• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

নির্বাচনের প্রস্তুতি দেখতে ইইউ দল ঢাকায় আসছে ১৮ সেপ্টেম্বর

নিজস্ব প্রতিবেদক    ৬ আগস্ট ২০২৫, ১২:১৪ পি.এম.
প্রতীকী ছবি

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) একটি প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা সফরে আসছে। দলটিতে তিনজন বিদেশি ও চারজন স্থানীয়সহ মোট সাতজন সদস্য থাকবেন। ৭ অক্টোবর পর্যন্ত তারা বাংলাদেশে অবস্থান করে নির্বাচনপূর্ব পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবেন বলে একাধিক কূটনৈতিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

সফরকালে দলটি নির্বাচন কমিশন, রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ, গণমাধ্যম এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে। মূলত তারা নির্বাচন ঘিরে একটি অংশগ্রহণমূলক, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ পরিবেশ রয়েছে কি না, তা মূল্যায়ন করবে। তাদের প্রতিবেদন পর্যালোচনা করেই ইইউ সিদ্ধান্ত নেবে-বাংলাদেশে পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল পাঠানো হবে কি না।

ইইউর ব্রাসেলস সদর দপ্তরের এক সূত্র জানিয়েছে, ইইউ সাধারণত স্বাগতিক দেশের অনুমতি এবং নিজস্ব মূল্যায়নের ভিত্তিতে নির্বাচন পর্যবেক্ষণে অংশগ্রহণ করে। এবারও সেই প্রক্রিয়ার ধারাবাহিকতায় সফরটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

পর্যবেক্ষণ প্রক্রিয়ার ধাপ
ইইউ সাধারণত দুই ধাপে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করে। প্রথম ধাপে পাঠানো হয় একটি প্রাক-নির্বাচনী অনুসন্ধানী দল, যারা নির্বাচনী পরিবেশ, রাজনৈতিক অবস্থা, নিরাপত্তা পরিস্থিতি এবং নির্বাচনী কাঠামো মূল্যায়ন করে একটি বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদন প্রস্তুত করে। সেই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত হয়, ইইউ পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে কি না।

দ্বিতীয় ধাপে যদি পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষণের সিদ্ধান্ত হয়, তবে পর্যবেক্ষকদের নিয়োগ, প্রশিক্ষণ, ভিসা প্রক্রিয়া এবং লজিস্টিক ব্যবস্থাপনায় কয়েক মাস সময় লাগে। এজন্য প্রাক-নির্বাচনী দলের সফর অনেক আগেই অনুষ্ঠিত হয়।

রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও ইইউর উদ্বেগ
বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় নির্বাচন ঘিরে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন ঘটেছে। সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের এক ঘোষণায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সব ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনও দলটির নিবন্ধন স্থগিত করেছে, যার ফলে আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা ইইউর পর্যবেক্ষক দলের জন্য বড় একটি উদ্বেগের বিষয় হয়ে উঠতে পারে। কারণ, ইইউ সাধারণত সেই নির্বাচনগুলো পর্যবেক্ষণ করে, যেখানে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো অংশ নেয় এবং একটি প্রতিযোগিতামূলক গণতান্ত্রিক পরিবেশ বিদ্যমান থাকে।

এই পরিস্থিতিতে ইইউ যদি মনে করে আসন্ন নির্বাচন যথাযথভাবে অন্তর্ভুক্তিমূলক হবে না, তবে তারা পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষক দল পাঠানো থেকে বিরত থাকতে পারে। এমনকি নির্বাচনকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলেও ঘোষণা দিতে পারে, যদি প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো অংশগ্রহণ না করে।

অতীতের অভিজ্ঞতা
এর আগেও ইইউ বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণে অংশ নিয়েছে, বিশেষ করে ২০০১ ও ২০০৮ সালের নির্বাচনে। তবে ২০১৮ সালে তারা পূর্ণাঙ্গ দল না পাঠিয়ে একটি ছোট অনুসন্ধানী দল পাঠিয়েছিল। ২০২৪ সালের নির্বাচনেও একই ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল।

এবারের নির্বাচন নিয়ে ইইউর আগ্রহ ও প্রস্তুতি এই ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, তারা বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রক্রিয়া এবং গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতার ওপর গভীর নজর রাখছে।

ভিওডি বাংলা/জা

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
৯৩৫ কোটি টাকায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে কেনা হবে দুই জাহাজ
৯৩৫ কোটি টাকায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে কেনা হবে দুই জাহাজ
সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ৭ জরুরি নির্দেশনা
সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ৭ জরুরি নির্দেশনা
সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা জানাল ইসি
সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা জানাল ইসি