মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন


কুড়িগ্রামের রৌমারীতে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে কিসমত উল্লাহ বালাজান কৃষি ও কারিগড়ি ইন্সটিটিউট কলেজ কতৃপক্ষ। বুধবার ২৭ আগষ্ট সকাল ১১ টায় মির্জাপাড়া কলেজে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
এসময় কলেজের অধ্যক্ষ লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ২৫ আগষ্ট সোমবার দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার বাংলার মুখ পাতার ৩ কলামে সনদ বানিজ্যে কোটিপতি কর্মচারী শিরোনামসহ যমুনা টিভি,বাংলা ট্রিবিউন,জনকন্ঠ ও অন্যান্য অনলাইন র্পোটালে রৌমারী মির্জাপাড়া কিসমত উল্লাহ বালাজান কৃষি ও কারিগড়ি ইন্সটিটিউট কলেজটি এমপিও ভুক্ত হয়ে বছরের পর বছর ধরে শিক্ষক কর্মচারিরা সরকারি বেতন ভাতা তুললেও কলেজে নেই পাঠদান, নেই শিক্ষার্থী, এমনকি নেই হাজিরা খাতাও। পরীক্ষার সময় ভাড়া করা শিক্ষার্থী দিয়ে চলছে পরীক্ষা। মোটা অঙ্কের টাকা দিলে মিলে সনদ। অফিস ও শ্রেণী কক্ষ থাকে তালা বদ্ধ। নেই ব্রেঞ্চ, নেই শিক্ষক শিক্ষার্থীর উপস্থিতি। তিনি আরো বলেন, অধ্যক্ষ আব্দুল মতিন কলেজ না করে থাকেন ঢাকা ও নিজবাড়ী নিলফামারী। কলেজের প্রধান হিসাবে কলেজের কাজে কারিগড়ি শিক্ষা বোর্ড, কারিগড়ি শিক্ষা অধিদপ্তর রংপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ে। পরে প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত। কলেজে রয়েছে পর্যাপ্ত ব্রেঞ্চ এবং শিক্ষার্থীর উপস্থিত রয়েছে ৮০ শতাংশ। প্রতিষ্ঠানে বর্তমান শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৩৫ জন এবং ২০২৫-২৬ শিক্ষা বর্ষে ভর্তি হয়েছে বোর্ড নির্ধারিত আসন সংখ্যা হিসাবে ৫০ জন। এছাড়াও নিয়মিত শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের হাজিরা খাতা রয়েছে।
অপরদিকে পত্রিকায় আরো উল্লেখ করেন অফিস সহকারি আমজাদ হোসেন ২০ হাজার টাকায় সনদ বিক্রি, বহিরাগত শিক্ষার্থী দ্বারা পরীক্ষা গ্রহন ও নিয়োগ বানিজ্য এবং নিবন্ধন সনদ বিক্রি করে কামিয়েছেন কয়েক কোটি টাকা। প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের শুধু পাঠদান এবং বোর্ডের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী পরীক্ষা নেয়া হয়। যেখানে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে ১৪৪ ধারার মাধ্যমে পরিক্ষা পরিচালিত হয়। বহিরাগত শিক্ষার্থীদের প্রবেশের কোন সুযোগ নেই। শিক্ষার্থীদের সনদ কারিগড়ি শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক প্রদান করেন। প্রতিষ্ঠানের সনদ প্রদান করার কোন এখতিয়ার নেই। এনটিআরসি ছাড়া নিয়োগ বানিজ্যের কোন সুযোগ নেই।
এছাড়াও ল্যাবএসিসট্যান্ট কলেজে উপস্থিত না থেকে ঢাকায় কোচিং সেন্টার থেকে আয় করেন। ঢাকায় তার কোন কোচিং সেন্টার নেই। প্রতিষ্ঠানের কাজে বোর্ডে যেতে হয়। এছাড়া প্রতিষ্ঠানে নিজ দ্বায়িত্ব পালন করেন।
সুরুজ্জামান নামের কোন কর্মচারি নাই।
সাংবাদিকগন শিক্ষক কর্মচারি ও এলাকাবাসীর কোন বক্তব্য না নিয়ে অনলাইন পোর্টাল ও সংবাদটি একটি কুচক্রি মহলের তথ্যের ভিত্তিতে প্রকাশ করায় কলেজ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি গোচর করছে। প্রকাশিত সংবাদটি সম্পুর্ন মিথ্যা বানোয়াট ও উদ্দ্যেশ্য প্রনোদিত ষড়যন্ত্রমুলক। কলেজটি হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য সংবাদককে ভুল তথ্যদিয়ে সংবাদ প্রকাশ করার জন্য তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ