লক্ষীপুরে গৃহবধূ রিনা হত্যার আসামি ধরাছোঁয়ার বাহিরে


লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার পাটোয়ারী হাটের গৃহবধূ রিনা আক্তার (২৭) হত্যা মামলার ২০ দিন পেরিয়ে গেলেও প্রধান আসামি হেলাল (৩৭) গ্রেপ্তার হয়নি। এতে নিহতের পরিবার গভীর হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত ও গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, হেলাল বহুদিন ধরে কমলনগরে জমি দখল, মামলা তদবির, চাঁদাবাজি, ব্ল্যাকমেইল, প্রতারণাসহ সব ক্ষেত্রেই তার নাম জড়িয়ে আছে। প্রশাসনের চোখের সামনে থেকেও সে পার পেয়ে গেছে।
রিনা হত্যার পরও তার অবাধ বিচরণ ও গ্রেপ্তার না হওয়া স্থানীয়দের জন্য আতঙ্কের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাবশালী মহলের ছত্রচ্ছায়ায় হেলাল এখনো ধরা-ছোঁয়ার বাইরে।
নিহতের ছোট ভাই আকবর হোসেন বাবর (২৫) জানান, রিনা আক্তারের সঙ্গে তার পরিচয় হয় জমি সংক্রান্ত একটি বিরোধের সূত্রে। জমি উদ্ধার করে দেওয়ার কথা বলে একাধিকবার দফায় দফায় রিনার কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়। পরে টাকা ফেরত চাইলে, হেলাল বিভিন্ন হুমকি-ধমকি ও অনৈতিক প্রস্তাব দিতে থাকেন। এতে রিনা আক্তার রাজি না হওয়ায় অবশেষে গত ২৪ জুলাই বৃহস্পতিবার সকালে টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে রামগতি উপজেলার হক বাজারের অদূরে বেড়ীবাঁধে রিনাকে ডেকে নিয়ে বেধড়ক মারধর ও বাইকের হেলমেট দিয়ে আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যান হেলাল। এ ঘটনায় হেলালকে প্রধান আসামি করে অজ্ঞাত আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মা হারিয়ে রিনা আক্তারের দুই শিশু রিশাদ (১২) ও রিহান (৯) প্রতিদিন কান্নায় ভেঙে পড়ছে। তাদের চোখে এখনো মায়ের জন্য অপেক্ষা।
ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এলাকাবাসীর দাবি: এটি শুধু একটি হত্যাকাণ্ড নয়, বরং প্রশাসনিক দুর্বলতা ও অপরাধীদের দৌরাত্ম্যের নগ্ন উদাহরণ। মামলার ২০ দিন পার হলেও পুলিশ এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। “তদন্ত চলছে” বলে দায় এড়িয়ে যাচ্ছে। কিন্তু মাঠ পর্যায়ে কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই। এই ধীরগতি ও উদাসীনতা স্থানীয়দের আস্থাহীন করে তুলছে।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ