• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

পাপিয়া দম্পতির অবৈধ সম্পদ মামলার রায় আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক    ১৪ আগস্ট ২০২৫, ০৯:৪৬ এ.এম.
শামীমা নূর পাপিয়া-স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী-ছবি সংগৃহীত

যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরীর বিরুদ্ধে দাখিল করা অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলার রায় ঘোষণা করা হবে বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট)। ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবু তাহের এদিন রায় ঘোষণা করবেন। 

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে মামলাটির কৌঁসুলি মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর গণমাধ্যমকে জানান, “আজ মামলাটির রায় ঘোষণার দিন ধার্য রয়েছে। আমরা আশাবাদী, আদালত আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেবেন।”

মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনকালে দুদকের কৌঁসুলি আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন। অন্যদিকে, প্রস্তুতির অভাবে সময় আবেদন করেছিলেন আসামিপক্ষের আইনজীবী শাখাওয়াত উল্লাহ ভূঁইয়া। আদালত সময়ের আবেদন নাকচ করে দেওয়ায় তিনি যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করতে পারেননি।

২০২০ সালের ৪ আগস্ট পাপিয়া ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে প্রায় ৬ কোটি ২৪ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেন দুদকের উপপরিচালক শাহীন আরা মমতাজ। তদন্ত শেষে পরের বছরের মার্চে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন তিনি।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, পাপিয়া ও তার স্বামী ৫ কোটি ৮৪ লাখ ১৮ হাজার ৭১৮ টাকার অবৈধ সম্পদের মালিক। ২০২১ সালের ৩০ নভেম্বর আদালত তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয়।

দুদকের অনুসন্ধানে উঠে আসে, ২০১৯ সালের ১২ অক্টোবর থেকে ২০২০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গুলশানের ওয়েস্টিন হোটেলের প্রেসিডেনসিয়াল স্যুটসহ ২৫টি কক্ষে অবস্থান করেন পাপিয়া। এ সময় তিনি খাবার, মদ, স্পা, লন্ড্রি ও বারের খরচ বাবদ ৩ কোটি ২৩ লাখ ২৪ হাজার ৭৬১ টাকার বিল নগদে পরিশোধ করেন।

তদন্তে আরও জানা যায়, তিনি ওয়েস্টিনে অবস্থানকালে ৪০ লাখ টাকার কেনাকাটা করেন, যার কোনো বৈধ উৎস দেখাতে পারেননি। এছাড়া, তিনি ২০১৫ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে মাসে ৫০ হাজার টাকা হারে ৩০ লাখ টাকার বাসাভাড়া দিয়েছেন, গাড়ির ব্যবসায় ১ কোটি টাকা এবং কেএমসি কার ওয়াশ সলিউশনে ২০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছেন।

পাপিয়া ও তার স্বামীর নামে বিভিন্ন ব্যাংকে ৩০ লাখ ৫২ হাজার ৯৫৮ টাকা জমা রয়েছে বলেও অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, যার বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি।

২০২০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি পাপিয়া ও তার স্বামীকে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। পরে ঢাকার ইন্দিরা রোডে ও নরসিংদীর বাসায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ ও মূল্যবান সামগ্রী জব্দ করা হয়।

তাদের বাসা থেকে ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা এবং একটি ২২ লাখ টাকা মূল্যের হোন্ডা সিভিক গাড়ি জব্দ করা হয়। র‌্যাব জানায়, পাপিয়া ওয়েস্টিন হোটেলে ‘অসামাজিক কার্যকলাপ’ পরিচালনার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আয় করতেন।

এ পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক, অর্থ পাচার ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে। এর মধ্যে অর্থ পাচারের এক মামলায় গত ২৫ মে আদালত পাপিয়াকে চার বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। তবে ওই মামলায় পাপিয়ার স্বামীসহ চারজনকে খালাস দেওয়া হয়।

ভিওডি বাংলা/জা

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু
টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু
মেজর সাদিকের স্ত্রী জাফরিনের আদালতে স্বীকারোক্তি
মেজর সাদিকের স্ত্রী জাফরিনের আদালতে স্বীকারোক্তি
তদন্ত সংস্থার কাছে আসিফ মাহমুদের জবানবন্দি
তদন্ত সংস্থার কাছে আসিফ মাহমুদের জবানবন্দি