• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

আ’লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক    ৬ অক্টোবর ২০২৫, ১০:৫৬ পি.এম.
নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ার প্রতিনিধিদের সাথে নির্বাচন কমিশনের সংলাপ। সংগৃহীত ছবি

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) কঠোরভাবে আইন প্রয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বরা। একই সঙ্গে তারা তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করা, কালো টাকার প্রভাব রোধ, ইসি কর্মকর্তাদের রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব প্রদান ও ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়ার সুপারিশও করেছেন।

সোমবার (৬ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংলাপে প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ার প্রতিনিধিরা এসব প্রস্তাব দেন।

কালের কণ্ঠের সম্পাদক ও জাতীয় প্রেসক্লাব সভাপতি কবি হাসান হাফিজ বলেন, ‘প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় সামাজিক ও পেশাজীবী শ্রেণির মানুষদের নিয়ে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত নজরদারি কমিটি গঠন করা যেতে পারে। এতে নির্বাচন আরও স্বচ্ছ হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনকে নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্র দেশের ভেতর ও বাইরে রয়েছে। আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকলে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হবে, তাই কমিশনের অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে।’

প্রথম আলোর নির্বাহী সম্পাদক সাজ্জাদ শরিফ বলেন, ‘আসন্ন নির্বাচনে অর্থ ও বলপ্রয়োগের প্রভাব দেখা যেতে পারে। প্রশাসন ও প্রতিষ্ঠানগুলো দুর্বল থাকায় সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে আশঙ্কা থেকেই যায়। দ্য ডেইলি স্টারের হেড অব নিউজ জিয়াউল হক সাংবাদিকদের ভোটকেন্দ্রে নির্বিঘ্ন প্রবেশ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।’

দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক কবি আবদুল হাই শিকদার বলেন, ‘গণমাধ্যমকে শত্রু নয়, সহযোগী হিসেবে নিতে হবে। সাংবাদিক নীতিমালা নিয়ে বিতর্ক দূর করারও পরামর্শ দেন তিনি। খবরের কাগজের সম্পাদক মোস্তফা কামাল বলেন, মবের রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে, এজন্য ইসিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি কঠোর বার্তা দিতে হবে।’

বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক আবু তাহের বলেন, ‘ভোটের সময় প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তা ‘গল্পকার’ হয়ে ওঠেন। ইসিকে এসব বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। আজকের পত্রিকার সম্পাদক কামরুল হাসান প্রস্তাব দেন, প্রার্থীর হলফনামা তাৎক্ষণিকভাবে ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা উচিত, যাতে ভোটাররা প্রার্থীর সম্পর্কে সব তথ্য জানতে পারেন।’

রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি)-এর সভাপতি কাজী এমাদ উদ্দীন বলেন, ‘নির্বাচনের সঙ্গে সম্পৃক্ত মন্ত্রণালয়গুলো ভোটের সময় ইসির অধীনে রাখলে কাজ সহজ হবে। নয়া দিগন্তের নির্বাহী সম্পাদক মাসুমুর রহমান খলিলী বলেন, টাকার প্রভাব রোধে নমুনামূলক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারলে ইতিবাচক বার্তা যাবে এবং প্রশাসনে নিরপেক্ষতা নিশ্চিত হবে।’

বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কমের সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম মিন্টু বলেন, ‘ইসির কার্যকারিতা নির্ভর করছে রাজনৈতিক সদিচ্ছার ওপর, যা গত তিন মেয়াদেও দেখা গেছে। জাগো নিউজের সম্পাদক কেএম জিয়াউল হক বলেন, আচরণবিধি লঙ্ঘনের শাস্তি দৃশ্যমানভাবে কার্যকর হলে অনিয়ম কমে যাবে।’

সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে চার নির্বাচন কমিশনার, ইসির কর্মকর্তারা ও গণমাধ্যম প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ।

ভিওডি বাংলা/ আরিফ

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
জাতীয় স্বার্থে জবাবদিহিমূলক গণমাধ্যম অপরিহার্য: রিজওয়ানা
জাতীয় স্বার্থে জবাবদিহিমূলক গণমাধ্যম অপরিহার্য: রিজওয়ানা
আদালতে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় ডিআরইউর নিন্দা
আদালতে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় ডিআরইউর নিন্দা
সাংবাদিক নীতিমালা পর্যালোচনার আশ্বাস ইসির
সাংবাদিক নীতিমালা পর্যালোচনার আশ্বাস ইসির