কক্সবাজার ভ্রমণের নামে ইয়াবা পাচারের সময় আটক ১


কক্সবাজার ভ্রমণ শেষে মোটরসাইকেলে সুকৌশলে ইয়াবা নিয়ে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় হয়েছেন মাদক পাচারকারী চক্রের এক সদস্য। তবে নিহতের সাথে থাকা অপর যুবক দুর্ঘটনা কবলিত মোটরসাইকেলসহ আটক হয়েছে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা (ডিবি) শাখার সদস্যরা। সেইসাথে মোটরসাইকেল থেকে ৩ হাজার ১৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটও উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা (ডিবি) শাখার পরিদর্শক ছগির হোসেন।
তিনি জানান, নিহত মাদক পাচারকারী কেএম মশিউর রহমান অরিন বাবু নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া এলাকার বাসিন্দা মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে এবং আটক ফারদিন মিয়া (২৩) বরিশাল নগরের হজরত কালুশাহ সড়কের বাসিন্দা লাল মিয়ার ছেলে। এদিকে ফারদিন মিয়া জানিয়েছেন, তিনি বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন(বিএম) কলেজের বাংলা বিভাগে অনার্সে অধ্যয়নরত রয়েছেন।
আটক ফারদিন মিয়ার বরাতে ডিবি পরিদর্শক ছগির হোসেন জানান, নিহত বাবু ও আটক ফারদিন সপ্তাহ খানিক আগে কক্সবাজারে ঘুরতে যান। সেখান থেকে তারা মোটরসাইকেলযোগে সড়কপথে ফেরার পথে বিপুল পরিমাণ ইয়াবার চালান বহন করছিলো।
ছগির হোসেন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোয়েন্দা পুলিশ ট্যুরের নামে ইয়াবার চালানটি বরিশালে নিয়ে আসার খবর জানতে পারে। ফলে এ তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার ডিবি পুলিশের সদস্যরা বরিশাল মেট্রোপলিটন এলাকায় অবস্থান নেয়। কিন্তু ইয়াবার চালান নিয়ে বাবু ও তার সহযোগীর যথা সময়ে বরিশালে না পৌঁছানোয় ম্যানুয়ালি খবর নিয়ে মাদারীপুরের শিবচরে সড়ক দুর্ঘটনার খবর জানতে পারে ডিবি পুলিশ। যে সড়ক দুর্ঘটনায় বাবুকে বহনকারী মোটরসাইকেলটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে এবং বাবু ঘটনাস্থলে নিহত হন।
পরে বাবুর মরদেহ সেখান থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা করানো হয়। পাশাপাশি বাবু ও ফারদিনের দুটি মোটরসাইকেল একটি পিকআপে তুলে বরিশালের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। পরবর্তীতে বুধবার রাতে বরিশাল মেট্রোপলিটনের এয়ারপোর্ট থানাধীন বাঘিয়া মসজিদের সামনে পিকআপটির পথরোধ করা হয় এবং সবাইকে ইয়াবার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তখন ফারদিন স্বীকার করে তার মোটরসাইকেলের চেসিসের ভেতরে কৌশলে ইয়াবা রাখা হয়েছে। পরে মেকানিক দিয়ে চেসিস খুলে ৩ হাজার ১৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
তবে আটকের সময় ফারদিন দাবি করেছেন নিহত বাবু মাদক কারবারির ও সেবনের সাথে আগে থেকেই জড়িত। ইয়াবাগুলো তার ছিল এবং মোটরসাইকেলে ইয়াবা বহনের বিষয়ে তিনি কিছুই জানতেন না।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা (ডিবি) শাখার পরিদর্শক ছগির হোসেন বলেন, এরা পরস্পর যোগসাজশে ট্যুরের নামে ইয়াবাগুলো এনে বরিশালে বিক্রি করতে চেয়েছিল। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হবে। মামলায় ফারদিনের জিম্মা থেকে ইয়াবা উদ্ধার হওয়ায় তাকে আসামী করা হবে আর বাবু মৃত্যুবরণ করায় তাকে আসামী করা হবে না।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ