• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১
টপ নিউজ
ছনুয়া ইউনিয়নে নিজ উদ্যোগে রাস্তাঘাট মেরামত কিশোরগঞ্জে দূর্গামন্ডপ পরিদর্শন করলেন সাবেক এমপি বিলকিস ইসলাম পুলপাড় রায়ের বাজার মন্দির পরিদর্শনে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম মালদ্বীপে রফিকুল আলম মজনুকে সংবর্ধনা শারদীয় দুর্গাপূঁজা উপলক্ষে ঢাকেশ্বরী মন্দির পূঁজা মন্ডপ পরিদর্শনে বিএনপি চীফ প্রসিকিউটর বনাম শেখ হাসিনার মামলার ৫৪তম সাক্ষ্যগ্রহণ আজ মেধা কাজে লাগালে বিশ্বে স্বনামধন্য হওয়া যায় - আবদুস সালাম হোয়াটসঅ্যাপের নতুন চমক ‘শিডিউল কল’ ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরের পূজা প্রস্তুতি পরিদর্শন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের দায়িত্ব রাষ্ট্র নেবে: আমিনুল হক

হলুদের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি    ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:৩৯ পি.এম.
ছবি: ভিওডি বাংলা

টাঙ্গাইলের মধুপুর গড়াঞ্চলে হলুদের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। অতিবৃষ্টি,খরা,প্রাকৃতিক বিপর্যয় না ঘটলে হলুদ চাষিরা তৃপ্তির হাসি হাসবেন।হলুদ চাষ অন্য ফসলের চেয়ে অধিক লাভজনক। অল্প জমিতে কম খরচে অধিক হলুদ চাষ করা সম্ভব। হলুদ চাষে নিয়মিত পরিচর্যার দরকার হয়না। এ ফসলে গরু, ছাগল ও পোকা-মাকড়ের কোনো উপদ্রব নেই,ফসল হানির শঙ্কাও কম।পরিত্যক্ত জমিতে হলুদের চাষ ভালো হয়। মশলা জাতীয় খাদ্যদ্রব্য হলুদের চাহিদা অনেক,দামও অন্য ফসলের চেয়ে ভাল। এ কারণে মধুপুরে দিন দিন হলুদের আবাদ বাড়ছে। 

কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, মধুপুর উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে এবছর ৮০০ হেক্টর জমিতে হলুদের চাষ হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ১০ হাজার থেকে ১২ হাজার মেট্রিক টন। গত বছর ৭৬০ হেক্ট্রর জমিতে হলুদের হয়েছিল। উৎপাদনের লক্ষমাত্রা ছিল ৯ হাজার মেট্রিক টন।  কোন প্রকার প্রাকৃতিক বিপর্যয় না ঘটলে এ বছর মধুপুরে প্রায় ৫৮ কোটি টাকার হলুদ বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে।
জানা যায়, মসলা জাতীয় ফসলের মধ্যে হলুদ একটি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য। প্রতিদিনের রান্নায় হলুদের ব্যবহার হয় সবচেয়ে বেশী। মসলা হিসাবে ব্যবহার ছাড়াও অনেক ধরণের প্রসাধনী কাজে ও রং শিল্পের কাঁচামাল হিসাবে হলুদ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যা চাহিদার তুলনায় খুবই অপ্রতুল।  

মির্জাবাড়ি ইউনিয়নের ব্রাক্ষ্মনবাড়ি গ্রামের হলুদ চাষি রেজাউল করিম,আক্তার হোসেন,নজরুল ইসলাম জানান, প্রতি বছরের মত এ বছরও তারা দশ বিঘা জমিতে হলুদ রোপন করেছেন। অন্য ফসলের তুলনায় হলুদ চাষ অনেকাংশে সহজ ও লাভজনক। প্রতি বিঘায় সব মিলিয়ে ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। প্রতি বিঘায় ৭০ থেকে ৮০ মন হলুদ উৎপাদনের সম্ভা রয়েছে। বাজার মৃল্য আশানুরুপ হলে প্রতি বিঘায় ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা লাভের আশা প্রকাশ করেন তারা।

ভবানীটিকি গ্রামের বাপ্পি জানান,হলুদ রোপণের পর তা পরিপক্ক হতে প্রায় এক বছর সময় লাগে। তবে হলুদ চাষে খুব একটা ঝামেলা পোহাতে হয় না। সার ও কীটনাশকও ব্যবহার করতে হয় কম। প্রতি বিঘা জমি হলুদ চাষের জন্য খরচ হয় ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা খরচ বাদে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা লাভ হয়।

মধুপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রকিব আল রানা জানান, মধুপুর উপজেলার  জয়নাতলী,ভুিটয়া,অরণখোলা,বেরিবাইদ,কুড়াগাছা,মমিনপুর,মির্জাবাড়ি,গাছাবাড়ি এলাকায় প্রচুর পরিমান হলুদ চাষ হয়েছে । হলুদ বছরব্যাপী ফসল হওয়ায় সাথী ফসল হিসেবে কৃষকরা এর আবাদ করে থাকে। হলুদে তেমন কোনো ধরনের রোগবালাই নেই বললেই চলে। ফলে চাষিরা লাভবান হচ্ছেন।হলুদ রোপন থেকে শুরু করে উৎপাদন পর্যন্ত কৃষি অফিস থেকে নিয়মিত কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এছাড়া প্রতিটি ইউনিয়নে উপসহকারি কর্মকর্তারা মাঠে গিয়েও কৃষকদের পরামর্শ দেন। 

ভিওডি বাংলা/ এমএইচ

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
অটোরিকশা ও হকারে স্থবির ফেনী শহর
অটোরিকশা ও হকারে স্থবির ফেনী শহর
সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের ৫ সদস্যের আহবায়ক কমিটি গঠন
সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের ৫ সদস্যের আহবায়ক কমিটি গঠন
কুড়িগ্রামের কালজানি নদী দিয়ে ভেসে আসছে গাছের গুড়ি
কুড়িগ্রামের কালজানি নদী দিয়ে ভেসে আসছে গাছের গুড়ি