• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

বিএনপির দীর্ঘ সময় রাষ্ট্র পরিচালনার অভিজ্ঞতা আছে: নজরুল ইসলাম খান

নিজস্ব প্রতিবেদক    ২৭ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:৩৪ পি.এম.
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, বিএনপিই একমাত্র দল, বহুবার দীর্ঘ সময় রাষ্ট্র পরিচালনার অভিজ্ঞতা আছে। সেই সামর্থ্য এবং অভিজ্ঞতা নিয়ে আমরা জনগণের সামনে যাব। এবং তাদের সমর্থন নিয়ে দায়িত্ব পেলে আমাদের সমস্ত অভিজ্ঞতা এবং সেই অভিজ্ঞতার মধ্যে আমরা যে ভুল করেছি, সেই ভুল যাতে আমরা সংশোধন করতে পারি, তা নিয়ে আমরা জনগণের কল্যাণের জন্য কাজ করব।

বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে নব্বইয়ের ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

নজরুল ইসলাম খান বলেন, একটা দেশের সবচেয়ে এক্সপেন্সিভ ইন্সট্রুমেন্ট হলো বা মেশিন হলো স্টেট মেশিন, রাষ্ট্রযন্ত্র। রাষ্ট্রযন্ত্রের চেয়ে মূল্যবান, রাষ্ট্রযন্ত্রের চেয়ে জটিল কোনো যন্ত্র কোনো দেশে নাই। আর সেই যন্ত্র পরিচালনার দায়িত্ব যারা চান, তাদের সক্ষমতা, তাদের অভিজ্ঞতা—এটা তো বিবেচনার বিষয়। 

তিনি বলেন, ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের তালিকায় বিএনপি এবং অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সংখ্যা বেশি উল্লেখ করেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, 'আন্দোলনে কারা বেশি অংশ গ্রহণ করেছে? সে অনুযায়ী গুরুত্ব পাওয়া উচিত না? কিন্তু আমাদের কিছু কিছু সংগঠনের, কিছু লোকের কথায় মনে হয়, তারাই সব করেছে। কথার ভেতরে মনে হয় তারাই সব করেছে আরকি। ভাই ভেতরে ভেতরে করেছেন কিন্তু বাহিরে আসার সাহস পাননি কেন?'

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আগামী নির্বাচনে যারা অংশগ্রহণ করছে, তাদের মধ্যে আরেকটা দল আছে যে, তারা আমাদের সঙ্গে সরকারে ছিল। কিন্তু যখন সমালোচনা করে, তখন আর কী ভাবটা এই যে, তারা কোনোদিন কোনো সরকারে ছিল না, একেবারে নিরপরাধী। 

নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমাদের লড়াইকে বিভ্রান্ত করার অনেক চেষ্টা হয়েছে, কিন্তু তা সফল হয়নি। একবার ভাবুন, এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন যখন অত্যন্ত শক্তিশালী, সেই সময়ে জাতির সাথে বেইমানি করে দুটি রাজনৈতিক দল—আওয়ামী লীগ এবং জামায়াতে ইসলামী—এরশাদের সঙ্গে নির্বাচনে গিয়েছিল। 

সভায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, প্লট বরাদ্দের মামলায় তার (শেখ হাসিনার) নাকি ২১ বছরের সাজা হয়েছে। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলে আইন আদালতে কোন হস্তক্ষেপের কারো সুযোগ নেই। রাজনৈতিক দলগুলোর সেখানে প্রভাব বিস্তার করার কিছু নেই। সেখানে তার সাজা হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আছে এবং হাসিনার গড়া আদালত, হাসিনার গড়া ট্রাইবুনাল, সেখানেই তার বিচার হচ্ছে।

সভায় সভাপতির বক্তব্যে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্যাহ বলেন, 'অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, নিরপক্ষ সরকারের মাধ্যমে বিচার হচ্ছে, সঠিক বিচার হচ্ছে। বিচার তো শুরু হয়েছে। তাঁর (শেখ হাসিনার) এবং তাঁর দোসরদের বিচার শুরু হয়েছে। এই বিচার, এ রায় অবিলম্বে কার্যকর করতে হবে। অবিলম্বে কার্যকর করার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মানুষ স্বস্তি পাবে। এই বিচার রায় কার্যকর করার মধ্য দিয়ে শহীদ পরিবার স্বস্তি পাবে।'

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খাইরুল কবির খোকনের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন ৯০ এর সর্বদলীয় ও ছাত্র ঐক্যের নেতৃবৃন্দ।


ভিওডি বাংলা/ এমএইচ

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ভারতের কনসার্ন নয়, জনগণের ম্যান্ডেটে ক্ষমতায় চাই: হাসনাত
ভারতের কনসার্ন নয়, জনগণের ম্যান্ডেটে ক্ষমতায় চাই: হাসনাত
মতপার্থক্য ভুলে গণঅভ্যুত্থানের ত্যাগ রক্ষার আহ্বান ফখরুলের
মতপার্থক্য ভুলে গণঅভ্যুত্থানের ত্যাগ রক্ষার আহ্বান ফখরুলের
ক্ষমতায় গেলে দুর্নীতিবিরোধী যুদ্ধের ঘোষণা বিএনপির: রিজভী
ক্ষমতায় গেলে দুর্নীতিবিরোধী যুদ্ধের ঘোষণা বিএনপির: রিজভী