• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

নেপালে আশ্রয় নিয়েছেন ৩ হাজার আ’লীগ নেতাকর্মী

নিজস্ব প্রতিবেদক    ২৬ আগস্ট ২০২৫, ০১:৩৪ পি.এম.
ছবি: সংগৃহীত

গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনার পতন হলে সারা দেশে গাঢাকা দেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। অনেক নেতাকর্মীই জনরোষের ভয়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন। এদের বড় অংশ আশ্রয় নেন নেপালে। দেশটিতে আশ্রয় নেয়া কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী এবং স্থানীয় হোটেলের কর্মচারীরা জানান, সেখানে তিন হাজারেরও বেশি নেতাকর্মী থাকছেন।

আশ্রয় নেয়া নেতাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন, সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, সদরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী শফিকুর রহমান (শফিক হাজী), শায়েস্তাগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুজ্জামান মাসুদ, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি প্রসণজিৎ দেব, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু, সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব, সাবেক সভাপতি গোলাম কিবরিয়া, রাজশাহী কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি রাশিক দত্ত, কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম সাদ্দাম হোসাইন, বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক রইজ আহমেদ মান্না, ঢাকা মহানগর যুবলীগের সহসভাপতি নাজমুল হোসেন টুটুল। কাঠমান্ডুর থামেল এলাকায় অবস্থিত হোটেল কক্সবাজারের দোতলায় ২০৩ নম্বর রুমে ছাত্রলীগের এক শীর্ষ নেত্রীর থাকার তথ্য পাওয়া গেলেও তার নাম-পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ ছাড়াও একাধিক সংসদ সদস্যসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী নেপালে অবস্থান করছেন। জানা যায়, নেপালের পর্যটন রাজধানী থামেল, অন্যতম ভ্রমণকেন্দ্র পোখারা এবং রাজধানী কাঠমান্ডুর আবাসিক হোটেলগুলোতে তারা সময় পার করছেন।

ছদ্ম পরিচয়ে শায়েস্তাগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুজ্জামান মাসুদের সাথে থামেলের বাঙালি রেস্তোরাঁ ইয়ামিন হোটেলে কথা হলে তিনি নয়া দিগন্ত প্রতিবেদককে জানান, ২ সেপ্টেম্বর তিনি পর্যটক হিসেবে নেপালে প্রবেশ করেন। এরপর ১ লাখ ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে এক বছরের জন্য বিজনেস ভিসা গ্রহণ করে সেখানে অবস্থান করছেন। তিনি হোটেল বগুড়ার পাশের বিল্ডিংয়ে ২৮ হাজার টাকা মাসিক ভাড়ায় একটি রুমে থাকেন।

তিনি জানান, নেপালের ভিসা প্রক্রিয়া সহজ হওয়ায় বেশির ভাগ মফস্বল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা অবস্থান করছেন। তারা মামলার চেয়ে স্থানীয় জনরোষের ভয়ে দেশ ত্যাগ করেছেন। তিনি আরো জানান, নেপালে অবস্থান নেয়া অনেক আওয়ামী নেতাকর্মীর ভারতীয় ভিসা থাকায় তারা বিভিন্ন মাধ্যমে প্রথম ভারতে যান। ভারতে ভিসার মেয়াদ শেষ হলে এবং সম্প্রতি ভারত থেকে বাংলাদেশে পুশইনের মতো সমস্যা শুরু হলে তারা নেপালে চলে যান। এদের মধ্যে বেশির ভাগই ইউরোপ বা আমেরিকার উন্নত রাষ্ট্রগুলোতে পারি জমানোর চেষ্টা করছেন।

এ দিকে নেপালে বসবাস করা শ্রমিক ও ব্যবসায়ী বাংলাদেশী প্রবাসীরা বলছেন, আওয়ামী লীগের নেতকর্মীরা নেপালে আসা বিভিন্ন দেশের পর্যটকদের কাছে বাংলাদেশের বর্তমান সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছেন। ফলে দেশের বাইরে দেশের ভাবমর্যাদা ক্ষুণ হচ্ছে।

ভিওডি বাংলা/ এমএইচ

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ফজলুর রহমানকে আরও ২৪ ঘণ্টা সময় দিলো বিএনপি
ফজলুর রহমানকে আরও ২৪ ঘণ্টা সময় দিলো বিএনপি
জামায়াতের হাতেই স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব নিরাপদ : আতাউর
জামায়াতের হাতেই স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব নিরাপদ : আতাউর
পিআর নির্বাচনের পক্ষে নই: মান্না
পিআর নির্বাচনের পক্ষে নই: মান্না