরিবারকে ১ কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, স্কুলের পক্ষ থেকেও নিহত প্রতি শিক্ষার্থীর পরিবারকে ২ কোটি টাকা এবং আহতদের পরিবারকে ১ কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, রানওয়ের পাশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না রাখার জন্য রানওয়ে অথবা স্কুলের স্থানান্তর নিশ্চিত করতে হবে, কোচিং ব্যবসার মূল হোতা হিসেবে অভিযোগ থাকা স্কুল শাখার প্রধান শিক্ষক খাদিজা মিসকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ করতে হবে এবং তদন্তের আওতায় আনতে হবে, বিধ্বস্তের দিনের সিসি ক্যামেরার সব ফুটেজ অভিভাবকদের দেখাতে হবে, বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ কার্যক্রম জনবসতিহীন এলাকায় সরিয়ে নিতে হবে ও মানববন্ধন চলাকালে এক অভিভাবকের গায়ে হাত তোলার অভিযোগে শিক্ষক ‘কনক’ কে অপসারণ করতে হবে।

অভিভাবকদের অভিযোগ ও ক্ষোভ

নিহত শিক্ষার্থী মারিয়াম উম্মে আফিয়ার মা উম্মে তামিমা আক্তার বলেন, ‘আমার মেয়ে কোচিং না করলে মিসরা তাকে আদর করত না। শুধু আদরের আশায় মেয়েটাকে কোচিংয়ে দিয়েছিলাম।’

তিনি আরও অভিযোগ করেন,  স্কুলের পরীক্ষায় খারাপ করিয়ে অভিভাবকদের কোচিংয়ের জন্য বাধ্য করা হয়। এভাবে মানসিক চাপে কোচিংয়ে পাঠাতে বাধ্য হন অনেকেই।

নিহত শিক্ষার্থী বোরহান উদ্দীন বাপ্পীর বাবা মোহাম্মদ আবু শাহীন বলেন, ‘শিক্ষকেরা বলেন বাচ্চা ক্লাসে পড়ে না, নানা রকম মানসিক টর্চার করে কোচিংয়ে ভর্তি করায়।’

একাধিক অভিভাবকের দাবি, কোচিং ব্যবসার নেতৃত্বে রয়েছেন স্কুল শাখার প্রধান শিক্ষক খাদিজা মিস। তাঁদের অভিযোগ, একাধিক শিক্ষক এমনকি শিক্ষার্থীরাও কোচিং না করলে বঞ্চনার শিকার হয়।

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া অভিভাবকেরা অভিযোগ করেন, স্কুল কর্তৃপক্ষ থেকে কেউ ঘটনাস্থলে এসে তাদের সঙ্গে কথা বলেননি। উল্টো, মানববন্ধনে আসা শিক্ষার্থীদের স্কুলে ডেকে নেওয়ার অভিযোগও তুলেছেন তারা।

মানববন্ধনের স্লোগান ও প্ল্যাকার্ড

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের হাতে ছিল নিহতদের ছবিসংবলিত প্ল্যাকার্ড। তারা বিভিন্ন স্লোগান দেন, যেমন-‘কোচিংয়ের নামে ব্যবসা, বন্ধ কর, বন্ধ কর’, ‘ফুল-পাখি সব পুড়ল কেন, জবাব চাই, দিতে হবে’, ‘শিক্ষা না ব্যবসা, শিক্ষা-শিক্ষা’, ইত্যাদি।

ভিওডি বাংলা/জা

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
তেজগাঁওয়ে ট্রেনের ধাক্কায় অজ্ঞাত বৃদ্ধের মৃত্যু
তেজগাঁওয়ে ট্রেনের ধাক্কায় অজ্ঞাত বৃদ্ধের মৃত্যু
ঢাকায় হিমেল বাতাসে বেড়েছে শীতের আমেজ
ঢাকায় হিমেল বাতাসে বেড়েছে শীতের আমেজ
আগারগাঁওয়ে গ্যাস লিকেজে বিস্ফোরণ, একই পরিবারের দগ্ধ ৬
আগারগাঁওয়ে গ্যাস লিকেজে বিস্ফোরণ, একই পরিবারের দগ্ধ ৬