আমি কি পেলাম এটা বাদ দিতে হবে

‘ষড়যন্ত্র থেমে নেই, নির্বাচন অতো সহজ হবে না’ বলে মন্তব্য করেছেন তারেক রহমান। শনিবার সন্ধ্যায় বিএনপির এক কর্মশালায় লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘যে কথাটা আমি আগে বলেছিলাম যে, নির্বাচন অত সহজ হবে না, ষড়যন্ত্র কিন্তু থেমে নেই। গত কয়েকদিনের ঘটনা, গতকালকের ঘটনা, চট্টগ্রামে আমাদের প্রার্থীর উপরে গুলিবর্ষণের ঘটনা এই সবকিছু নিয়েই কিন্তু প্রমাণিত হচ্ছে যে যা আমি বলছিলাম তা কিন্তু সত্য হচ্ছে আস্তে আস্তে। কাজেই আমরা যদি নিজেদের মধ্যে মতপার্থক্য কমিয়ে নিয়ে না আসি, আমরা যদি নিজেরা ঐক্যবদ্ধ না হই। এই দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে।'
প্রত্যেকবার দেশকে ধ্বংসের হাত থেকে বিএনপি উদ্ধার করেছে তার কথা তুলে ধরে তারেক রহমান বলেন, ‘প্রত্যেকবার এই দেশ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে গিয়েছে, প্রত্যেক বার আপনারা, কখনো শহীদ জিয়ার নেতৃত্বে, কখনো দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে, আস্তে আস্তে সেই খাদের কিনারা থেকে দেশকে আবার বের করে নিয়ে এসেছে।’
তিনি বলেন, ‘দেশকে তখনই খাদের কিনারা থেকে নিয়ে আসতে পারবো যেই ষড়যন্ত্রগুলো চলছে। বিভিন্ন সূত্রের খবর বলছে, এই ষড়যন্ত্রগুলো এখনই থেকে থাকবে না। আরও খারাপও হতে পারে। আমাদের ভয় পেলে চলবে না, আমাদেরকে আতংকগ্রন্থ হলে চলবে না। আমাদেরকে মানুষদের সাহস দিতে হবে, আমাদের নিজেদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, দেশের সাধারণ গণতন্ত্রকামী মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে।আমরা যত ঐক্যবদ্ধ হবো, আমরা যত সামনে এগিয়ে আসবো, যেকোনো মূল্যে নির্বাচন হবে… এই পরিস্থিতি যত আমরা তৈরি করবো ষড়যন্ত্রকারীরা তত পিছু হটতে বাধ্য হবে।’
ষড়যন্ত্রকারীদের পিছু হটানোর ক্ষমতা ও শক্তি একমাত্র বিএনপির আছেন বলে দাবি করেন তারেক রহমান।
চট্টগ্রামে ও ঢাকায় দুই ভোটের প্রার্থীর ওপর গুলিবর্ষনের ঘটনা সম্পর্কে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘চট্টগ্রামে ঘটনা ঘটেছে, গতকাল একটা ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনা দিয়ে কেউ কোনো ফয়সা লুটার অবশ্যই প্রচেষ্টা হচ্ছে… তাই মনে হয় না আপনাদের।’
‘সবাইকে সজাগ থাকতে হবে’
ফার্ম গেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বিএনপির উদ্যোগে ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক এই কর্মশালার হয়। ধারাবাহিক কর্মশালার সপ্তমদিনে বিএনপির মাঠ পরযায়ের নেতারা অংশ নেন।
খাল খনন, স্বাস্থ্য কার্ড, কৃষক কার্ড, ফ্যামিলি কার্ড, শিক্ষা ব্যবস্থা, বেকার সমস্যা,তথ্য প্রযুক্তি, বায়ু ও পানি দুষণ রোধ প্রভৃতি বিষয়ে বিএনপির প্রণীত পরিকল্পনাগুলো এবং তার বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন তারেক রহমান।
‘আমি কি পেলাম এটা বাদ দিতেতে হবে’
তারেক রহমান বলেন, ‘এখন আমাদের সময় এসেছে আমি কি পেলাম… এটা বাদ দিতে হবে। সময় এসেছে আমি দেশ এবং জাতির জন্য কতটুকু করতে পারলাম। আজ সময় এসেছে নিজে কী পেলাম এটা ভুলে যাওয়ার। আজকে আপনি যদি দেশ এবং জাতির জন্য কিছু করেন কিংবা করতে পারেন, কি দিতে পারলাম, কি দিচ্ছি দেশ এবং জাতিকে… তাহলে আগামী দিনে আপনার সন্তান, আপনার নাতি-পুতি এরা ভালো থাকবে। আপনার ভবিষ্যৎ বংশধর ভালো থাকবে। আসুন আমাদের লক্ষ্য হোক দেশে শান্তি, শঙ্খলা এবং আইনের শাসনকে প্রতিষ্ঠিত করা।’
‘যুদ্ধে নামতে হবে’
তারেক রহমান বলেন, ‘এখন আর ঘরে বসে থাকার সময় নেই। দয়া করে আসুন, এই যুদ্ধে আমাদেরকে জিততে হবে, এই যুদ্ধে জেতার সবচেয়ে বড় সহযোগী কে? বাংলাদেশের জনগণ। বাংলাদেশের জনগণকে সাথে নিয়ে এই যুদ্ধে আমাদেরকে জিততে হবে। এর কোন বিকল্প নেই। আসুন তিনটি বিষয়ে আপনাদের সহযোগিতা চাই। ইনশাল্লাহ আমি পাবো। দেখা হবে যুদ্ধের মাঠে, দেখা হবে সংগ্রামের মাঠে, দেখা হবে আপনাদের সাথে ভোটের ময়দানে। চট্টগ্রামে ঘটনা ঘটেছে, গতকাল একটা ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনা দিয়ে কেউ কোনো ফয়সা লুটার অবশ্যই প্রচেষ্টা হচ্ছে… তাই মনে হয় না আপনাদের।’
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেলের সঞ্চালনায় এই কর্মশালা হয়।
ভিওডি বাংলা/ এমএম




