• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

রাজ্জাকের অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকীতে ববিতার স্মৃতিচারণা

বিনোদন ডেস্ক    ২১ আগস্ট ২০২৫, ০৫:৪৮ পি.এম.
রাজ্জাক-ববিতার

বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি নায়ক রাজ রাজ্জাক। একাধারে অভিনেতা, প্রযোজক ও পরিচালক হিসেবে চলচ্চিত্র অঙ্গনে তাঁর অবদান অমর। ২০১৭ সালের ২১ আগস্ট হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ৭৫ বছর বয়সে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর চলে যাওয়ায় দেশের চলচ্চিত্র অঙ্গনে একটি বড় শূন্যতা সৃষ্টি হয়।

সত্তরের দশকে রাজ্জাক-ববিতার জুটি পর্দায় দর্শকের হৃদয় জয় করেছিল। অগণিত সিনেমায় একসঙ্গে কাজ করেছেন তারা। ববিতার কথায়, “রাজ্জাক ভাইয়ের সঙ্গে আমার প্রথম ছবি ‘সংসার’-এ তিনি ছিলেন আমার বাবার চরিত্রে, আর সুচন্দা আপু ছিলেন মা। শেষ পর্যন্ত সেই ছবিতেই আমি তার নায়িকা হয়েছি। প্রথমে পর্দায় বাবা, পরে নায়িকা-এই ভেবে লজ্জাও লাগত। তবে শুটিং শুরু হলে তিনি আমাকে সহজ করে নিয়েছিলেন।”

ববিতা আরও বলেন, “রাজ্জাক ভাই শুধু পর্দার নায়ক ছিলেন না, বাস্তব জীবনেও তিনি সত্যিকারের নায়ক। পরিবারের সকলের সঙ্গে আমার ছিল আপন সম্পর্ক। যে কোনো পারিবারিক অনুষ্ঠানে তিনি আমাকে নিমন্ত্রণ করতেন। তিনি সব সময় শিল্পী ও চলচ্চিত্র নিয়ে ভাবতেন।”

অভিনয় জীবনের স্মৃতি নিয়ে ববিতা উল্লেখ করেন, ‘অনন্ত প্রেম’ সিনেমার শুটিং এখনও চোখে ভাসে। “গানের দৃশ্যের জন্য কোনো নৃত্য পরিচালক ছিল না। রাজ্জাক ভাই নিজেই আমাকে সাহস দিয়ে দৃশ্যটির পরিকল্পনা করেছিলেন। রসিকভাবে বলেছিলেন, ‘নৃত্য পরিচালক হিসেবে কিন্তু আমার নাম যাবে পর্দায়।’”

সত্তর ও আশির দশকে রাজ্জাক-ববিতার জুটি পর্দায় ঝড় তুলেছিল। ‘আলোর মিছিল’, ‘অনন্ত প্রেম’, ‘বিরহ ব্যথা’, ‘সোহাগ’, ‘পীচ ঢালা পথ’, ‘টাকা আনা পাই’, ‘মানুষের মন’, ‘বাঁদী থেকে বেগম’, ‘আকাংখা’, ‘স্বরলিপি’, ‘আনারকলি’, ‘রাগী’, ‘তওবা’, ‘নাতবৌ’, ‘আগমন’, ‘রাজবন্দী’, ‘ভুল যখন ভাঙ্গলো’, ‘অসাধারণ’, ‘প্রিয়তমা’, ‘ফুলশয্যা’, ‘প্রফেসর’-অর্ধশতাধিক চলচ্চিত্রে একসঙ্গে অভিনয় করেছেন তারা। তাদের অমর প্রেমের কাহিনি ‘লাইলী মজনু’ এখনও দর্শকের হৃদয়ে অমলিন।

ভিওডি বাংলা/জা

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
আরবাজ-সুরা দম্পতির ঘরে কন্যা সন্তান
আরবাজ-সুরা দম্পতির ঘরে কন্যা সন্তান
সমালোচনায় আমার কিছু যায় আসে না : বাঁধন
সমালোচনায় আমার কিছু যায় আসে না : বাঁধন
ভেস্তে যাচ্ছিল বিরাট-আনুশকার বিয়ে!
ভেস্তে যাচ্ছিল বিরাট-আনুশকার বিয়ে!