আসল খেজুরের গুড় চেনার সহজ ও কার্যকর উপায়

শীত এলেই বাঙালির ঘরে ঘরে শুরু হয় গুড়ের উৎসব। রুটি, দুধ বা পিঠার সঙ্গে গুড়ের স্বাদ অনেকেরই প্রিয়। তবে বর্তমান বাজারে পাওয়া গুড়ের বেশিরভাগই ভেজাল, যা চিনি ও রং মিশিয়ে তৈরি করা হয়। এতে পুষ্টিগুণ থাকে না।
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের পুরানো গুড় ব্যবসায়ী মোমিনুর রহমান মন্টু বলেন, “ভেজাল গুড় খেলে ডায়াবেটিস বাড়ে এবং কোনো পুষ্টি পাওয়া যায় না। আসল গুড়ে থাকে আয়রন, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়ামসহ নানা পুষ্টি উপাদান।”
ঘরে বসে গুড় পরীক্ষা করার উপায়:
পানি দিয়ে পরীক্ষা: গ্লাসে পানি দিয়ে গুড়ের টুকরা রাখুন। আসল গুড় ধীরে ধীরে গলে পানি হালকা লালচে বা বাদামি হবে। ভেজাল গুড়ে পানি দুধের মতো বা সাদা স্তর ভাসবে।
ভিনেগার দিয়ে পরীক্ষা: এক চামচ গুড়ের গুঁড়ায় ৪-৫ ফোঁটা ভিনেগার মিশিয়ে দেখুন। যদি ফেনা ওঠে, তবে এটি ভেজাল। আসল গুড়ে কোনো বিক্রিয়া হয় না।
রং, গঠন ও গন্ধ: আসল গুড় গাঢ় কালচে-বাদামি, হাতে চটচটে, ভাঙলে খসখসে এবং হালকা ধোঁয়া-মাটির সুবাসযুক্ত। ভেজাল গুড় সাদা বা হলদেটে, চকচকে, গন্ধহীন বা রাসায়নিক গন্ধযুক্ত।
স্বাদে পার্থক্য: আসল গুড়ে হালকা ঝাঁঝ বা তিতকুটে স্বাদ থাকে। ভেজাল গুড়ে শুধুই চিনির মিষ্টি।
চাপ দিয়ে পরীক্ষা: আসল গুড় নরম ও চটচটে। ভেজাল গুড় শক্ত ও চেপে দিলে গুঁড়া হয়ে যায়।
কেনার সময় সতর্কতা:
অত্যন্ত কম দামের গুড় হলে সন্দেহ করা উচিত। গ্রাম থেকে আনা আসল গুড়ে ছোট কালো দাগ বা রসের ছিবড়ে থাকে। প্যাকেটের লেবেলে ‘খাঁটি খেজুর গুড়’ লেখা থাকলেও নিজে পরীক্ষা না করলে নিশ্চিত হওয়া কঠিন।
বিশেষজ্ঞরা সচেতনভাবে আসল গুড় ব্যবহার করে স্বাস্থ্যবান থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
ভিওডি বাংলা/জা







