• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

পাংশায় ষষ্ঠ শ্রেণির ভর্তির আবেদনে প্রতিষ্ঠানের কৌশল

পাংশা (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি    ২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:৪৪ পি.এম.
ছবি: ভিওডি বাংলা

রাজবাড়ীর পাংশায় সরকারি নীতিমালা উপেক্ষা করে কিছু মাধ্যমিক বিদ্যালয় ষষ্ঠ শ্রেণির ভর্তিতে ‘একক স্কুল চয়েস’ কৌশল অবলম্বন করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে অনেক শিক্ষার্থী লটারিতে বাদ পড়লে উপজেলা সদরের স্কুলে ভর্তির সুযোগ হারাতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সচেতন মহল। বিষয়টি জানার পর অভিভাবকরাও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী, একটি বিদ্যালয়ের প্রতি শাখায় সর্বোচ্চ ৫৫ জন করে তিন শাখায় মোট ১৬৫ শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারবেন। আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে কেন্দ্রীয় লটারির মাধ্যমে বিদ্যালয় নির্ধারিত হবে। কিন্তু পাংশা পৌরসভার অন্তত তিনটি বেসরকারি বিদ্যালয়ে শুধুমাত্র নিজ প্রতিষ্ঠানের চয়েস দিয়ে আবেদন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে একই বিদ্যালয়ে অতিরিক্ত আবেদন জমা হলেও অন্য স্কুলে সুযোগ পাওয়ার পথ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।

অভিভাবকদের অভিযোগ—সন্তানদের ভর্তির জন্য পছন্দের স্কুলে গেলে শিক্ষকরা আবেদন করার সময় শিক্ষার্থীদের একাধিক বিদ্যালয় চয়েস না দিয়ে শুধু নিজ বিদ্যালয় চয়েস দিচ্ছে। আবেদনের পর লটারি হবে আমরা তা আগে জানতাম না। ফলে লটারিতে বাদ পড়লে পাশের অন্য বিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ থাকবে না।

পাংশা পৌরসভার তিনটি বেসরকারি বিদ্যালয় হলো—এয়াকুব আলী চৌধুরী বিদ্যাপীঠ, কাজী আব্দুল মাজেদ একাডেমী ও পাংশা পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়।

সরেজমিনে এয়াকুব আলী চৌধুরী বিদ্যাপীঠে গেলে জানা যায়, সেখানে ইতোমধ্যে ১৯১টি আবেদন সম্পন্ন হয়েছে, যার অধিকাংশেই ‘নিজ প্রতিষ্ঠান’ চয়েস দেওয়া হয়েছে।

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, যারা আমাদের বিদ্যালয় চয়েস দিতে বলছে, আমরা শুধু তাদেরটাই আমাদের বিদ্যালয় চয়েস দিচ্ছি। আর মেয়েদের শাখা পূরণ করার জন্য আমাদের বিদ্যালয়ই চয়েস দেয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মো. মোতাহার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন—অভিভাবকরাই আমাদের বিদ্যালয় চয়েস দিতে বলছে তাই দিচ্ছি।
আনুষ্ঠানিক বক্তব্য চাইলে তিনি বলেন, "আমার কোন বক্তব্য নাই। নিউজ করলে আমার পক্ষে রেখে যা লেখা লিখো। চাকরি আছেই আর দুই মাস, কোন ঝামেলায় পড়তে চাই না।”

পাংশা পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে গিয়ে জানা যায়, এ বিদ্যালয়ে ১২১টি আবেদন জমা পড়েছে এবং সবগুলোতেই নিজ প্রতিষ্ঠানের চয়েস রাখা হয়েছে।
প্রধান শিক্ষক সান্ত্বনা রানী দাস বলেন, “আমরা শুধু আমাদের প্রতিষ্ঠান চয়েস দিয়ে আবেদন করেছি। শিক্ষা অফিসার আপত্তি জানানোর পর আমরা আর আবেদন করছি না।”

কাজী আব্দুল মাজেদ একাডেমীতে গেলে জানা যায়, এ প্রতিষ্ঠানে ১১৮টি আবেদন হয়েছে।

প্রধান শিক্ষক মো. শাহাদৎ হোসেন জানান—“আমরা প্রথম থেকেই একাধিক বিদ্যালয় চয়েস দিয়ে আবেদন করছি এবং অভিভাবকদেরও সচেতন করছি।”

পাংশা উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, “তিন প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের নিয়ে মিটিং করে বলা হয়েছে আবেদন করার সময় অবশ্যই প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় চয়েস দিতে হবে। যাতে লটারিতে বাদ পড়া শিক্ষার্থীরা অন্য চয়েসে ভর্তি হতে পারে।”

 
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ


  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
"গ্রাম আদালত কার্যক্রম" সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে কুড়িগ্রামে সমন্বয় সভা
"গ্রাম আদালত কার্যক্রম" সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে কুড়িগ্রামে সমন্বয় সভা
অন্তরের বিরুদ্ধে সরকারবিরোধী পোস্ট ও সার্টিফিকেট বাণিজ্যের অভিযোগ
কিশোরগঞ্জে টিটিসির প্রশিক্ষক অন্তরের বিরুদ্ধে সরকারবিরোধী পোস্ট ও সার্টিফিকেট বাণিজ্যের অভিযোগ
দেশজুড়ে রেললাইনে বড় ফাটল, সতর্কতায় লাল পতাকা
দেশজুড়ে রেললাইনে বড় ফাটল, সতর্কতায় লাল পতাকা