ইসিতে নারায়ণগঞ্জ আসন পুনর্নির্ধারণ শুনানি, নির্বাচন স্থগিতের শঙ্কা


নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি মাকসুদুল খন্দকার খোরশেদ বলেছেন, সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের দাবির পুনর্বিবেচনা না হলে হাইকোর্ট বা সুপ্রিমকোর্টে যাওয়ায় নির্বাচন পিছিয়ে যেতে পারে।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) তৃতীয় দিনের মতো আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত শুনানিতে তিনি জানান, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের পাঁচটি ইউনিয়ন কেটে নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁও) আসনের সঙ্গে যুক্ত করার প্রস্তাব তাদের রাজনৈতিক, সামাজিক ও ভৌগোলিক অধিকার হরণ করছে। তিনি বলেন, এতে পূর্বনির্ধারিত নেতাকর্মী ও প্রার্থীরা বঞ্চিত হবেন।
খোরশেদ আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন কেটে নেওয়ার ফলে প্রশাসনিক অখণ্ডতা লঙ্ঘিত হচ্ছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে তাদের দাবি পুনর্বিবেচনা করবে।
এদিকে অ্যাডভোকেট মোহম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, প্রস্তাবিত পাঁচ আসনের ভেতরে তিনটি থানার কথা উল্লেখ করা হয়েছে সিদ্ধিরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ সদর এখন বন্দরের একাংশ। তিনটি থানা নিয়ে আমাদের নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে করার প্রস্তাব করা হয়েছে। আমরা এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছি।
তার ভাষ্য, সিদ্ধিরগঞ্জ দীর্ঘদিন যাবত একটা ফুটবলের মত হয়ে গেছে। আমরা প্রথমে ছিলাম নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের, পরবর্তীতে গেছি আমরা নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে আর ২০০৮ সালের পরে আমাদের দেওয়া হয়েছে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে। এখন নতুন করে আমাদের বলা হচ্ছে প্রস্তাবনা দেওয়া হচ্ছে যে আসনের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত।
তিনি বলেন, আমরা চাই সোনারগাঁয়ের সঙ্গে থাকতে। ২০০৮ সালে সোনারগাঁও, সিদ্ধিরগঞ্জ মিলে আসন ছিল নারায়ণগঞ্জ-৩, তেমনি করতে হবে।
ভিওডি বাংলা/জা