• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১
টপ নিউজ
শনিবার যেসব সড়ক এড়িয়ে চলবেন, রয়েছে নির্দেশনাও বঙ্গবন্ধুকে বিনম্র শ্রদ্ধা জয়া আহসানের নির্বাচনে বিশৃঙ্খলার কোনো সুযোগ নেই: ধর্ম উপদেষ্টা বাংলাদেশে চাঁদাবাজ ও দখলবাজ দেখতে চাই না: ফয়জুল করীম ফ্যাসিস্ট আ.লীগ ও তাদের দোসররা বিচার বিভাগকে বিতর্কিত করার ষড়যন্ত্র করছে নিরাপত্তা হুমকিতে থাকা সাক্ষীকে সুরক্ষা দিতে ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি: দগ্ধ শিক্ষিকা মাহফুজা খাতুনের মৃত্যু ছাত্র জনতা গণঅভ্যুত্থান স্মরণে দোয়া ও আলোচনা সভা বালুবাহী  ট্রলির ধাক্কায় ৭ শিক্ষার্থী আহত, গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও বিক্ষোভ ‘আজ থেকে আ'লীগের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নাই’ বললেন টুঙ্গিপাড়ার দুই নেতা

নিয়ন্ত্রণহীন গোলাপি বাস, হতাশায় রাজধানীবাসী

   ২০ মার্চ ২০২৫, ০২:৪৪ পি.এম.

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
কোনোভাবেই শৃঙ্খলায় আসছে না রাজধানীর গণপরিবহন ব্যবস্থা। বাস রুট রেশনালাইজেশনকে নতুন মোড়কে আনার আশা জাগানো গোলাপি বাসও হতাশায় ডুবিয়েছে নগরবাসীকে। যদিও এজন্য কেবল সরকার কিংবা পরিবহন মালিক-শ্রমিক নয়, যাত্রীদের অসচেতনতাকেও দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞ।

রাজধানীর গণপরিবহন খাতকে শৃঙ্খলায় আনতে এতদিন নিয়ম মেনে বৈঠক করত বাস রুট রেশনালাইজেশন সংক্রান্ত কমিটি। কিন্তু ৫ আগস্টের পট পরিবর্তনের পর এখন আর তাও হচ্ছে না।

যাত্রীসেবার মান উন্নয়নে সড়ক পরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরানো, যানজট নিরসন ও দুর্ঘটনারোধে বাস রুট রেশনালাইজেশনকে পাশ কাটিয়ে বেসরকারি উদ্যোগে ছয় ফেব্রুয়ারি চালু হয় কাউন্টার ভিত্তিক নির্দিষ্ট রঙের বাস চলাচল। প্রথম রুট হিসেবে আবদুল্লাপুর হয়ে রাজধানীতে প্রবেশ করা সব বাসের রং নির্ধারণ করা হয় গোলাপি। কিন্তু কয়েকদিন যেতে না যেতেই মুখ থুবড়ে পড়ে এ ব্যবস্থা।
 
সব জায়গায় নেই কাউন্টার, তাই ই-টিকিটিং ব্যবস্থাও চালু হওয়ার আগেই বন্ধ। আর যত্রতত্র গাড়ি থামিয়ে যাত্রী ওঠা-নামা যেন অধিকার। সঙ্গে বাড়তি ভাড়া আর একে অপরকে দোষারোপ তো আছেই। যাত্রীরা বলছেন, ই-টিকিটিং পদ্ধতি রাজধানীবাসীকে আশা জাগিয়েছিল। কিন্তু পরিবহনের কোনো নিয়ন্ত্রণ না থাকায় রাজধানীতে যাতায়াতে যাত্রীরা এখন হতাশ। এ অবস্থায় পরিবহন শ্রমিকদের মানিসক পরিবর্তন কখনোই ঘটবে না।

এদিকে, বেশি টাকা আয় করতে মালিক সমিতির সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ পরিবহন শ্রমিকরা। আর সিটি করপোরেশনের অসহযোগিতার অভিযোগ আছে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির। সমিতির কোষাধ্যক্ষ এ এস এম আহম্মেদ খোকন বলেন, ‘চুক্তি পদ্ধতিটা মালিক ও শ্রমিকের মধ্যে বিষফোঁড়ার মত হয়ে গেছে। তাই আমরা কাউন্টার পদ্ধতিতে চালুর করতে চেয়েছি। কিন্তু সিটি করপোরেশনের সহযোগিতা আমরা পাচ্ছি না। যখন আমরা কাউন্টার বসাতে যাই তখন বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।’  
 
মেট্ররেলের মতো সরকারি মালিকানা ভিত্তিক কোম্পানি গঠন করে চলতি বাসগুলোকে অধিগ্রহণ করলেই সমাধান আনা সম্ভব বলে মনে করছেন যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. এম হাদিউজ্জামান।
 
তিনি বলেন, ‘স্টেট অন কোম্পানি করা হলে সেখানে সরকারের নিয়ন্ত্রণ থাকবে। যে বাসগুলোর আয়ুষ্কাল পেরিয়ে গেছে কোম্পানি চাইলে সেগুলো রাস্তা থেকে উঠিয়ে নিতে পারবে। এখন যারা ব্যবসা করছেন তারাও কিন্তু কোম্পানির শেয়ারহোল্ডার হতে পারবেন। তারা সেখানে বিনিয়োগ করবেন। ধীরে ধীরে বাসের স্ট্রাকচারেও পরিবর্তন আনা সম্ভব। তখন ইকোসিস্টেমটা ঠিক হয়ে যাবে।’    
 
বিআরটিএর হিসেবে বর্তমানে রাজধানীর ২৯১টি রুটে চলাচল করা বাসের সংখ্যা ৯ হাজার ২৭টি। উন্নত নগরীর মতো সব বাসকে এক ছাদের নিচে আনতে যাত্রীদেরও নিয়ম মেনে চলায় অভ্যস্ত হতে হবে বলে মনে করেন খাত সংশ্লিষ্টরা।

ভিওডি বাংলা/ এমএইচ

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
নেই দৃশ্যমান শাস্তি তবুও সরকারের কঠোর বার্তা
নেই দৃশ্যমান শাস্তি তবুও সরকারের কঠোর বার্তা
পিআর পদ্ধতির নির্বাচন করতে দলগুলোর প্রস্তুতি কতটুকু?
পিআর পদ্ধতির নির্বাচন করতে দলগুলোর প্রস্তুতি কতটুকু?
পিআর পদ্ধতির নির্বাচনে আ’লীগের লাভ বেশি
পিআর পদ্ধতির নির্বাচনে আ’লীগের লাভ বেশি