খেলোয়াড়দের সুরক্ষায় ফিফার নতুন নিয়ম

যুক্তরাষ্ট্রের প্রচণ্ড গরম থেকে ফুটবলারদের রক্ষা করতে ২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপের প্রতিটি ম্যাচেই দুই অর্ধে বাধ্যতামূলক হাইড্রেশন ব্রেক রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফিফা। খেলোয়াড়দের শারীরিক সুরক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
ফিফা জানায়, আবহাওয়ার অবস্থা যেমনই হোক—গরম বেশি বা কম—সব ম্যাচেই একই নিয়ম অনুসরণ করা হবে। প্রতিটি অর্ধের ২২তম মিনিটে রেফারি খেলা থামাবেন তিন মিনিটের জন্য, যাতে খেলোয়াড়রা পানি পান করে শরীর ঠান্ডা করার সুযোগ পান।
২০২৬ বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোতে। জুন-জুলাইয়ের টুর্নামেন্টটিকে সামনে রেখে প্রচণ্ড গরম, দাবানল এমনকি ঘূর্ণিঝড়ের মতো প্রাকৃতিক ঝুঁকির আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। এতে খেলোয়াড়দের পাশাপাশি দর্শক ও মাঠকর্মীরাও স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়তে পারেন।
‘পিচেস ইন পেরিল’ শীর্ষক সাম্প্রতিক একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বকাপের ১৬টি ভেন্যুর মধ্যে ১০টিই চরম তাপমাত্রার কারণে ‘উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ’ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত। পরিবেশবাদী সংগঠন ফুটবল ফর দ্য ফিউচার ও কমন গোল যৌথভাবে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।
গত জুন-জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত ক্লাব বিশ্বকাপেও তীব্র গরম নিয়ে অভিযোগ উঠেছিল। চেলসির মিডফিল্ডার এনজো ফার্নান্দেজ সে টুর্নামেন্টে খেলতে গিয়ে নিজেকে ‘মাথা ঘোরার মতো অবস্থায়’ অনুভব করেছিলেন বলে জানান এবং আবহাওয়াকে ‘খুব বিপজ্জনক’ বলে মন্তব্য করেন। ইংল্যান্ডের কোচ থমাস টুখেলও বলেছেন, অতিরিক্ত গরমে প্রয়োজনে বদলি খেলোয়াড়দের ড্রেসিংরুমেই থাকতে হতে পারে।
ফিফা জানিয়েছে, বিশ্বকাপে চালু হওয়া হাইড্রেশন ব্রেক হবে আগের টুর্নামেন্টের তুলনায় আরও সহজ ও কার্যকর। আগে তাপমাত্রা ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়ালেই বাধ্যতামূলকভাবে কুলিং ব্রেক দেওয়া হতো।
ফিফার প্রধান টুর্নামেন্ট কর্মকর্তা মানোলো সুবিরিয়া বলেন, “ভেন্যুতে ছাদ থাকুক বা না থাকুক, প্রতিটি ম্যাচেই দুই অর্ধে তিন মিনিটের হাইড্রেশন ব্রেক থাকবে। এটি হুইসেল থেকে হুইসেল পর্যন্ত নির্ধারিত সময় হবে। নির্ধারিত সময়ের আশপাশে ইনজুরির কারণে খেলা বন্ধ থাকলে রেফারি তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি বিবেচনায় নেবেন।”
অতিরিক্ত তাপের ঝুঁকি মাথায় রেখে এবারের বিশ্বকাপে ১৩টি ভিন্ন কিক-অফ সময় রাখা হয়েছে বলেও জানায় ফিফা।
ভিওডি বাংলা/ আরিফ







