‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ হচ্ছে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার রূপকল্প


তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ হচ্ছে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার রূপকল্প এবং এর দালিলিক প্রমাণ। তিনি জানান, আগামী ৫ আগস্ট অথবা তার আগেই এই ঘোষণাপত্র প্রকাশিত হতে পারে।
শনিবার (২ আগস্ট) বিকেলে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘জুলাই পুনর্জাগরণ র্যালি’–পরবর্তী সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে ‘জুলাই সনদ’ তৈরির কাজ চলছে এবং খুব শিগগিরই এটি স্বাক্ষরিত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি জানান, জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে জনস্মৃতিতে ধরে রাখতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। মন্ত্রণালয়ের অধীন ১৫টি দপ্তর ও সংস্থা এ সংক্রান্ত তথ্য প্রচার, দলিল সংরক্ষণ এবং প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণে কাজ করছে।
বাংলাদেশ বেতার ও বিটিভি ইতোমধ্যে গণঅভ্যুত্থানভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র ও অনুষ্ঠান প্রচার শুরু করেছে। তথ্য অধিদপ্তর (পিআইডি) এবং প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) গবেষণামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর (ডিএফপি) বেশ কয়েকটি প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করেছে এবং বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ একটি দলিল সংরক্ষণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
এ ছাড়া বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট গণঅভ্যুত্থানে শহিদ ও আহত সাংবাদিকদের পরিবারের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে।
গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতিচারণা করে মাহফুজ আলম বলেন, “দল-মত-নির্বিশেষে মানুষ এই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছে। বিশেষ করে শিক্ষক, সমাজকর্মী ও সংস্কৃতিকর্মীরা রাজপথে নেমে এসেছিলেন। আমরা শহীদদের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে নতুনভাবে দেশ গড়ার সুযোগ পেয়েছি।”
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারকে ‘প্রতিবাদ ও বিজয়ের প্রতীক’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমরা এখান থেকেই অভ্যুত্থান শুরু করেছিলাম এবং এখানেই বিজয় উদযাপন করেছি।”
আন্তর্বর্তী সরকারের অগ্রগতির প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, “গত এক বছরে সরকার অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং তার একটি বড় অংশ বাস্তবায়নের পথে রয়েছে।”
সমাবেশে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা, মন্ত্রণালয় এবং এর অধীন দপ্তর–সংস্থার কর্মকর্তা–কর্মচারী, সাংবাদিকসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
ভিওডি বাংলা/ আরিফ