• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১
টপ নিউজ
শনিবার যেসব সড়ক এড়িয়ে চলবেন, রয়েছে নির্দেশনাও বঙ্গবন্ধুকে বিনম্র শ্রদ্ধা জয়া আহসানের নির্বাচনে বিশৃঙ্খলার কোনো সুযোগ নেই: ধর্ম উপদেষ্টা বাংলাদেশে চাঁদাবাজ ও দখলবাজ দেখতে চাই না: ফয়জুল করীম ফ্যাসিস্ট আ.লীগ ও তাদের দোসররা বিচার বিভাগকে বিতর্কিত করার ষড়যন্ত্র করছে নিরাপত্তা হুমকিতে থাকা সাক্ষীকে সুরক্ষা দিতে ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি: দগ্ধ শিক্ষিকা মাহফুজা খাতুনের মৃত্যু ছাত্র জনতা গণঅভ্যুত্থান স্মরণে দোয়া ও আলোচনা সভা বালুবাহী  ট্রলির ধাক্কায় ৭ শিক্ষার্থী আহত, গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও বিক্ষোভ ‘আজ থেকে আ'লীগের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নাই’ বললেন টুঙ্গিপাড়ার দুই নেতা

ব্যাংকে ‘নেই’, ফুটপাতে নতুন টাকার নোট

   ৪ জুন ২০২৫, ০৪:৪৬ পি.এম.
ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঈদ সামনে রেখে বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নোট ছাপানোর উদ্যোগের পরও রাজধানীর ব্যাংকগুলোতে হাহাকার, অথচ ফুটপাতে চলছে রমরমা বেচাকেনা। গুলিস্তান কমপ্লেক্স, সদরঘাট ও এমনকি বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের নিচে গাঁটাগাঁটা নতুন নোট যা ব্যাংকে নেই, তা-ই বিক্রি হচ্ছে খোলামেলা। শতকরা ১০ শতাংশ বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে নতুন ১,০০০, ৫০ ও ২০ টাকার নোট।

সরকার ঘোষিত নতুন ডিজাইনের এই নোট বিতরণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ১০টি বাণিজ্যিক ব্যাংককে। কিন্তু সোমবার ও মঙ্গলবার রাজধানীর অন্তত ১৪টি ব্যাংক শাখা ঘুরেও সাধারণ মানুষ নতুন টাকা না পেয়ে ফিরেছেন খালি হাতে। এর বিপরীতে ফড়িয়ারা দিব্যি সাজিয়ে বসে আছেন চকচকে নতুন নোট নিয়ে যেখানে হাত বাড়ালেই পাওয়া যাচ্ছে। মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ফরিয়াদের কাছে টাকা পৌঁছে দেন খোদ ব্যাংক কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, ব্যাংকগুলোতেই সরবরাহ করা হয়েছে নতুন নোট। তবে বিতরণ কোন শাখায় হবে, তা ব্যাংকগুলোর নিজস্ব সিদ্ধান্ত। বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, এসব ‘নিজস্ব সিদ্ধান্তে’র আড়ালে তৈরি হয়েছে এক গোপন চক্র, যারা নতুন টাকা পাচার করছে খোলাবাজারে।

এক ফড়িয়া স্বীকার করলেন “আমরা টাকার জন্য যাই না, কর্মকর্তারাই দিয়ে যান। এক বান্ডিল ১,০০০ টাকার নোটের জন্য ১০ হাজার বাড়তি দিচ্ছি। তাই কিছু বেশি রেটে বিক্রি করি।”

কালাম হোসেন নামে এক নতুন টাকার ক্রেতা বলেন, “ব্যাংকে পাইনি, গুলিস্তানে পেয়েছি। বিশ্বাস ছিল, এখানেই পাবো। বাংলাদেশ ব্যাংকের নিচেও একই চিত্র।”

বেশিরভাগ মানুষের চাহিদা ৫০ ও ২০ টাকার নতুন নোটে। সেগুলোও মিলছে সীমিত হারে, কিন্তু দামে বাড়তি। অনেকেই অগ্রিম দিয়ে নিচ্ছেন ঈদ সালামির জন্য। প্রশ্নবিদ্ধ পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন দাবি করেন, “আমরা ১০টি ব্যাংকে টাকা দিয়েছি। ব্যাংক থেকে কেউ বাইরে বিক্রি করলে, সেটি নিয়ন্ত্রণ করা আমাদের পক্ষে কঠিন।”

তবে ব্যাংকেরই এক নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, “আগে সিবিএ নেতারা করতেন, এখন কিছু অসৎ কর্মকর্তা ও তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীরা এসব নোট বাইরে পাচার করছেন। শীর্ষ কর্মকর্তাদের ছায়া ছাড়া এটা সম্ভব নয়।”

একাধিক ব্যাংক শাখার ব্যবস্থাপকরা জানিয়েছেন তারা এখনো নতুন নোট হাতে পাননি। গ্রাহককে বোঝাতে হিমশিম খাচ্ছেন। তবে একাধিক বেসরকারি ব্যাংকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ব্যাংকের কিছু অসাধু কর্মকর্তা মোটা অংকের টাকার বিণিময়ে ফড়িয়াদের কাছে এসব টাকা পৌঁছে দিয়ে থাকেন।

জানতে চাওয়া হলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক কর্মকর্তা ভিওডি বাংলাকে বলেন, এবার নতুন টাকার চাহিদা বেশি হওয়ার কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ বেসরকারি ব্যাংকগুলোর কিছু কর্মকর্তা সুযোগের আশ্রয় নিয়েছেন।

ভিওডি বাংলা/ এমএইচ

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
পাম অয়েলের দাম লিটারে ১৯ টাকা কমলো
পাম অয়েলের দাম লিটারে ১৯ টাকা কমলো
৫ ইসলামী ব্যাংক একীভূত করার প্রক্রিয়া শুরু: গভর্নর
৫ ইসলামী ব্যাংক একীভূত করার প্রক্রিয়া শুরু: গভর্নর