• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি ক্রিকেটার বব সিম্পসন মারা গেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক    ১৬ আগস্ট ২০২৫, ০১:৪২ পি.এম.
অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি ক্রিকেটার বব সিম্পসন -ছবি সংগৃহীত

অস্ট্রেলিয়ার সাবেক টেস্ট অধিনায়ক এবং প্রথম পূর্ণকালীন কোচ বব সিম্পসন পরপারে পাড়ি জমিয়েছেন। ৮৯ বছর বয়সে সিডনিতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন অসি ক্রিকেটের এই কিংবদন্তি। 

বব সিম্পসন ছিলেন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের ইতিহাসের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বদের একজন। ১৯৫৭ থেকে ১৯৭৮ সালের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৬২টি টেস্ট খেলেছেন এই ব্যাটিং অলরাউন্ডার। তার টেস্ট ক্যারিয়ারে ব্যাটিং গড় ছিল ৪৬.৮১ এবং বল হাতে নিয়েছেন ৭১ উইকেট। সময়ের অন্যতম সেরা স্লিপ ফিল্ডার হিসেবেও তিনি খ্যাতি অর্জন করেছিলেন।

১৬ বছর বয়সে নিউ সাউথ ওয়েলসের হয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক হয় সিম্পসনের। ঘরোয়া ক্রিকেটে তিনি ব্যাট হাতে ২১,০২৯ রান এবং লেগ-স্পিন গুগলিতে ৩৪৯ উইকেট নিয়েছেন।

অধিনায়ক হিসেবে ২৯টি টেস্ট খেলে ১৯৬৮ সালে প্রথমবার অবসর নেন সিম্পসন। তবে ১৯৭৭ সালে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট সংকটের সময় আবার মাঠে ফিরে আসেন। ৪১ বছর বয়সে ভারতের এবং পূর্ণ শক্তির ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পাঁচটি করে টেস্টে নেতৃত্ব দেন তিনি।

সিম্পসন টেস্টে ১০টি সেঞ্চুরি করেন, সবগুলোই অধিনায়ক থাকাকালীন। তার প্রথম শতক ছিল ১৯৬৪ সালে ম্যানচেস্টারে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩১১ রানের ইনিংস, যা ৩০তম টেস্টে আসে। এছাড়া তিনি দুটি ডাবল সেঞ্চুরিও করেছেন। অধিনায়কত্বে তার ব্যাটিং গড় ছিল ৫৪.০৭, যেখানে অধিনায়ক হওয়ার আগে তা ছিল মাত্র ৩৩.৬৭ এবং কোনো শতক ছিল না।

বব সিম্পসন এবং বিল লরির জুটিটি অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসের অন্যতম সফল ওপেনিং জুটি। ১৯৬৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তাদের ৩৮২ রানের উদ্বোধনী জুটি আজও অস্ট্রেলিয়ার রেকর্ড হিসেবে আছে।

সিম্পসনের অধীনে অস্ট্রেলিয়া ১৯৮৭ সালের বিশ্বকাপ জিতেছিল এবং ১৯৮৯ সালে অ্যাশেজ পুনরুদ্ধার করেছিল, যা ২০০৫ সাল পর্যন্ত ধরে রেখেছিল তারা।

ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার চেয়ারম্যান মাইক বেয়ার্ড বলেন, ‘বব সিম্পসন ছিলেন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের মহীরূহ। ১৯৭৭ সালে অবসর ভেঙে দলকে নেতৃত্ব দিয়ে যে সেবা দিয়েছেন, তা অসাধারণ ছিল। তার কোচিং অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের সোনালী যুগের ভিত্তি গড়ে তোলে।’

শেন ওয়ার্নসহ অনেক খেলোয়াড় তাকে সর্বকালের সেরা কোচ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। ওয়ার্ন স্বীকার করেছেন, নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে বল করার পরামর্শ দিয়েছিলেন সিম্পসন।

৭০ বছর বয়স পর্যন্ত কোচিং চালিয়ে যান তিনি। নেদারল্যান্ডসকে ২০০৭ বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করানোর কৃতিত্ব তারই। ১৯৭৮ সালে অর্ডার অব অস্ট্রেলিয়ার সদস্য নির্বাচিত হন এবং ২০০৭ সালে অফিসার (এও) পদে উন্নীত হন।

১৯৬৫ সালে উইজডেন ক্রিকেটার অব দ্য ইয়ার নির্বাচিত হন সিম্পসন। তিনি আইসিসি হল অফ ফেম এবং অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট হল অফ ফেমের সদস্য ছিলেন।
 

ভিওডি বাংলা/জা

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
রোহিতকে নিয়ে ইরফানের খোলামেলা মন্তব্য
রোহিতকে নিয়ে ইরফানের খোলামেলা মন্তব্য
চিটাগং কিংসের কাছে ৪৬ কোটি টাকা দাবি বিসিবির
চিটাগং কিংসের কাছে ৪৬ কোটি টাকা দাবি বিসিবির
ঋতুপর্ণা-সাগরিকাদের পথেই হাঁটতে চায় অনূর্ধ্ব-১৭ নারী দল
ঋতুপর্ণা-সাগরিকাদের পথেই হাঁটতে চায় অনূর্ধ্ব-১৭ নারী দল