মাদ্রিদে ফিলিস্তিন সমর্থনে হাজারো মানুষের বিক্ষোভ


স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদে ফিলিস্তিনের সমর্থন ও গাজায় চলমান যুদ্ধের প্রতিবাদে শনিবার (৪ অক্টোবর) হাজারো মানুষ বিক্ষোভ করেছে। তারা বিশাল ফিলিস্তিনি পতাকা নিয়ে মিছিল করেছেন এবং যুদ্ধবিরতি ও মানবিক সাহায্যের দাবি জানিয়েছেন।
বিক্ষোভকারীরা যুদ্ধকে ‘ফিলিস্তিনি জনগণের গণহত্যা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে মানবাধিকারকর্মী, শিক্ষার্থী ও সাধারণ নাগরিক রয়েছেন। তারা ‘গাজায় শান্তি চাই’, ‘নৃশংসতা বন্ধ করো’ ও ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’ স্লোগান দিয়েছেন।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া সান্দ্রা বলেন, “হামাসের পরিস্থিতি জটিল। শুধু নিজেদের দাবি নয়, সাধারণ মানুষের কথাও ভাবতে হবে। কিন্তু একটি তৃতীয় শক্তিশালী দেশ (যুক্তরাষ্ট্র) গাজার মানুষের ভাগ্য নির্ধারণ করছে, অথচ তাদের মতামত নেওয়া হচ্ছে না।”
ইসাবেল গুয়াদিয়ানা নামে এক বিক্ষোভকারী বলেন, এ ধরনের বিক্ষোভে আমি এই প্রথম অংশ নিচ্ছি। গাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে কিছু করতে পারলে ভালো লাগত, কিন্তু জানি না এই বিক্ষোভগুলো সত্যিই শান্তি প্রতিষ্ঠা করবে বা হত্যাযজ্ঞ থামাতে পারবে কিনা। তবুও আমাদের রাস্তায় নামতে হবে, আমাদের যা করার তা করতে হবে।
প্রতিবাদকারী লরা মার্তিনেজ বলেন, খুব নিরাশ লাগছে। যখন মানবিক সাহায্যবাহী ফ্লোটিলা রওনা দিয়েছিল, আমরা সবাই তাদের সাফল্য কামনা করেছিলাম। কিন্তু ইসরায়েলি অভিযানে যা ঘটল, তা ভীষণ হতাশাজনক। সবাইকে রাস্তায় নামতে হবে, এই বর্বরতা ও গণহত্যার বিরুদ্ধে কণ্ঠ তুলতে হবে। সবাইকে তা করতে হবে।
মাদ্রিদের কেন্দ্রস্থলে অনুষ্ঠিত এ বিক্ষোভে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা, শিক্ষার্থী ও সাধারণ নাগরিকেরা অংশ নেন। তারা ‘গাজায় শান্তি চাই’, ‘নৃশংসতা বন্ধ করো’, ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’ স্লোগান দিয়েছেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে হামাস ও যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রস্তাবের পর ইউরোপজুড়ে ফিলিস্তিনের সমর্থনে জনমত আরও জোরদার হচ্ছে।
এদিকে ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সংগঠন হামাস গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শান্তি প্রস্তাবের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক মেনে নিয়েছে বলে জানিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- যুদ্ধবিরতি, ইসরায়েলের সেনা প্রত্যাহার এবং ইসরায়েলি জিম্মি ও ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও ইসরায়েলকে গাজায় বোমাবর্ষণ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। তবে হামাসের জিম্মি মুক্তির প্রস্তুতির ঘোষণা সত্ত্বেও শনিবার গাজায় আরও কয়েকজন নিহত হয়েছেন।
সূত্র: রয়টার্স
ভিওডি বাংলা/জা