নিউ ধলেশ্বরীতে ভাঙন
কালিহাতীতে বালু ব্যবসায়িদের হুমকিতে ১২ দোকন বন্ধ!


টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার নিউ ধলেশ্বরী নদীর হাতিয়া,দশকিয়া,বালিয়াচড়া ও আনালিয়া বাড়ী অংশে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে।ফলে এসব এলাকার প্রায় ৪০টি বাড়ী ভেঙ্গে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। এছাড়া অনেক বাড়িঘর আংশিক ভাঙনের শিকার হয়েছে। স্থানীয়রা বালু পরিবহনে ব্যবহÍত বড় বড় বাল্কহেড চলাচলে বাধা দিচ্ছে। একারনে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রভাশালী বালু ব্যবসায়িরা হাতিয়া,দশকিয়া,বালিয়াচড়া গ্রামের যেসব ব্যবসায়ির এলেঙ্গাতে দোকান রয়েছে তাদের দোকান বন্ধ করে দিয়েছে।
সরেজমিনে জানা যায়,দীর্ঘদিন যাবত নদীতে বালু ব্যবসায়িদের ভাড়ি বাল্কহেড চলাচলের কারণে প্রতি বছর নদীর তীরবর্তী এসব গ্রামের মানুষের বাড়ি-ঘর ভাঙনের কারণে নিস্ব হচ্ছে শতাধিক পরিবার। তারা প্রতি বছর ভাঙ্গন রোধে প্রয়োজীয় জিও ব্যাগ ফেলার প্রতিশ্রুতি দিলেও কোন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করেনি।
এলাকাবাসি জানায়,ভাড়ি বাল্কহেড চলাচলের ফলে এ বছর দশকিয়া,বালিয়াচড়া গ্রামের জুব্বার মুন্সির ছেলে ,আনোয়ার হোসেন,হাফেজের ছেলে আলী,মহরের ছেলে আষান আলী,পাষান আলী, শাহাদৎ,মুছা,আকেজ আলী ছেলে সাহেব আলী,কাদের,মন্ডলের ছেলে বারেক,মুল্লুকচানের স্ত্রী ফিরোজা,কোরবানের ছেলে ছাত্তার,নায়েব আলীর ছেলে বক্কার,মেছের মন্ডলের ছেলে সোনা মিয়া,আজিমুদ্দিনের ছেলে আ.রশিদ,জাকের আলীর ছেলে আতর আলী,ছোবহানের ছেলে রবি,মামুনের ছেলে ইনছান ,আজগর আলীর ছেলে আবুবকর,রমজান আলীর ছেলে গাজী,খাদেম ভারারীর ছেলে আজিমুদ্দিন,খালেকের ছেলে মিনহাজ,মোন্তাজের ছেলে সুরমান,বারেকের ছেলে শাহালম,মোন্তাজের ছেলে একাব্বর,মুইচা শেখের ছেলে মাজেদ আলী,মোগল মন্ডলের ছেলে আব্দুর রহমান,ইনছুর ছেলে কোরবান আলী ও মালেকের ছেলে ইদ্রিছ আলীর বাড়ি ঘর নদীগর্ভে বিলীণ হয়ে গেছে। এছাড়া হাতিয়া গ্রামের হাতেমের ছেলে মুজাম,মোকাদ্দেছ,মটরের ছেলে আজাহার,হযরতের ছেলে বারেক,নয়ান আলী,শামছু তাতীর ছেলে আব্দুল গনি,মোহম্মদের ছেলে ছানোয়ার,জলিল,সুলতান,নবার ছেলে লিয়াকত,বাহেজের ছেলে রাজ্জাক, ফজল,জুরান মোল্লার ছেলে হাছান,সালাম মোল্লার ছেলে উজ্জল,মাহমুদ মোল্লার ছেলে আবুল মোল্লা,আসোক আলীর স্ত্রী রমেছা,লালচানের ছেলে মুকু মোল্লা,আজমত,আজগরের ছেলে রাজ্জাক,শহিদ,গফুরের ছেলে আলামিন,ভোমর মোল্লার ছেলে পিয়ার আলী,শহুরুদ্দি,মোগল সরকারের ছেলে রফিকুল ও সালামের ছেলে তুলা মিয়ার বাড়ি-ঘর ভেঙ্গে নদীতে চলে গেছে।নদী ভাঙনের কবলে পড়ে এসব পরিবার গুলো মানবেতর জীবন যাপন করছে।উপায়ান্তর না পেয়ে এসব গ্রামের মানুষ ভিক্ষুব্ধ হয়ে বালু পরিবহনকারী বাল্কহেড চলাচল বন্ধ করে দেয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়,সিরাজগঞ্জের সাত্তার কমিশনারের বালু মহাল থেকে প্রতিদিন শতাধিক বাল্কহেড এ নদী পথে যাতায়াত করে। একারণে এসব ভাড়ি বালুবাহী বাল্কহেডের ঢেউ নদীর দুপাড়ে ভাঙনের সৃষ্টি করে। আর নদী ভাঙনের কবলে পড়ে প্রতিবছর ঘরবাড়ি হারিয়ে নিস্ব হচ্ছে শত শত পরিবার। বাড়ি ভাঙা মানুষের আকুতি পৌছেনা প্রভাবশালী বালু ব্যবসায়িদের কানে । উপরন্তু বালু ব্যবসায়িরা বালু পরিবহনে বাধা দেয়ায় ্ওই সব গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক মেম্বার, কামরুল ইসলাম,হায়দার আলী,হাবিবুর রহমান,শাহিন আলম,আমিনুরসহ এলেঙ্গায় অবস্থিত ১২টি দোকান এক সপ্তাহ যাবত জোড়পূর্বক বন্ধ করে রেখেছে। এছাড়া হুমকি দিচ্ছে এসব গ্রামের যে কোন লোককে এলেঙ্গা পেলে গণপিটুনি দেয়া হবে। প্রভাবশালী বালু ব্যবসায়িদের ভয়ে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে তিন গ্রামের মানুষ। ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষের প্রতিবাদের মুখে ধলাটেংগর,পাথাইলকান্দি,এলেঙ্গা ও পৌলি এলাকায় ২০টি বালু ঘাটে বালু পরিবহন বন্ধ হয়ে যায়। এতে ক্ষুব্ধ হন বালু ব্যবসায়িরা। ক্ষুব্ধ বালু ব্যবসায়িদের মধ্যে মোখলেছ, তারেক,পবিত্র,জয়নাল,ফরহাদ সরকার,রাজু তালুকদার রাকিব হোসেন,লাবু মিয়া,সোহেল রানা,সাবেক মেয়র সাফি খান,বাবু,অছিমুদ্দিন,মুন্নাফ সরকার,এসকে আলম,হালিম সরকার,সুখ মিয়া,আমিনুর,তাপস,আনোয়ার ফকির,হযরত ও উজ্জল সরকার।তাদের ভয়ে কেউ প্রশাসনের নিকট অভিযোগ দিতে সাহস পাচ্ছেনা।
দোকান বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়ে এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হালিম সরকারের নিকট মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তিনি কৌশলে বিষয়টি এড়িয়ে যান।
কালিহাতী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ খায়রুল ইসলাম জানান,বিষয়টি তিনি অবগত নন এবিষয়ে অভিযোগ পেলে দ্রুত আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ