• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

রাত থেকে দুপুর পর্যন্ত লাইন ধরেও সার পেলেন না কৃষকরা

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি    ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:২৯ পি.এম.
ছবি: ভিওডি বাংলা

ফজরের আযানের পর অন্ধকার থাকার সময় থেকেই লম্বা লাইন ধরেছিলন কৃষকরা। এরপর সকাল হয়ে দুপুর গড়ালেও সার পাননি কৃষকরা। আগের রাতে ট্রাকভর্তি সার আসলেও মজুত নেই এমন অযুহাতে গোডাউন ও দোকানে তালা মেরে ডিলার উধাও হওয়ায় ফিরে যেতে হয়েছে কৃষকদের। শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) এ ঘটনা ঘটেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলা দাইপুকুরিয়া ইউনিয়নের গোলাপবাজার এলাকায়। 

জানা যায়, আমের বাগান, ধানের জমি ও ফসলে এই সময়ে ডিএপি সারের চাহিদা থাকায় ভোরের আলো ফোঁটার আগেই গোলাপবাজারের সার ডিলার মেসার্স আমিন এ্যান্ড ব্রাদার্সের দোকানে লাইন ধরে কৃষকরা। সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত সার দিলেও এরপর মেসার্স আমিন এ্যান্ড ব্রাদার্সের স্বত্বাধিকারী মো. শফিকুল ইসলাম সার শেষ ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার নির্দেশের কথা বলে দোকান ও গোডাউনে তালা মেরে চলে যায়। এরপরেও তীব্র রোদে সারের জন্য অপেক্ষা করেন কৃষকরা। তবে দুপুর পর্যন্ত সেখানে অপেক্ষা করলেও সার না পেয়েই ফেরত যেতে হয়। 

স্থানীয় কৃষক আব্দুর রহিম বলেন, শুনলাম কালকে রাত ৯টার দিকে গোডাউনে সার নেমেছে। সকালে লাইন ধরে সার দিচ্ছে এমন খবর পেয়ে সারের দোকানে এসে লাইন ধরি। সকাল ৭টা থেকে লাইন ধরে ৯টার পর হঠাৎ তালাবদ্ধ করে চলে যায়। আর কোন খোঁজ নেই। আমাদের এখন সারের প্রচুর প্রয়োজন। ধান ও আমের বাগানে সার দিতে না পারলে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যাব। 

আমবাগান মালিক জসিম উদ্দিন বলেন, সারের এখন প্রয়োজন। কিন্তু তা পাচ্ছি না। পরে সার পেলেও কোন কাজে আসবে না। গত রাতেই ট্রাকভর্তি সার এসেছে। সকালে এক দেড় ঘন্টা সার দেয়ার পর বলছে, সার নাকি শেষ। এমনকি সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়েও বেশি দাম নেই, তবুও সার দেয়না। এর আগেও এসব অভিযোগ থাকায় সার ডিলার শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে জরিমানা হয়েছে। তবুও তার এমন অনিয়ম বন্ধ হয়নি। এমনকি কৃষকদের খুচরা সার বিক্রি না করলেও ভ্যানে করে ঠিকই বিভিন্ন জায়গায় সার পাঠায়।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করেন মেসার্স আমিন এ্যান্ড ব্রাদার্সের স্বত্বাধিকারী মো. শফিকুল ইসলাম। মুঠোফোনে তিনি বলেন, অনেক লোকজন ছিল। সার দেয়া অব্যাহত রাখলে ঝামেলা-হট্টগোল হবে, তাই দেয়া বন্ধ রাখা হয়েছে। 

এনিয়ে শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নয়ন মিয়া বলেন, ছুটির দিন হোক, বা শুক্রবার-শনিবার যেকোন দিনেই সার বিক্রি অব্যাহত রাখতে হবে। সার বিক্রি বন্ধের কোন সুযোগ নেই। অব্যাহতভাবে সার বরাদ্দ আসছে, তাই সার বিক্রি চলমান রাখতে ডিলারদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মো. ইয়াছিন আলী জানান, কৃষকদের চাহিদা থাকলে সার বিক্রি চলমান থাকবে। বিক্রি বন্ধের এমন অভিযোগের বিষয়টি আমাদের জানা নেই। খোঁজ-খবর নিয়ে সত্যতা পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট ডিলারের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। উপজেলা কৃষি অফিস ও উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা সার মজুত ও বিক্রির বিষয়ে প্রতিদিন তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি খোঁজ-খবর রাখছেন বলেও জানান তিনি।


ভিওডি বাংলা/ এমএইচ

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
সংকটে রাজশাহীর প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থা
সংকটে রাজশাহীর প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থা
পাংশায় মানব সেবায় বন্ধুরা ফাউন্ডেশনের চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
পাংশায় মানব সেবায় বন্ধুরা ফাউন্ডেশনের চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
রাজশাহী বরেন্দ্রে আবারো আমের মৌসুম
রাজশাহী বরেন্দ্রে আবারো আমের মৌসুম