অতিরিক্ত ধূমপানে ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত


ধূমপানের কারণে ফুসফুসে জমতে থাকে বিষাক্ত পদার্থ। দীর্ঘদিন এই অভ্যাস চালিয়ে গেলে ফুসফুসের কার্যকারিতা হ্রাস পায়, এমনকি ক্যানসারের ঝুঁকিও তৈরি হয়। তবে কিছু নির্দিষ্ট খাবার রয়েছে, যেগুলো নিয়মিত গ্রহণ করলে ফুসফুস পরিষ্কার রাখতে এবং এর কার্যক্ষমতা কিছুটা হলেও পুনরুদ্ধার করতে সহায়তা করে।
চলুন জেনে নিই, ধূমপায়ীরা কীভাবে খাবারের মাধ্যমে ফুসফুস পরিষ্কার রাখবেন:
শাকসবজি খাওয়ার অভ্যাস করুন: শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফ্ল্যাভানয়েডস থাকে, যা ফুসফুসের কোষের ক্ষয় রোধ করে এবং বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সহায়তা করে।
লাল রঙের সবজি বেছে নিন: বিটরুট, মিষ্টি আলু, টমেটো ও গাজর ফুসফুসের জন্য দারুণ উপকারী। এতে থাকা বিটা-ক্যারোটিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফুসফুসের চাপ কমায় এবং কোষের ক্ষতি রোধ করে।
হলুদ খান নিয়মিত: হলুদের কারকিউমিন নামক উপাদানটি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গপ্রত্যঙ্গের যত্ন নেয়, বিশেষ করে ফুসফুস সুস্থ রাখতে কার্যকর।
রসুন ও আদা রাখুন খাদ্যতালিকায়: এই ভেষজ উপাদান দুটি শুধু স্বাদ বাড়ায় না, বরং শরীরকে ভেতর থেকে পরিষ্কার রাখতেও সাহায্য করে। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফুসফুসের স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়ক।
গ্রিন টি পান করুন: গ্রিন টি শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে কার্যকর। সিওপিডি রোগীদের জন্যও এটি উপকারী হিসেবে প্রমাণিত। প্রতিদিন এক-দুই কাপ গ্রিন টি পান করুন।
আনারস ও ক্র্যানবেরি জুস: ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ আনারস ও ক্র্যানবেরি ফুসফুস পরিষ্কার করতে সহায়তা করে। নিয়মিত এ ধরনের ফল বা জুস গ্রহণ করতে পারেন।
লেবু-গরম পানির শরবত: প্রতিদিন সকালে কুসুম গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে খেলে শরীর ডিটক্সিফাই হয় এবং ফুসফুস আরও কার্যকরভাবে কাজ করতে পারে।
পুদিনা পাতার উপকারিতা: পুদিনা পাতায় থাকা উপাদান ফুসফুসের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে। এটি শ্বাসযন্ত্রের বিভিন্ন সমস্যা হ্রাসে সহায়ক ভূমিকা রাখে।
ভিওডি বাংলা/জা