• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন প্রধান উপদেষ্টার

   ২৬ মার্চ ২০২৫, ১০:১০ এ.এম.
সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

বুধবার ২৬ মার্চ বাংলাদেশের ৫৫তম মহান স্বাধীনতা দিবস ও গৌরবময় জাতীয় দিবস। দিবসটি উপলক্ষে আজ ভোরে মুহাম্মদ ইউনূস জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে গিয়ে সর্বস্তরের মানুষ বীর শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন। শহীদের প্রতি শ্রদ্ধার ফুলে ভরে উঠছে স্মৃতির মিনারসাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রীয়ভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা আয়োজনে গৌরবের দিনটি পালন করছে।

রাষ্ট্রপতি তাঁর বাণীতে বলেন, ‘স্বাধীনতার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি পরমতসহিষ্ণুতা, মানবাধিকার ও আইনের শাসন সুসংহত করতে হবে। রাষ্ট্র ও সমাজের সব ক্ষেত্রে সাম্য, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে তরুণ প্রজন্ম আমাদের স্বাধীনতার অপূর্ণ স্বপ্নগুলো পূরণে আবারও বুকের তাজা রক্ত দিয়ে গেছে। নতুন প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ, সুখী, সুন্দর ও উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলা আমাদের পবিত্র কর্তব্য।’

প্রধান উপদেষ্টা তাঁর বাণীতে দেশে ও প্রবাসে বসবাসরত সব বাংলাদেশিকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, দেশকে আরও উন্নত ও শক্তিশালী করতে এবং স্বাধীনতার পূর্ণ সুফল জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে অন্তর্বর্তী সরকার বদ্ধপরিকর। তিনি আরও বলেন, ‘রাষ্ট্রের সব ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সংস্কারের মাধ্যমে সুশাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, জনমুখী ও টেকসই উন্নয়ন এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’

দিবসটি উপলক্ষে একটি স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার চূড়ান্ত লড়াইটা শুরু হয়েছিল ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ। একাত্তরের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বাঙালি জাতির ওপর হামলে পড়েছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। কিন্তু বাঙালি জাতি সর্বশক্তি দিয়ে পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলে। স্বাধীনতার চূড়ান্ত লড়াইয়ের সূচনা করে। ৯ মাসের ধারাবাহিক রক্তক্ষয়ী লড়াই, অকাতরে আত্মদান ও বীরত্বের স্বাক্ষর রেখে ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। জন্ম নেয় স্বাধীন বাংলাদেশ।

ভিওডি বাংলা/ এমপি

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
তফসিল ঘোষণার আগে আজই পদত্যাগ করতে পারেন ২ উপদেষ্টা
তফসিল ঘোষণার আগে আজই পদত্যাগ করতে পারেন ২ উপদেষ্টা
ইউরোফাইটার টাইফুন যুদ্ধবিমান কিনছে বাংলাদেশ, স্বাক্ষরিত এলওআই
ইউরোফাইটার টাইফুন যুদ্ধবিমান কিনছে বাংলাদেশ, স্বাক্ষরিত এলওআই
যুব হকির সাফল্যে গর্বিত জাতি: অভিনন্দন প্রধান উপদেষ্টার
যুব হকির সাফল্যে গর্বিত জাতি: অভিনন্দন প্রধান উপদেষ্টার